বণিক
ও নবশায়কদিগের আগমন
নিবসে
বণিক গোপ, না জানে কপট কোপ
ক্ষেতে উপজায় নানা ধন।
মুগ
তিল গুড় মাসে, গম সরিষা কাপাসে,
সবার পুরণিত নিকেতন।।
তেলি
বৈসে যত জনা, কেহ চাষী কেহ ঘনা
কিনিয়া বেচয়ে কেহ তেল।
কামার
পাতিয়া শাল, কদালি কুড়ালি ফাল
গড়ে টাঙ্গি আঙ্গারাখি শেল।।
লইয়া
গুবাক পাণ, বৈসে তাম্বুলি জন
মহাবিরে নিত্য দেয় বিড়া।
গুবাক
সহিত পাণ, বিড়া বান্ধে সাবধান
কখন না পায় রাজপীড়া।।
কুম্ভকার
গুজরাটে, হাঁড়ি কুড়ি গড়ে পিটে
মৃদিং দগড় কাড়া পড়া।।
শত
শত একজায়, গুজরাটে তন্তুবায়
ভুনি ধুতি আদি বুনে গড়া।।
মালী
বৈসে গুজরাটে, মালঞ্চে সদাই খাটে
মালা মৌড় গড়ে ফুল-ঘর।
ফুলের
পুটলি বান্ধে, সাজি বীরে লয়ে
কাঁধে
ফিরে তারা নগরে নগরে।।
বারুই
নিবসে পুবে, বরজ নিরম্মাণ করে,
মহাবীরে নিত্য দেয় পাণ।
বলে
যদি কেহ নেয়, বীরের দোহাই দেয়,
অনুচিত না কবে কখন।।
মদোক
প্রধান জনা, করে চিনি কারখানা,
খণ্ডলাড়ু করয়ে নিরম্মাণ।।
পসরা
করিয়া শিরে, নগরে নগরে ফিরে,
শিশুগণে করয়ে জগান।।
সারক
বসে গুজরাটে, জীব জন্তু নাহি কাটে
সরব্বকাল করে নিরামিষ।
পাইয়া
ইনাম বাড়ী, বুনে নেট পাট শাড়ী
দেখই বড় বীরের হরিষ।।
পুরে
বসে গন্ধবেণ্যা, গন্ধ বেঁচে ধূপ
ধূনা,
পসরা সাহিয়ে চলে হাটে।
শঙ্খবেণে
কাটে শঙ্খ, কেহ করে নবরঙ্গ,
মণিবেণে বসে গুজরাটে।।
কাঁসরি
পাতিয়া শাল, গড়ে ঝারি খুরি থাল,
ঘটী বাটী বড় হাঁড়ি সীপ।
ডাবর
চুনাতি বাটা, সাঁপুড়া ঘাঘর
ঘন্টা,
সিংহাসনে গড়ে পঞ্চদীপ।।
সুবর্ণবণিক
বসে, রজত কাঞ্চন কষে,
পড়ে ফোড়ে হইলে সংশয়।
কিছু
বেচে কিছু কেনে, মনুষ্যের ধন টানে
অউর মধ্যে যাহার নিলয়।।
নিবসে
পশ্যতোহার, পুবমধ্যে যাব ঘর,
নিরম্মাণ করয়ে আভরণে।
দেখিতে
দেখিতে জন, হারায়ে সবার ধন,
হাতে হাতে বদলিতে জানে।।
পল্লব
গোপ বসে পুবে, কাঁধে ভার বিকি করে,
বনভাগে বসায় বাথানে।
রচিয়া
ত্রিপদী ছন্দ, পাঁচালি করিয়া
বন্ধ,
শ্রীকবিকঙ্কণ রস ভণে।।
No comments:
Post a Comment