গৃহস্থালির ধাতব দ্রব্যে মুলতঃ ফেরাইট স্ট্রাকচার রয়েছে
অবশ্য ন্যুনতম কার্বনের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। প্রায় ০.০৪-০.০৯% কার্বন
মিশ্রণ। ন্যুনতম রেলিক কার্বাইডের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে পেটাই লোহাকে কিছুটা
কার্বুরাইজ় করা হয়েছিল।
আমরা দেখলাম ল্যামিনেসন প্রক্রিয়া ১২০০
খ্রিস্টপুর্বাব্দে প্রয়োগ করা হয়েছিল। এ ধরণের হাতিয়ার ভারতের বিভিন্ন এলাকায়
পাওয়া গিয়েছে বলে এটি সহজেই মেনে নেওয়া যায় যে এই প্রক্রিয়া সারা ভারতেই ছড়িয়ে
ছিল। তবে আমাদের আলচ্য সময় দক্ষিণ ভারতের ধাতুবিদেরা এটিকে নিয়ে নানান পরীক্ষা এবং
গবেষণা করেছেন, ফলে প্রক্রিয়ার নানান পদ্ধতি বিকাশলাভ করেছে। অতিরিক্ত তাপ ব্যয় না
করে বা বহুক্ষন লোহাকে হার্থে না রেখেও প্রাচীন কালে শক্ত অথচ একই সঙ্গে কাজযোগ্য নমনীয়
প্রসারনশীল ধাতব বস্তু তৈরি করতে ভারত জুড়ে এধরনের পদ্ধতির বিকাশ ঘটে। আমরা বলতে
পারি ভারতের ধাতুবিদেরা যথেষ্ট গবেষণা করে বুঝতে পেরেছিলেন যে বড় লোহার ফালিকে
কার্বুরাইজ় করা বেশ কঠিন কাজ। ফলে তারা এমন এক প্রযুক্তি বিকাশ ঘটিয়ে ছিলেন যে প্রযুক্তিটি
বেশ সম্পদ সাশ্রয়ী এবং ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় লোহার পুরো অংশটিকে কার্বুরাইজ়
না করলেও চলে।
রাজঘাট এবং অতরঞ্জিখেড়ার ধাতব দ্রব্য পরীক্ষা করে একটি
তথ্য পরিষ্কার যে, কার্বুরাইজ়েসন প্রক্রিয়া ৬০০ খ্রিস্টপুর্বাব্দেই ভারতে বিকিশিত
হয়ে গিয়েছিল।
সেযুগের কামারেরা কার্বন সংকর তৈরি করা শিখে
নিয়েছিলেন দীর্ঘ দিনের গবেষণা আর তাঁদের প্রয়োগবাদিতাকে ব্যবহার করে। এর কয়েক
শতাব্দী পর ভারতের ধাতুবিদেরা ল্যামিনেসন প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতা বুঝে ক্রমশঃ
নিজেদের অভিগতাকে ব্যাপ্ত করে দেবেন এমন এক প্রযুক্তিতে, যে প্রযুক্তি বুহুদিন ধরে
ভারতের নাম বিশ্ব ধাতু প্রযুক্তি বিকাশের ইতিহাসে স্বর্ণ শিখরে নিয়ে যাবে। বারিতের
গর্ব ঊজ় ইস্পাত।
No comments:
Post a Comment