ক্ষত্রিয়,
বৈশ্য প্রভৃতির আগমন
বীর
দেয় বাস যত, প্রজা বৈসে শত শত,
আপনার ছাড়িয়া নিবাস।
তেস্নি
ইনামে বাড়ি প্রজা নাহি গণে কড়ি
সবাকার হৃদয়ে উল্লাস।।
ক্ষত্রি
বৈসে ভানুবংশ সরব্বলক-অবতংশ
চন্দ্রবংশে বৈসে মহাজন।
পুরাণ
শ্রবণ আশে, বসিল বিপ্রের পাশে,
অনুদিন দ্বিজে দেয় ধন।।
দসর
জমের দূত, বৈসে যত রাজপুত,
মল্ল বৈসে রাজচক্রবর্তী।
কৃষ্ণ
সেবে অনুক্ষণ, দাম করে নানা ধন,
দেশে দেশে যাহার সুকীরত্তী।।
তুলিয়া
আখাড়া ঘরে, মল্ল যুদ্ধ কেহ করে,
মালবিদ্যা গুলী চাপগারি।
লইয়া
ঢাল খাড়া, কেহ করে তোলপাড়,
পশু বধে কেহ বা শিকারী।।
আসি
পুর গুজরাট, নিবাস করয়ে ভাট,
অবিরত পড়য়ে পিঙ্গল।
বীর
দেয় খাসা জোড়া, চড়িতে উত্তম ঘোড়া,
নিত্য চিন্তে বীরের মঙ্গল।।
বৈশ্য
বোইসে মহাজন, কৃষ্ণ সেবে অনুক্ষণ
কৃষিকরম্ম করে গো-রক্ষণ।
কেহ
কলন্তর লয়, বৃষে কেহ ধান্য বয়,
কালে কিনে রাখে কোন জন।।
কেহ
দর করি তোলা হীরা নীলা মতি পলা,
নানা দেশ ভ্রমে স্থানে স্থানে।
সাজন
করিয়া নায়, নানান শহরে যায়
আনে শঙ্খ চামর চন্দনে।।
চামর
চামরি ভোট সাগল্লাদ গজ ঘোট
কবভ পট্টিশ অঙ্গরাখি।
এক
বেঁচে এক কেনে, নীতি নীতি বাড়ে ধনে,
গুজরাটে বৈশ্য-জন সুখী।।
বৈদ্য
জনের তত্ব, গুপ্ত সেন দাস
দত্ত,
কর আদি বৈসে কুলস্থান।
বটিকায়
কার যশ, কেহ প্রয়োগের বশ,
নানা তন্ত্র করয়ে বাখান।।
উঠিয়া
প্রভাত কালে ঊরদ্ধ ফোঁটা করে
ভালে,
বসন মণ্ডিত করি শিরে।
পড়িয়া
জর্জর ধুতি, কক্ষদেশে করি পুঁথি
হুজ্রাটে বৈদ্যগণ ফিরে।।
কার
দেখই সাধ্য রোগ, ঔষধ করয়ে যোগ
বুকে ঘা মারয়ে সরব্বদায়।
অসাধ্য
দেখিয়া রোগ, পলাইতে করে যোগ,
নানা চলে মাগয়ে বিদায়।।
কর্পূর
পাঁচন করি, তবে জিয়াইতে পারি
কর্পূর করহ সন্ধান।
রোগী
সবিনয়ে বলে, কর্পূর আনিতে চলে
সেই পথে বৈদ্যের প্রয়াণ।।
বোইদ্য
জনের পাশে, অগ্রদানী বসে,
নিত্য করে রগীর সন্ধান।
রাজ-কর
নাহি দেয়, বৈতরণি ধেনু লয়,
হেম রজত লয় তিলদান।। ইত্যাদি
No comments:
Post a Comment