ব্রাহ্মণগণের
আগমন
পাইয়া
বীরের পাণ, বৈসে যত কুলস্থান
বীরের নগরে বিপ্রগণ।
শাস্ত্র
বিবেচনা করে, আশীষ করিয়া বীরে,
নিত্য পায় ভুষণ চন্দন।।
কুলে
শীলে নহে নিন্দ্য, মুখুটী চাটুতি
বন্দ্য
কাঞ্জিলাল গাঙ্গুলি ঘোষাল।
পূতিতুণ্ডি
বৈসে হড় রাইগাঁই কেশর গুড়
ঘন্টেশ্বরী বৈসে কুলিন্যাল।।
পারীঘাতী
পীতিতুণ্ডি ঝিকরারী মালখণ্ডী
ব্রাহ্মণ বড়াল কুলমাল।
চোটচণ্ডী
পলসাঁই, দীরঘাড়ী কুসুম গাঁই
সাঁই-গাঁই কুলভি পড়াল।।
কড়িয়াল
কুলস্যাল সিমলাই কুড়িলাল
পিপ্লাই বৈসে পুরব্ব গাঁই।
ধনে
মানে অতিচন্ড বাপুলি বিশালমুণ্ড
করাল ণীবোশে সিমলাই।।
পালধি
হিজল গাঁই মাসচটক ডিঙ্গসাই,
কাঞ্জারী সাহারি ভুরিষ্ঠাল।
বটগ্রামী
নন্দী-গাঁই, ভাটাতি সিদ্ধলদায়ী
নায়েরী কেয়ারী মতিলাল।।
গাঁই
নাই গত্র আছে, বসিল বীরের কাছে,
বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ সাতশত।
ব্যবহারে
বড় ঋজু নিত্য পড়ে বেদ যজু
বেদ বিদ্যা পড়ে অবিরত।।
দেখিতে
সুধার সারি, ব্রাহ্মনের আগুয়ারি,
সারি সারি বিষ্ণুর সদন।
কনক
কলস চুড়ে, নেতের পতাকা উড়ে,
গৃহে-শিরে শভে সুদর্শন।।
কোন
দ্বিজ অধিষ্ঠাতা, কোন দ্বিজ কহে
কথা
কেহ পড়ে ভারত পুরাণ।
নানা
দেশ হৈতে আসে, পড়ুয়া বিদ্যার আশে,
দেই বীর হয় গজ দান।।
মূর্খ
বিপ্র বৈসে পুরে, নঘরে যাজন করে,
শিখয়ে পূজার অধিষ্ঠান।
চন্দন
তিলক পরে, দেব পূজে ঘরে ঘরে
চাউলের বোচকা বান্ধে টান।।
ময়রাঘরে
পায় খণ্ড, গপাঘরে দধিভাণ্ড
তেলিঘরে তৈলকুপী ভরি।
কোথাও
নাসবা কড়ি, কেহ দেয় দালি-বড়ি
গ্রামযাজী আনন্দে সাঁতারি।।
গুজরাট
নগরে নগরিয়া শ্রাদ্ধ করে
গ্রামযাজী হয় অধিষ্ঠান।
সাঙ্গ
করি দ্বিজে কয়, কাহন দক্ষিণা হয়,
হাতে কুশে দক্ষিণা ফুরাণ।।
গালি
দিয়া লণ্ডভণ্ডে, ঘটক ব্রাহ্মণে
দণ্ডে,
কুলপাঁজী করিয়া ভিচার।
যে
নাহি গৌরব করে, সভায় বিড়ম্বে তারে
যাবৎ না পায় পুরস্কার।।
গুজরাট
এক পাশে, গ্রাহ-বিপ্রগণ বৈসে
বরণ-দ্বিজগণ মাঠপতি।
দীপিকা
ভাস্বতী ধরে, শাস্ত্র বিচার করে
বালকের লেখে জন্মপাতি।।
মাথায়
পিঙ্গল জটা, সন্ন্যাসী কাপালি
ঘটা,
ঝুপড়ি বান্ধিয়া এক পাশে।
গায়ে
নানা তীর্থ চিন, ভিক্ষা করি অনুদিন
একপাশে তাঁরা সব বৈসে।।
সোডা
লোয় হরি নাম, ভুমি পাইয়া ইনাম,
বৈষ্ণব বসিল গুজরাটে।
কাঁথা
কম্বল লাঠি, গলায় তুলসির কাঁঠি
সদাই গোঙায় গীত নাটে।।
আয়তম
ভুমি বাড়ি, বীর দেয় বাক্য পড়ি
কুশ নীর তিল করি করে।
রচিয়া
ত্রিপদী ছন্দ জ্ঞান করিল
মুকুন্দ
সুখে
থাকি আড়রা নগরে।।
No comments:
Post a Comment