Friday, December 27, 2019

৩য় মধ্যমাস আলোচনা

"এম্পায়ার অব কটন - বাংলার তাঁতের ইতিহাস চাই"
৭ কিরণ শঙ্কর রায় রোড।। হেস্টিংস চেম্বার। ৬তলা।। ১৮ জানু, শণি।।বিকেল ৪টেয়

বইটার নামানোর সূত্র দিলাম। তার সঙ্গে মূল ভাবনাগুলি তুলে দেওয়া গেল।প্রায় ৬০০ পাতার বই পড়া সম্ভব নয়। তাই মূল আলোচ্য বিষয় তুলে দিলাম।

'নিউ হিট্রি অব ক্যাপিট্যালিজম' শীর্ষকে গত এক দশকে পুঁজি এবং পুঁজিবাদ বিষয়ে প্রকাশিত শ্রেষ্ঠতম গবেষণা মহাগ্রন্থ স্বেন বেকার্টের এম্পা্যার অব কটন আগামী কলকাতা বই মেলায় প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বইটিতে স্বেন দেখিয়েছেন, কীভাবে একটি তুচ্ছ কৃষি দ্রব্য, তুলো অবলম্বন করে পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটল এবং ইওরোপ আর আমেরিকায় বিশালাকারে পুঁজি সংহত হল এবং এশিয়া আফ্রিকা আমেরিকায় সাম্রাজ্যবাদ ডানা মেলে সমাজগুলোয় উথালপাথাল ঘটাল। তিনি বলছেন,পুঁজিবাদ বিকাশে লোহাইস্পা্ত বা তুলো ছাড়া অন্যান্য শিল্পেরও অবদান ছিল ঠিকই কিন্তু সুতো আর বস্ত্র মিলের অবদান থেকে বেশি, কারণ আমদানি এবং রপ্তানির অংশিদারিত্ব এই শিল্পে্র সব থেকে বেশি ছিল, সব থেকে বেশি শ্রমিক খাটত বস্ত্র কারখানায়।

এই বইটা আলোচনা করতে চাইছি তার কারণ হল তুলোর বিও ইতিহাস তৈরি হলেও বাংলায় এটা নেই এবং বাংলার উল্লেখে ওয়েন অনেক জায়গায় ঔপনিবেশিক তথ্য ভাবনা আলোচনা করেছেন যেমন তীর্থঙ্কর রায় কেম্ব্রিজ ঘরানার ইতিহাসবিদ, ইনি মনে করেন না লুঠ হয়েছে।

তিনি বিস্তৃততমভাবে এ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন
১ তুলো নির্ভর বস্ত্র শিল্পে্র গুরুত্ব,
২ এশিয়া(অবশ্যই বাংলা), আফ্রিকা, আমেরিকার সুপ্রাচীন বস্ত্র শিল্পে্র বিবর্তনের ইতিহাস,
৩ ইওরোপিয়দের উদ্যমে মার্কেন্টালিজম স্বেনের ভাষায় যুদ্ধপুঁজিবাদের বিশ্বজোড়া ভূমি, বাজার, কাঁচামালের দখলদারি, এবং স্বাধীনতা হরণ
৪ বিশ্বজোড়া প্রাচীন কাপড় শিল্পে্র বিশিল্পা্যন ঘটল(ইওরোপেও), বাজার দখল হল, প্রাচীন ব্যবসায়ীদের ধাক্কা মেরে বাজারের বাইরে বের করে দেওয়া হল,
৫ একইসঙ্গে ইওরোপে শিল্পায়ন(যাকে আপনারা শিল্প বিপ্লব বলতে গর্ব বোধ করেন) হল, শুরুতে জলের বলে পরে বাষ্প তারপর বিদ্যুতে চলা তুলো কারখানা নির্ভর করে
৬ মিল গড়ে তুলতে অর্থ চাই, শুরুতে জোগাল বাংলা এবং বিশ্বের সম্পদ বাজার লুঠ(তিনি বাংলা লুঠের কথা বলেন নি, এটা আমাদের গবেষণা), আর শস্তাতম শ্রম, বিনামূল্যে হলে ভালই হয়
৭ অথচ ইওরোপে তুলো উতপাদন হয় না বা কিন্তু মিল চালাবার জন্যে নিরবিচ্ছিন্ন এবং শস্তার তুলো চাই আর চাই শস্তাতম শ্রমিক, তুলো চাষের জন্যে আফ্রিকার শ্রম আমদানি করে দেশিয় আমেরিকিয়দের উচ্ছেদ করে, ইওরোপিয়দের দিয়ে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে দাস শ্রমিক কাজে লাগিয়ে তুলো বাগিচা করা হল, এরা ইওরোপে শস্তাতম তুলো জোগাত কারণ জমি আর শ্রমের দাম শুন্য ছিল
৮ ইওরোপের পুঁজিবাদীরা শুরুতে কারিগর, চাষী, পশুপালক পরে তাঁতি উচ্ছেদ করে মিলগুলোয় জুতে দেয়, বিশাল অঙ্কের, কোথাও ৩০ শতাংশ শিশুরা কাজ করত মিলে, মহিলারাও
৯ ইওরোপ মূলত নির্ভর করত আমেরিকার দাস ব্যবস্থাজাত তুলোর ওপরে
১০ আমেরিকায় দ্বিতীয়বার গৃহযুদ্ধ ঘটলে দাস ব্যবস্থার সমাপ্তি ঘটল, তুলোর বিশাল দাম বাড়ে
১১ বলপ্রয়োগে বিশ্বজোড়া প্রাচীন তুলো উতপাদক সমাজে উথালপাথাল ঘটিয়ে তাদের স্বাধীনতা হরণ করা হল এবং তুলোর মনোকালচারে বাধ্য করা হলে তুলো চাষীদের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যহত হল, আইনি বাধ্যবাধকতায় বিশ্ববাজারে পুঁজির দাসত্ব করতে শুরু করল দেশিয় শিল্প বঞ্চিত করেই
১২ বিশিল্পা্যিত দেশগুলির কাঁচামাল ইওরোপিয় মিলে পণ্যে রূপান্তরিত হয়ে পুনর্গঠিত এশিয় আফ্রিকিয় আমেরিকিয় বাজারে যেতে শুরু করল
১৩ আজকের তথ্য সরবরাহ, ফরোয়ার্ড ট্রেডিং, বিল ল্যান্ডিং বড় ধার ব্যবস্থা, পুঁজি রপ্তানির আইন প্রথার বিকাশ হল এই শিল্পকে ছড়াতে আর বাঁচাতে
১৪ ১০০ বছরের মধ্যেই ইওরোপ আমেরিকায় কাপড়ের মিল বন্ধ হয়ে গেল, এবারে আফ্রিকার এশিয়ায় বিশাল মিল তৈরি হল, কিন্তু ভিত্তি ইওরোপিয় মডেলের শিল্পা্যন -- জাতীয়তাবাদীদের প্রতিশ্রুতি ছিল উপনিবেশ থেকে মুক্তির পর চাষী, শ্রমিকেরা সুবিচার পাবে, সেটা ঘটল না,
১৫ সোভিয়েতে কাপড়ের মিল চলত সাম্রাজ্যবাদী ঔপনিবেশিক কায়দায়, সোভিয়েত তুলো পেতে মধ্য এশিয়ার খানাতগুলোয় উপনিবেশ তৈরি করল

শেষ অবদি সাম্রাজ্যবাদের অবসান ঘটল না।
ইওরোপিয় শিল্পা্যণের মডেলই হল লুঠ, দখলদারি আর ধংস। ভদ্রবিত্ত তার চালক।
https://drive.google.com/file/d/1TsdBUu0ru7yKOWoPOCic3wk32JJuUeSa/view?usp=sharing

Saturday, December 21, 2019

তৃতীয় গ্রাম কৃষ্টি উৎসব

প্রেস ক্লাব কলকাতার উদ্যোগে, পশ্চিমবংগ সরকার, বংগীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্রশিল্পী সংঘ, আরও কিছু বন্ধু সংগঠনের সহযোগিতায় তৃতীয় গ্রাম কৃষ্টি উতসব, ২৪-৩০ ডিসেম্বর, ৮ থেকে ১৪ পৌষ

আমেরিকান ফ্রিডম/মেড ইন চায়না

Wednesday, December 18, 2019

অসাধারণ বই

পুলিনদার থেকে জানলাম

ক্ষী গেরো!

অনির্বাণদা এক গ্রুপের(Bengal Left‎, Left Voice@Bengal) অসহায় স্বীকারোক্তি তুলেছেন। বোধোদয় হলে বাম, বাংলা উভয়ের মঙ্গল।
"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একইসঙ্গে দুটি কাজ সেরে নিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুসলিম সংগঠন মিম এর রাজ্য ও জেলাস্তরের নেতাদের গ্রেপ্তার করে মিম এর বিকাশকে প্রতিহত করার চেষ্টা করলেন। অন্যদিকে এন পি আর, এন আর সি, ক্যাব হতে দেব না বলে সমগ্র মুসলিম সমাজের ভোট নিজের দিকে আনার কাজে আরো কয়েক পা এগোলেন।
বামপন্থীদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে রাজনৈতিক কৌশলী হিসেবে তিনি অন্যান্য নেতাদের অনেকগুণ ছাড়িয়ে গেছেন। সংকটের সময়েও বারবার সংকটকে প্রতিপক্ষের ওপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে রাখতে পারছেন।
অন্যদিকে বামেরা নিজেদের সঙ্কটে নিজেদের ওপর ভরসা হারিয়ে কখনো নিজেদের মতুয়া বা বর্ণহিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে চলে যেতে দেখছেন বিজেপির দিকে, কখনো নিজেদের সংখ্যালঘু সমর্থনের সিংহভাগ মমতাদেবীর কাছে হারিয়ে ফেলছেন।
এই মুহূর্তে বিজেপি বিরোধিতায় মমতা দেবীর পেছনে হাঁটার জন্য তাদের ওপরে চাপও বাড়ছে। যা মেনে নেওয়াও তাদের পক্ষে কঠিন, দূরে ঠেলে দেওয়াও নানা কারণে সমস্যাজনক।"

প্রতিবাদের আরেক রূপ

Thursday, December 12, 2019

১৮০০ দশকে ইওরোপিয় এনআরসি

বিজেপি বা আমেরিকা বা চিন নতুন কিছুই করছে না।এই পথ ইওরোপিয়রা
১৮০০র শতকে দেখিয়েছে। বাংলা/ভারতের জ্ঞান-সম্পদ লুঠ আর দাস শ্রমিকদের সম্পদ লুঠ করে যুদ্ধপুঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা ইওরোপিয় পুঁজিপতিদের জন্যে বকলমে এনআরসি করে কারখানার জন্যে শ্রমিক জোগাড় করেছিল। সেই উদ্যমের বৌদ্ধিক আখ্যান।
This book presents a fundamental reassessment of the nature of wage labor in the nineteenth century, focusing on the use of sanctions to enforce wage labor agreements. Professor Steinfeld argues that wage workers were not employees at will but were often bound to their employment by enforceable labor agreements, which employers used whenever available to manage their labor costs and supply. Modern free wage labor only came into being late in the nineteenth century, as a result of reform legislation that restricted the contract remedies employers could legally use.

Tuesday, December 10, 2019

আজ যদুনাথ সরকারের জন্ম দিন

বাংলায় সার্বজনীকভাবে মুঘল যুগ বলতে, আওরঙ্গজেব বলতে যতটুকু বুঝি, সেই বোঝার ভিত তৈরি করে দিয়েছেন আচার্য যদুনাথ সরকার। প্রচুর ভুল ছিল, তাত্ত্বিক সমস্যা ছিল, তা সত্ত্বেও যে চর্চা তিনি শুরু করান, সেটা পরে মহীরুহ হয়ে দাঁড়ায়। মুঘল সময়ের প্রশাসনিক কাঠামো বুঝতে বা আওরঙ্গজেবের নানান বিষয় জানতে যে অসামান্য পথভাঙ্গা কাজ করেন সেগুলির কয়েকটির অনুবাদ কলাবতী মুদ্রা প্রকাশ করেছে।
যারা একদা কাজ শুরু করেছেন, তাদের পথ অনুসরণ করে নতুন ইতিহাস লেখার কাজ আমাদেরই করতে হবে।
কলাবতী মুদ্রার প্রকাশনায় দুটি অসামান্য বই প্রকাশিত হয়েছে
দ্য মুঘল এডমিনিস্ট্রেশন
আওরঙ্গজেবের উপাখ্যান
পাওয়া যাচ্ছে অফবিট কলকাতা ৯৮৭৪৯৯৩১৫৬, আর Baatighar/ বাতিঘর ঢাকায়।অথবা Susobhan ৮৯১০৪১৮২৬৫কে বললে সে কলকাতার আশেপাশে পৌঁছে দিতে পারবে।

২০১৯এর বিজেপিকে দেখে ২০০৬-০৭এর সিপিএমের কথা মনে হচ্ছে

সিপিএমের স্বর্ণযুগে তাদের সম্বন্ধেও একই কথা বলতাম আমরা। তারা কী দক্ষ হাতে সব সামলে নিচ্ছে - আনন্দবাজার আপ্লুত হয়ে নামই দিয়ে দিল টিম বুদ্ধ। সিঙ্গুরে যখন পরিকল্পনা শুরু হয় তখন আমিই বলেছি এত বছরের প্রশাসন চালানোর অভিজ্ঞতা - ঠিক সামলে নেবে।
এই রাজনৈতিকভাবে সামলে দেওয়ার জন্যে মাথা লাগে - জোহুজুর নেতা দিয়ে হয় না।তৃণমূলে পিকেকে দরকার হয়। বিজেপিতে মোদি-শা যে পার্জিং করেছে, তাতে দলে সিপিএমের মত কিছু জোহুজুর ছাড়া আর কিছুই নেই। কাশ্মীর ৭ দিনে সামলে দেবে বলে আজ গোটা বিজেপির মাথারা কাশ্মীর নিয়ে অভাবিতভাবে চুপ। মাথায় রাখুন এই নিস্তব্ধতা আদতে দলে ভালনারেবিলিটি বাড়াচ্ছে। কেশব ভবনে গিয়ে দেখুন হোলটাইমারদের ঘরে এসি বসেছে। আরএসএস ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে।
আসামে এনআরসি যে এমন করে প্যান্টে হেগে ফেলবে সেটা মোদি-শা যতদূরসম্ভব দুঃস্বপ্নেও ভাবে নি। এনআরসির অত্যাচারের পাশাপাশি ক্যাবের নাগরিকত্বের গাজর ঝোলানোর ভাবনা ছিল বিজেপি নেতৃত্বের - দুই রাবড়ি পদ্ধতি পাশাপাশি চলত আর ভোটে চলত জেজেটিটি - যখন যেমন প্রয়োজন তখন তেমন প্রচার করত - সিপিএম পঞ্জীকরণ নিয়ে এখন যেমন জেজেটিটি। এনআরসির চরম ব্যর্থতা কিন্তু ক্যাবকেও ভালনারেবল করে তুলেছে - আসামের জঙ্গি আন্দোলন প্রমান। বিজেপির তলার কর্মীরা যারা কিছু দিন আগে বলেছিল ঘটিরা পঞ্জিকরণের তীব্র সমর্থক তারা এখুনিই ইতিউতি কনসেন্ট্রেশন থুড়ি ডিটেনশন ক্যাম্প বন্ধ করে নিপীড়িতদের কাছে ক্ষমা চাওয়া আর ক্ষতিপূরণের দাবি তুলছে। মানে ক্যাবে হিন্দুভোট খতরেমেঁ বলে তাদের মনে হচ্ছে। তারা কেউই বিল সম্বন্ধে কিস্যু জানে না শুধুই শাহের বক্তৃতা ছাড়া।
তবুও মনে হয় বিজেপি সামলে দেবে। কিন্তু কেন যেন মন কু গাইছে আর বিমান-বুদ্ধবাবুর সময়ের সিপিএমের কথা মনে পড়ছে বারবার।

আকবরের মা হামিদা বানু বেগমের ফার্সি রামায়নের এক পাতা - ছবি অড্রে ট্রুস্কে

পলাশী পূর্বে বাংলার বাণিজ্যের ২য় সংস্করণের প্রচ্ছদ

তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ সংযোজিত হল
১) যোধা বাঈ, রহিমি এবং পর্তুগিজদের ভাগ্য - জালালুদ্দিন আকবরের স্ত্রী মারিয়ুজ্জামানির ব্যবসায়িক জাহাজ রহিমি এবং পর্তুগিজদের বাংলা ছাড়ার গপ্প
২) ফকরইতুজ্জর খ্বাজা ওয়াজিদ - পলাশীপূর্ব বাংলার বণিকত্রয়ী উমিচাঁদ, জগতশেঠ এবং খ্বাজা ওয়াজিদের মধ্যে শেষতম আরমেনিয়ন বণিকের বিষয়ে
এবং
৩) মুদ্রা বিশেষজ্ঞ জন ডেয়ালের প্রবন্ধ প্রতিবেশী রাজ্য এবং অন্যান্য অঞ্চলের ওপর আধুনিক-পূর্ব বাঙলার মুদ্রা ব্যবস্থার প্রভাব

Monday, December 9, 2019

ধর্ম একটাই - ভদ্রলোকিয় আধুনিকতা

শুধু অমুসলমান পাশ্চাত্য শিক্ষিত নবজাগরণই নয়, নবজাগরিত মুসলমান মধ্যবিত্তের কাজও উপনিবেশে মেট্রোপিলিটন বাঁচানো কর্পোরেট শিক্ষা ব্যবস্থার জন্যে লুঠ চালানোর করণিক বা ক্রীড়ানক তৈরির বৈধতা দেওয়া। দুই সমাজের ভদ্ররাই খুনি, লুঠেরা পশ্চিমের অন্যতম সংগী।
মুসলমান, অমুসলমান ভদ্র নির্বিশেষে সর্বগ্রাসী শিকড়চ্যুত পশ্চিমি কর্পোরেট শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম ধারক বাহক। তার কাছে পাশ্চাত্য শিক্ষিত, কর্পোরেট স্নেহধন্য ছাড়া জাতি রাষ্ট্রব্যবস্থায় সকলেই উদ্বৃত্ত।
সেই উদ্দেশ্যেই পাশ্চাত্য শিক্ষা না পাওয়া মুসলমান সমাজকে পিছিয়ে পড়া দেগে দেওয়া হয়।

Sunday, December 8, 2019

ধ্বংসাত্মক উপনিবেশ খতম হোক

উন্নাওএর হত্যা হওয়া মানুষটি বিশ্বকর্মা সমাজের - যারা বিশ্বকে ইস্পাত তৈরি শিখিয়েছে, যারা আজও জং ছাড়া ইস্পাত বানাতে ওস্তাদ - পশ্চিমি বড় কারখানা আজও ন্যুনতম খরচে জং ছাড়া ইসপাত বানাতে পারে না।
বিশ্বকর্মা এই গণ্ডোয়ানাভূমির প্রাচীনতম সমাজগুলির মধ্যে অন্যতম। এরা সারা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে আছেন। উপনিবেশের পড়াশোনা, রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিজেদের সমাজের জোরের জায়গা, নিজের সমাজের সামাজিক গুরুত্ব বুঝতে, বাপ-মার তৈরি করা অতীত মনে রাখতে শিখায় না।
আর যারা প্রথাবদ্ধ ইংরেজি শিক্ষার মধ্যে দিয়ে যান তারা এদের গরীব 'লোকশিল্পী' ভাবেন এবং কীভাবে এরা দাক্ষিণ্য পাবে সেই উদ্দেশ্যে ডোল দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
অথচ এদের সামনে সারিতে বসার কথা।
খুব দুঃখের দিন সামনে।

ফাতেমা মারনিসির অসামান্য বই

ইতিহাসের নতুন দৃষ্টি ।। উপনিবেশ নিপাত যাক
When Benazir Bhutto became Prime Minister of Pakistan in 1988, there were some who claimed that it was a blasphemous assault on Islamic tradition, since no Muslim state, they alleged, had ever been governed by a woman. In this extraordinary new book, Fatima Mernissi shows that those proclaimed defenders of Islamic tradition were not only misguided but wrong. She looks back through fifteen centuries of Islam and uncovers a hidden history of women who have held the reins of power, but whose lives and stories, acheivements and failures, have largely been forgotten. Who were the Queens of Islam? How did they accede to the throne and how did their rule come to an end? What kinds of states did they govern and how did they exercise their power? Pursuing these and other questions, Mernissi recounts the stories of fifteen queens, including Sultana Radiyya who reigned in Delhi from 1250 until her violent death at the hand of a peasant; the Island Queens who ruled in the Maldives and Indonesia; and the Arab Queens of Egypt and of the Shi'ite Dynasty of Yemen. It was the Yemenis who bestowed upon queens a title that was theirs alone - balgis al-sughra , or `Young Queen of Sheeba'. Mernissi concludes this absorbing historical inquiry by reflecting on its implications for the ways in which politics is practised in the Islamic world today, a world in which women, while generally more educated than their predecessors, are largely excluded from the political domain. This powerful and engaging book, by one of the most original and distinctive voices in the Islamic world, will be of great interest to anyone concerned with Islamic society and politics.

এক ক্ষমতার বিপক্ষে আরেক ক্ষমতার ভাষ্য

মনে রাখতে হবে আজকে যে ভদ্রবিত্ত শিখের যে অশনব্যসন ইত্যাদি দেখি তার একটা বড় অংশ তৈরি হয়েছে উপনিবেশের হাতে সিপাহি যুদ্ধের পর, ঠিক যেমন করে বাঙালি নবজাগরিত ভদ্রবিত্ত মনন এবং চর্যা বিকশিত হয়েছে উপনিবেশের হাতে।

বিচারবিভাগীয় সংস্কার কিছু প্রশ্ন

বিচার বিভাগের সংস্কার বলতে আপনারা কী বোজেন জানি না, আমি নিজেও বুঝি না ইংরেজদের হাতে লুঠ জায়েজ করার জন্যে তৈরি বিচার বিভাগের এই জাতি রাষ্ট্রতে উদ্দেশ্য কী আর তাকে আমূল সংস্কার করে কীই বা ছেঁড়া যাবে?
আচ্ছা, আপনাদের কথা মেনে বিচার বিভাগের সংস্কার হল। তাকে তো নির্ভর করতে হবে সেই ঔপনিবেশিক কাঠামোয় তৈরি পুলিশের রিপোর্টের ওপর, শিখিয়ে দেওয়া সাক্ষী-নাসাক্ষীর ওপর।
কোন পক্ক কেশ বিচারপতি মাথায় ব্রিটিশ পরচুলো পরে, মেকলের হাতে তৈরি দণ্ড সংহিতা নিয়ে, ১৯৩৫এর ভারতরক্ষা আইন নির্ভর করে বছরে আধ কোটি টাকার বেশি মাইনে এবং নানান উপরি পেয়ে কলকাতা বা দিল্লির একটা ঔপনিবেশিক ঘরে বসে কীভাবে ঠিক করবে কে সাধু আর কে দুর্বৃত্ত?

Saturday, December 7, 2019

মুঘল নির্দেশ

মুঘল প্রবীণারা যে নির্দেশ দিতেন তার নাম হুকুম;
মুঘল মহিলা বা হারেমে অবস্থিত মহিলারা যে নির্দেশ দিতেন তার নাম নিশান
আর সম্রাট যে নির্দেশ দিতেন তার নাম ফরমান।যে স্বাক্ষর তার নাম তুঘ্রা
--
একমাত্র নুরজাহান ফরমান লিখতেন আর স্বাক্ষর করতেন নুরজাহান পাদশা বেগম।

সূত্র রুবি লাল, এম্প্রেস, এসটনিশিং রেইন অব নুরজাহান

Friday, December 6, 2019

মুঘলদের তাঁবুতে আম দরবার

রাজধানীর বাইরের জাহাঙ্গিরের আম-দরবারের(আকবরের তাঁবুর মতই) তাঁবুগুলির মধ্যে মূল পাদশাহের তাঁবুতে থাকত তালা-চাবি দেওয়া দরজাওয়ালা ১০০০টা কার্পেট পাতা ৭২টা ঘর। এটা খাঁটাতে ৩৫০ গজ ছড়ানো কাছি লাগত, প্রতি ৩ গজ অন্তর কাছি মাটিতে বাঁধা হত।
সম্রাটের সঙ্গে যে বাহিনী বা লস্করের ছাউনি পড়ত তার দৈর্ঘ ছিল তিন মাইল।
Jahangir’s traveling Hall of Private Audience was similar to that of his father, described in the Akbarnama, which contained 72 rooms decorated with 1,000 carpets, and had proper doors with locks. The structure was held up by ropes that stretched 350 yards and were fastened to poles set 3 yards apart.
রুবি লালের এম্প্রেস - দ্য এসটনিশিং রেইন অব নুরজাহান থেকে

কার্লা সিনোপলি বিজয়নগর রাজত্বে ২০ বছর ধরে কারিগরদের নিয়ে কাজ করেছেন।