বিদ্যাসাগর মশাইকে আপনাদের আন্দোলনের কেন্দ্রিয় মূর্তি করবেন ভাল কথা করুণ - আমরা ছোটলোকেরা কারিগরেরা প্রতিবাদ করব - আপনারা হয়ত সঠিক মানুষই বেছেছেন। কিন্তু বাংলা তাত্ত্বিক মশাই, হরপ্রসাদের নামের পোঁদে শাস্ত্রী শব্দটা জুড়ে আছে তাই তাকে কাবাব বানিয়ে দিলেন? আশ্চর্য বাংলা ইতিহাস পাঠ! আশ্চর্য বাংলায় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়ায়ের সেনাপতিদের তত্ত্ব আলোচনা।আমি হাফ উড়ে আধা বাঙালি, তাই কে, কিভাবে কি জেনে কাদের জন্যে বাংলা ভাষার প্রাধান্য দাবির আন্দোলন করছেন বুঝছিনা ছাই!
বিপ্লবী মহাশয়েরা, হরপ্রসাদ ঠিক উলটোটা ছিলেন। তিনি বিদ্যাসাগর মশায়ের পরের প্রজন্মের মানুষ। হরপ্রসাদের ব্রাহ্মণ্য বাই তো ছিলই না, বরং বুদ্ধ বাই ছিল - বাংলার অনেক কিছুতেই উনি বুদ্ধ কৃষ্টি-ধর্মের ছোঁয়া দেখতেন - হয়ত তার অনেক কিছুই ভুল প্রমান হয়েছে - কিন্তু তিনি ব্রাহ্মণ্যবাদী ছিলেন না প্রাথমিকভাবে।
বিনয় ঘোষএর পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির নেটে সহজেই পাওয়া যায়, মুখবন্ধটি পড়ুন, বুঝবেন বিনয়বাবু কেন হরপ্রসাদের বৌদ্ধবাইএর কথা বড় মুখ করে বলছেন।
অথবা বুঝবেন পুস্তক পর্ষদ প্রকাশিত হরপ্রসাদের ৫ খণ্ডের রচনাবলী পড়লে। অনুধাবন করবেন উনি বাংলা ভাষা, বাংলার অতীতের জন্যে কিই না করেছেন! হরপ্রসাদের জন্যে বাংলা লিখিত ভাষার বয়স হয়েছে ১০০০ বছরের বেশি এবং সেইটা ঔপনিবেশিক প্রমিত লেখ্য ভাষা নয়।
বিদ্যাসাগরবাবুকে আন্দোলনের আইডল বানিয়ে তাঁর গাঁইয়া বিরোধী কর্মের দায় হরপ্রসাদ ইত্যাদির ওপর চাপিয়ে পাপস্খলনের চেষ্টা যারা করেন তারা বাংলার গ্রামীন জনগনের শত্রু, অপ্রমিত ভাষার শত্রু।
No comments:
Post a Comment