সংবাদ পত্রে সেকালের কথা, প্রথম খণ্ড, ১৮১৮-১৮৩০,
শিক্ষা শীর্ষক বিষয়ের ৩০ পাতায় সঙ্কলক ও সম্পাদক, ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ৮
মার্চ, ১৮২৩, ২৬ ফাল্গুন, ১২২৯, সভা শীর্ষক এক প্রতিবেদনের ৯ পাতায় এক প্রতিবেদন
তুলে দিচ্ছেন, যেখানে তৎকালীন কলকাতার একটি সভা তৈরি করার প্রথম সভার বিশদ বর্ণনা রয়েছে। এই লেখাটি আমরা তিনটি ভাগে তুলব, প্রথম দুটিতে তখনকার সংবাদ প্রতিবেদন - এই পোস্টটি। তৃতীয়টিতে আমাদের বিশ্লেষণ।
এই কাজটি অন্য একটি কাজের একটি ছোট্ট শৃঙ্খল, যেখানে আমরা দেখাতে চেষ্টা করছি, গ্রাম বাংলা যখন ব্রিটিশ অত্যাচার এবং লুঠের বিরুদ্ধে ফেটে পড়ছে, তখন কলকাতার বিভিন্ন ধরণের মানুষেরা - প্রগতিশীল এবন রক্ষণশীল উভয়পক্ষই কি ধরণের সাম্রাজ্য চাটুকারিতা করছেন।
...এঁহারদিগের আগমনান্তর প্রথম শ্রীযুত বাবু রাধাকান্ত দেব কহিলেন যে অদ্য এই সভার চারম্যান অর্থাৎ সভাপতি শ্রীযুত রামকমল সেন হউন। পরে শ্রীযুত উমানন্দন ঠাকুর তাঁহার পুষ্টি করিলেন পরে শ্রীযুত রামকমল সেন চারম্যান অর্থাৎ প্রধানরূপে মনোনীত হইয়া ঐ সভাস্থ সকলকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন অদ্য এই সভাতে মহাশয়দিগের যদর্থে আহ্বান করা গিয়াছে তাঁহার কারণ এই যে সাধারণ আমারদিগের কোন সোসৌয়িটী অর্থাৎ সমাজ সম্বন্ধ নাই ইহাতে কি ২ ক্ষতি আর থাকিলে বা কি উপকার এতদ্বিষয়ে কিঞ্চিৎ লিখা গিয়াছে অনুমতি হইলে পাঠ করা যায়। পরে সকলেই অনুমতি করিলে শ্রীযুত গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার ভট্টাচার্য্য ঐ সভার অনুষ্ঠানপত্র পাঠ করিলেন তৎ শ্রবণ করিয়া ক্রমে সকলেই কহিলেন যে আমারদিগের দেশে এক সভা হইলে ভাল হয় এবং এ অতি উত্তম বিষয় বটে ইহাতে আমারদিগের সম্মতি আছে শ্রীযুত রাধামাধব মুখোপাধ্যায় কহিলেন আমারদিগের দেশে যে পুর্ব্বাপর সভা নাই ইহার মূল কি তাঁহার উত্তর অনেকে অনেকপ্রকার করিল শ্রীযুত রসময় দত্ত কহিলেন এই সভায় যদি কেবল বিদ্যাবিষয়ের উপায়ান্তর চেষ্টা করা যায় তবে আমি ইহার মধ্যে আছি আর যদি ইহাতে রাজসংক্রান্ত বিষয় থাকে ও আমারদিগের ধর্ম্মশাস্ত্রের নিন্দা কেহ করে তাঁহার উত্তর লেখ তবে আমি তাঁহার মধ্যে নাহি শ্রীযুত কাশীকান্ত ঘোষালেরও ঐ কথা শ্রীযুত উমানন্দন ঠাকুর কহিলেন যে আমারদিগের ধর্ম্মশাস্ত্র নিন্দা করিয়া যদ্যপি কেহ কোন গ্রন্থ প্রকাশ করে তাঁহার উত্তর অবশ্যই লিখিতে হইবেক শ্রীযুত রাধাকান্ত দেব তাঁহার পোষকতা করিলেন শ্রীযুত রামদুলাল দে কহিলেন অনুষ্ঠান পত্র ছাপা করিয়া সর্ব্বত্র প্রেরণ কর পরে বিবেচনাপুর্ব্বক উত্তর করা যাইবেক শ্রীযুত ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ সভা স্থাপন হইলে কি সুখ হইবেক বিবেচনা কর অদ্য সকলে একত্র হইয়া পরস্পর সাক্ষাৎ ও আলাপ করিয়া কি পর্য্যন্ত সুখী হইয়াছ শ্রীযুত রামজয় তর্কালঙ্কার কহিলেন যে যথার্থ এই সকল ব্যক্তির সহিত পরস্পর কাহারো এক বৎসর কাহারো ছয় মাস সাক্ষাৎ নাই শ্রীযুত কাশীনাথ মল্লিক তাঁহার পোষকতা করিলেন এই প্রকার নানা কথোপকথনান্তর শ্রীযুত রামকমল সেন প্রশ্ন করিলেন যে এ সভাস্থদিগের মধ্যে কোনহ ব্যক্তিকে সেকৃটারি অর্থাৎ কার্য্যসম্পাদক নিযুক্ত করা আবশক হয় শ্রীযুত রাধাকান্ত দেব কহিলেন যে শ্রীযুত রামকমল সেনকে করা যাউক শ্রীযুত উমানন্দন ঠাকুর ও শ্রীযুত দ্বারিকানাথ ঠাকুর তাঁহার পোষকতা করিলেন পরে সেনজী কহিলেন আমার বাঞ্ছা শ্রীযুত প্রসন্নকুমার ঠাকুর হইলে ভাল হয় পরে স্থির হইল উভয়ে সেকৃটারি হউন।
এই কাজটি অন্য একটি কাজের একটি ছোট্ট শৃঙ্খল, যেখানে আমরা দেখাতে চেষ্টা করছি, গ্রাম বাংলা যখন ব্রিটিশ অত্যাচার এবং লুঠের বিরুদ্ধে ফেটে পড়ছে, তখন কলকাতার বিভিন্ন ধরণের মানুষেরা - প্রগতিশীল এবন রক্ষণশীল উভয়পক্ষই কি ধরণের সাম্রাজ্য চাটুকারিতা করছেন।
...এঁহারদিগের আগমনান্তর প্রথম শ্রীযুত বাবু রাধাকান্ত দেব কহিলেন যে অদ্য এই সভার চারম্যান অর্থাৎ সভাপতি শ্রীযুত রামকমল সেন হউন। পরে শ্রীযুত উমানন্দন ঠাকুর তাঁহার পুষ্টি করিলেন পরে শ্রীযুত রামকমল সেন চারম্যান অর্থাৎ প্রধানরূপে মনোনীত হইয়া ঐ সভাস্থ সকলকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন অদ্য এই সভাতে মহাশয়দিগের যদর্থে আহ্বান করা গিয়াছে তাঁহার কারণ এই যে সাধারণ আমারদিগের কোন সোসৌয়িটী অর্থাৎ সমাজ সম্বন্ধ নাই ইহাতে কি ২ ক্ষতি আর থাকিলে বা কি উপকার এতদ্বিষয়ে কিঞ্চিৎ লিখা গিয়াছে অনুমতি হইলে পাঠ করা যায়। পরে সকলেই অনুমতি করিলে শ্রীযুত গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার ভট্টাচার্য্য ঐ সভার অনুষ্ঠানপত্র পাঠ করিলেন তৎ শ্রবণ করিয়া ক্রমে সকলেই কহিলেন যে আমারদিগের দেশে এক সভা হইলে ভাল হয় এবং এ অতি উত্তম বিষয় বটে ইহাতে আমারদিগের সম্মতি আছে শ্রীযুত রাধামাধব মুখোপাধ্যায় কহিলেন আমারদিগের দেশে যে পুর্ব্বাপর সভা নাই ইহার মূল কি তাঁহার উত্তর অনেকে অনেকপ্রকার করিল শ্রীযুত রসময় দত্ত কহিলেন এই সভায় যদি কেবল বিদ্যাবিষয়ের উপায়ান্তর চেষ্টা করা যায় তবে আমি ইহার মধ্যে আছি আর যদি ইহাতে রাজসংক্রান্ত বিষয় থাকে ও আমারদিগের ধর্ম্মশাস্ত্রের নিন্দা কেহ করে তাঁহার উত্তর লেখ তবে আমি তাঁহার মধ্যে নাহি শ্রীযুত কাশীকান্ত ঘোষালেরও ঐ কথা শ্রীযুত উমানন্দন ঠাকুর কহিলেন যে আমারদিগের ধর্ম্মশাস্ত্র নিন্দা করিয়া যদ্যপি কেহ কোন গ্রন্থ প্রকাশ করে তাঁহার উত্তর অবশ্যই লিখিতে হইবেক শ্রীযুত রাধাকান্ত দেব তাঁহার পোষকতা করিলেন শ্রীযুত রামদুলাল দে কহিলেন অনুষ্ঠান পত্র ছাপা করিয়া সর্ব্বত্র প্রেরণ কর পরে বিবেচনাপুর্ব্বক উত্তর করা যাইবেক শ্রীযুত ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ সভা স্থাপন হইলে কি সুখ হইবেক বিবেচনা কর অদ্য সকলে একত্র হইয়া পরস্পর সাক্ষাৎ ও আলাপ করিয়া কি পর্য্যন্ত সুখী হইয়াছ শ্রীযুত রামজয় তর্কালঙ্কার কহিলেন যে যথার্থ এই সকল ব্যক্তির সহিত পরস্পর কাহারো এক বৎসর কাহারো ছয় মাস সাক্ষাৎ নাই শ্রীযুত কাশীনাথ মল্লিক তাঁহার পোষকতা করিলেন এই প্রকার নানা কথোপকথনান্তর শ্রীযুত রামকমল সেন প্রশ্ন করিলেন যে এ সভাস্থদিগের মধ্যে কোনহ ব্যক্তিকে সেকৃটারি অর্থাৎ কার্য্যসম্পাদক নিযুক্ত করা আবশক হয় শ্রীযুত রাধাকান্ত দেব কহিলেন যে শ্রীযুত রামকমল সেনকে করা যাউক শ্রীযুত উমানন্দন ঠাকুর ও শ্রীযুত দ্বারিকানাথ ঠাকুর তাঁহার পোষকতা করিলেন পরে সেনজী কহিলেন আমার বাঞ্ছা শ্রীযুত প্রসন্নকুমার ঠাকুর হইলে ভাল হয় পরে স্থির হইল উভয়ে সেকৃটারি হউন।
No comments:
Post a Comment