ক্ষমতার লেখ্য ইতিহাসের বাইরে বিপুল ব্যপ্ত ইতিহাসের কুড় লুকিয়ে আছে যা ঔপনিবেশিক ক্ষমতাধরদের তৈরি কেন্দ্রিভূত, শুধু রাজা গজাদের বর্ণনার ইতিহাসের অংশ নয়, সেখানে মানুষ সাঁটে বলে রাখে বাইশা বা ষোলআনা মেলা বা বিদ্যালয় আদতে বলে এই সম্মিলত সামাজিক ব্যবস্থাপনার মানে কি, যদু মহেন্দ্রই বা কে বা হরিরামপুরের হরিই বা কে রামই বা কে বা আমাতি মানে কি রামাবতি, ছিরিমতী মানে কি শ্রীমতী, বাণরাজার ঢিবিতে বসে যে মানুষটা এই ১৪২৬ সনের শীতে পিঠ করে গরুকে জাবনা দেয় সে কি মধ্যবিত্ত প্রণোদিত হেরিটেজে আগ্রহী? দিনাজপুরের মালাকারেরা কেন শোলা আর বাঁশ দিয়ে ঘোড়া তৈরি করেন, যে ঘোড়া যুদ্ধ সমাজ নয় বলে পরিচিত সাঁওতালেরা নিয়ে বিয়েতে যায় - হাতি নিয়ে যান না কেন, যে হাতি বাংলার নিজস্ব - ঘোড়া ত নয় - ঘোড়া তো বহিরাগত এবং সাঁওতালদের সঙ্গে ঘোড়ার সঙ্গে দূরতম সম্পর্ক আছে বলে সাঁওতালেরাও বলেন না?
ইতিহাস লুকিয়ে আছে এই খোঁজগুলোর মধ্যে, ক্ষমতার ইতিহাস অতীত জানার একটা মাত্র ঘুলঘুলি উন্মুক্ত করে। যার ইচ্ছে থাকে সেই এই সাঁটগুলি থেকে হাঁচড়ে পাঁচড়ে ইতিহাস বার করে।
ইতিহাস মানে মেডিজি নয়, গুলে খাইয়ে দেওয়া নয়, পথেঘাটে কথ্যভাষায় ছড়িয়ে থাকা হাজারো ইঙ্গিতে উদ্দিষ্ট বার্তা পৌঁছে দেয় অধিকারীর হাতে, যার লেগে থাকার দম থাকে।
No comments:
Post a Comment