Saturday, November 30, 2019

ওয়েলথ এন্ড পভার্টি অব নেশনস

কারোর যদি ল্যান্ডিসের ইওরোতান্ত্রিক ভাবনায় লিখিত ওয়েলথ এন্ড পভার্টি অব নেশনস পড়তে হয়, নামিয়ে নিন।
https://tsu.ge/data/file_db/faculty_humanities/Landes%20-%20The%20Wealth%20and%20the%20Poverty%20of%20Nations.pdf

সোমা মুখোপাধ্যায়ের রয়্যাল মুঘল লেডিজ এন্ড দেয়ার কন্ট্রিবিউশন

সোমা মুখোপাধ্যায়ের বইটা যদি কারোর প্রয়োজন হয়... https://drive.google.com/file/d/1Bkfdx1Pgp5HGdgE3AKX82QqTo60aIJLx/view?usp=sharin

তাজমহন প্রেমকথা

কেউ ইন্দু সুদর্শনের জাহাঙ্গির আর মেহেরুন্নিসার প্রেমকথাতিনটি খণ্ড পড়েছেন? কেমন লেগেছে?

সোমা মুখোপাধ্যায়ের বইটি অসাধারণ

ইরা মুখোটি বা রুবি লাল বা এলিসন ফিন্ডলির বইগুলির মত সোমা মুখোপাধ্যায়ের এই বইটা অসাধারণ, স্রেফ অসাধারণ

মুঘল হারেমে জ্ঞান চৌপর আর পঁচিসি

কয়েক দিন আগে পেনসিলভেনিয়া ইন্সটিটিউটে থাকা জ্ঞান চৌপর এবং পঁচিশি নিয়ে লিখেছিলাম, যদি আপনাদের মনে থাকে। মুঘল শাসক পরিবারের মহিলারা বিশেষ করে জেবউন্নিসা এই খেলাটি খেলতে ভাল বাসতেন এই উল্লেখটি পেলাম সোমা মুখোপাধ্যায়ের রয়্যাল মুঘল লেডিজ এন্ড দেয়ার কন্ট্রিবিউশন বইটিতে।
Chaupar
Another popular indoor game of the Mughals was Chaupar. Both the Mughal men and ladies took interest in it and this game has existed in our country since ancient times. As in the Mughal days, it was a popular pastime in the royal and aristocratic families. Chaupar is played on a cloth board which is in the shape of a cross. "Each arm of the cross is divided into 24 squares in three rows of eight each, twelve red and twelve black."*’ In the centre the arms meet in the form of four triangles to form a large black square. "Tlie cross is called Chaupar, the arms Phansa, the square Khana."" On the same board three types of games were played under three different names with certain differences. They were Chaupar, Chausar and Pachisi. On this board, the game played with dice is called Phansa and that played with cowries called Pachisi. Emperor Akbar liked the game of Chaupar. Through this game he measured the talents of a man and taught kindness.'* Many noblemen also took part in it and "there were often as many as t\vo hundred players and no one was allowed to go home before he had finished 16 games, which in some cases lasted three months."' Among the Mughal ladies. Princess Zeb-un-Nisa is said to have been fond of the game of Chaupar.'
Pachisi
Pachisi was a very popular game of Indian origin. It was a favourite with the Mughal ladies. The pachisi board consisted of four triangles with their sides placed in such a manner that it formed a square in the centre. Each rectangle was divided into 24 smaller squares, each of which further consisted of three rows of eight squares each. The game was played with gols or golis which were ivory or wooden cones of a particular colour for each player. Usually four persons played it, each one sitting opposite to one of the rectangles

১ম সংস্করণ শেষ২

প্রথম সংস্করণের শেষ দুটো বই বাংলাদেশে গেল। প্রত্যেককে ধন্যবাদ।
বর্ধিত হার্ড কভারের দ্বিতীয় সংস্করণ অগ্রাহণের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ পাবে।

১ম সংস্করণ শেষ


উপনিবেশ বিরোধী চর্চা মাটি পাচ্ছে। পলাশী পূর্ব বাণিজ্য ১ম সংস্করণ শেষ। প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ। মেলায় আরও এক ঝাঁক বই আসছে। জয় বাংলা।

এশিয়ায় পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের উত্থানপতন

বাংলায় রাবণ-রাজ

দুই প্রখ্যাত কারিগরের সংযোগে বিশ্বের দ্বিতীয় কিউটেস্ট রাবণ
মুখা নেপাল সূত্রধর। শোলার মুকুট Madhumangal Malakar
চড়িদা এবং মুষ্কিপুর
বাঙ্গালির জয় হোক।

বাংলায় নতুন আওরঙ্গজেবের এক বছর

বাংলায় শেকড় ছড়াচ্ছে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলন
আত্মজার Arunava শেষ দেখেই ছেড়েছিল এক বছর আগে। এক বছর ধরে Audrey Truschkeর অড্রে ট্রুস্কের "আওরঙ্গজেব দ্য ম্যান এন্ড দ্য মিথ" বইটা প্রদর্শন/বিক্রি করেছে আত্মজা পাবলিশার্স। আমরা আওরঙ্গজেব পড়তে শিখেছি আচার্য যদুনাথ সরকার ইত্যাদির একমাত্রিক ঐতিহাসিক বয়ানে। ট্রুস্কের আওরঙ্গজেব আওরঙ্গজেব সাদা-কালোয় চিত্রিত হয়েছেন। সেই ব্যতিক্রমী কাজ বাংলায় নিয়ে আসতে পেরে আনন্দ হচ্ছে। একরামূল হক শেখদাদা, DillUr এবং আরও অনেকেই স্বইচ্ছায় বইটির প্রচার দিয়েছেন, তাঁদের অজস্র কৃতজ্ঞতা।
বইটা উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীদের খুব কাজের। সব থেকে আকর্ষণীয় দিক, এটা আম-জনতার পাদটিকাহীন সুস্বাদু তরতরিয়ে পড়া যায় এমন জীবনী পাঠের বই যেমন, তেমনি যারা পাদটিকা-রসে বঞ্চিত না থেকে মানুষটার ঐতিহাসিক তাত্ত্বিক রূপ রস গন্ধ খুঁজবেন, তারাও অসামান্য রসদ পাবেন। ট্রুস্কে বেশ কিছু ফার্সি ভাষার পাণ্ডুলিপি থেকে তথ্য আহরণ করেছেন যেগুলি আজও প্রকাশনার মুখ দেখে নি।
অড্রে বইতে সরাসরি বলেছেন আওরঙ্গজেব ইতিহাসের খলনায়ক কেন। তারমানে এই নয় অড্রে আওরঙ্গজেবকে মহান বানাবার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। নানান অনৈতিক কাজের সমালোচনা যেমন করেছেন তেমনি আওরঙ্গজেবকে যেভাবে ঔপনিবেশিক ইতিহাস খলনায়ক বানিয়ে তার প্রয়োজনীয় সম্মানটুকু থেকে বঞ্চিত করেছেন, তিনি সেই ঐতিহাসিক ভুলটা খণ্ডন করেছেন।
আশাকরি বাংলা প্রকাশনা জগতে ট্রুস্কের বইটা নতুন করে বিতর্ক জাগাবে এবং ইতিহাসে সব থেকে ঘৃণিত পাদশার অন্তঃস্থলে অবশ্যই পৌঁছবার চেষ্টা করবে বাঙালি। এইটুকু তো আশাই করা যায়!
----------------------------------------
স্পষ্ট করে কতগুলো কথা বলা দরকার। অড্রে ট্রুস্কে হিন্দুত্ববাদী এবং তাদের জনক ঔপনিবেশিক ইতিহাসকারদের কাছে ঘৃণিততম ব্যক্তিত্ব আওরঙ্গজেবকে নিয়ে কলম ধরেছেন। নেটে গেলে বুঝবেন কিভাবে হিন্দুত্ববাদী ওয়েবসাইটগুলো তার বিরুদ্ধে গোলাগুলি চালাচ্ছে। বলা দরকার হিন্দুত্ববাদীদের ঘৃণার বারুদে জল ছেটানোর কাজ করছেন ট্রুস্কে নিয়মিত হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বিপক্ষে লিখে।
আমাদের কাছে আওরঙ্গজেব এবং তাঁর সময় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এই কারণেই যে আওরঙ্গজেব মারা যান পলাশী চক্রান্তের ঠিক ৫০ বছর আগে। ফলে আমরা যারা ঔপনিবেশিক পূর্ব সময়কে, উদ্বৃত্ত অর্থনীতির দেশ বাংলা তথা সামগ্রিক উপমহাদেশের অবস্থা কারিগরদের চাষীদের অবস্থা জানতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই আওরঙ্গজেবকে এবং তাঁর সময়কে জানতে হবে। এই উদ্বৃত্ত অর্থনীতির কিছুটা শ্রেয় আমাদের দিতে হবে আওরঙ্গজেবকেও। তাই ট্রুস্কের বইটাকে ধরা।
আরও একটা বড় ব্যাপার হল, সাধারণতঃ শিক্ষাক্ষেত্রের গবেষণা সংক্রান্ত বইগুলি হয় ধরিমাছ না ছুঁই পানি অথবা সরাসরি উপনিবেশের পক্ষে বিবৃতি দান গোছের। অড্রে ট্রুস্কে সে পথ সযত্নে পরিহার করেছেন, বরং সজোরে তাঁরা ধারণা প্রকাশ্যে বিবৃত করতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা বোধ করেন নি।
অড্রে ট্রুস্কের আওরঙ্গজেব সংক্রান্ত গবেষণা কতটা সমসাময়িক সেটা বোঝা যায় এই তিন মন্তব্যে -
১) "ভদ্রবিত্তিয় দৃষ্টিভঙ্গীতে কোন এক বড় কাঠামোর পতনের কারণ(মোঘল সাম্রাজ্য পতনের কারণ) খোঁজার সমস্যার সমাধানের গল্প তৈরি হয় সেই ঝামেলার একটি নৈতিকতা নির্ভর গল্প তৈরি করে, সেই গল্পে, সেই পরিবেশে একজন নায়ককে দুর্বৃত্ত হিসেবে গুঁজে দিয়ে, সেই বেঁড়ে ব্যাটাকেই বিশাল বড় সাম্রাজ্যের পতনের মুল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করায়। আজকাল ইতিহাসে মুসলমানেদের দুর্বৃত্ত দেখানোটাই চল হয়েছে। আওরঙ্গজেবের ঐতিহাসিকদের সহজ টার্গেট হন তার গভীর ধর্মচর্চার কারণে।"
২) "আওরঙ্গজেবকে নিয়ে দুটি ভাষ্য বাজারে চালু রয়েছে – ধর্মান্ধ আওরঙ্গজেব এবং ধার্মিক আওরঙ্গজেব। এই দুটোই বিভ্রান্তকারী – এবং বহু সময় বিধ্বংসীও বটে – যেভাবে অতীতে ধর্মান্ধ আওরঙ্গজেবকে উপস্থাপন করা হয়েছে হিন্দু আর হিন্দুস্থানের ধ্বংসকারী হিসেবে। রাজনৈতিক নেতা এবং অন্যান্যরা ভারতে এই ধারনাটা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন মুসলমান বিরোধিতা এবং বিদ্বেষ চাগিয়ে তোলার জন্যে এবং ভারতীয় মুসলমানেদের দাগিয়ে দেন বিপজ্জনক বিশ্বাসঘাতক হিসেবে। আওরঙ্গজেব নিজে গোঁড়া মুসলমান ছিলেন এই ধারনাটাও সমস্যার – মহম্মদ ইকবালের ভাষায় Muslim—an Abraham in India’s idol house। এই ধারনাটির প্রতীতিটি হল মুসলমানেদের মূলত ধার্মিক বিশ্বাসেই নির্ভরতা এবং ইসলামের সঙ্গে হিন্দুত্বের সঙ্গে ইসলামের তফাত ঘোচার নয়। ভারতের ক্ষেত্রে এটার অর্থ সমঝে দেওয়া হয় মুসলমানেরা পুরপুরি ভারতীয় হতে পারে না, উল্টো দিকে পাকিস্তানের বয়ান বলে সব নাগরিককে একটা নির্দিষ্ট ধরণের ইসলামের অনুগামী হতেই হবে।"
এবং
৩) “তিনি আধুনিককালের আধুনিক মনন সঞ্জাত হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্ব তৈরিতে উৎসাহীই ছিলেন না – বরং তিনি যাকে ন্যয় বিচার বলে ভাবতেন সেটি দেওয়ার চেষ্টা করতেন, মুঘল প্রথা অনুসরণ করতেন এবং উপমহাদেশে তাঁর পকড় বজায় রাখার উপায় বার করতেন।”
গত এক বছর সহৃদয় পাঠকেরা নতুন এক আওরঙ্গজেবের জন্যে উৎসাহী হয়েছেন। যুবা প্রকাশককে ধন্যবাদ এ ধরণের ব্যতিক্রমী বই বাজারে আনার সাহস দেখাবার জন্যে।

দিনাজপুরেরর গ্রামে কীর্তন

আহা, শীতের ওম মেখে মাটির বাড়িতে কীর্তন!
Madhumangalদার বাড়িতে।

মাদ্রাসা ইন এশিয়া - পুস্তক পরিচিতি

Since the rise of organizations like the Taliban and Al Qaeda, the traditional Islamic school known as the madrasa has frequently been portrayed as a terrorist hotbed. For much longer, the madrasa has been considered by some as a backward and petrified impediment to Islamic social progress. However, for an important segment of the poor Muslim populations of Asia, madrasas constitute the only accessible form of education and an opening to the wider world. This comprehensive volume presents a representative overview of the unknown world behind the walls of these institutions in nations such as China, Indonesia, Iran, and Pakistan, showcasing the educational changes and transnational networks that help to produce an alternative form of globalization.

কারিগরদের থাকবন্দী


কারিগরদের থাকবন্দী, ব্রিটিশ মিথ উভয়েই সত্য। দিনাজপুরের কুমোরদের গোটা গ্রাম রাজবংশী সমাজের, পালেরা প্রায় ব্রাত্য। আরও উদাহরণ চাই?

Friday, November 29, 2019

পারসিক অভিধান এবং বাংলা সাহিত্যে যবন-দোষ খণ্ডন

বিদ্যাসাগর মশাইয়ের শিক্ষক, জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের পারসিক অভিধানের জবানবন্দী এবং প্রথম পাতা।জয়গোপাল অভিধানটা লিখেছিলেন বাংলা থেকে পারসিক শব্দ বাদ দেওয়ার অভিপ্রায়ে। সঙ্গে রইল গুরুর পদাঙ্ক অনুসরণকারী বিদ্যাসাগর মশাইয়ের যতদূরসম্ভব পারসিক বর্জিত গদ্য নমুনা।
বিদ্যাসাগর মশাই তার আগের সময়ের সাহত্যিক প্রকাশভঙ্গী বদলে আধগজি সংস্কৃত অনুপ্রাসওয়ালা বাংলা শব্দ লেখা শুরু করলেন।তাঁর ১০০ বছর আগের রামপ্রসাদ লিখেছেন 'তারা গণ্ডযোগে জন্ম আমার॥ গণ্ডযোগে জন্ম হলে সে হয় যে মা-খেকো ছেলে। এবার তুমি খাও কী আমি খাই মা, দুটার একটা করে যাব॥ ডাকিনী যোগিনী দুটা, তরকারি বানায়ে খাব। তোমার মুণ্ডমালা কেড়ে নিয়ে, অম্বলে সম্ভার চড়াব॥ অসামান্য সহজ সরল অথচ জটিল তাত্ত্বিক প্রকাশভঙ্গীওয়ালা বাংলা সাহিত্যের ভাষা ব্যবহার পালটে তথাকথিত সাধুভাষা চালাতে উদ্যোগী হলেন বিদ্যাসাগর মশাই এবং তাঁর উত্তরাধিকারীরা।
বিদেশি পারসিক ভাষা মুক্ত শুদ্ধ বাংলা তাঁরা চাইলেন। মুখবন্ধ লেখা হল বাংলা এবং শুদ্ধ ইংরেজিতে। ইংরেজি বিদেশি ভাষা হিসেবে পরিগণিত হল না। আজও হয় না।
জয় নবজাগরণের জয়।

Wednesday, November 27, 2019

কৃতজ্ঞতা

আমরা বাঙলার কারিগরেরা বঙ্গবাসী কলেজের প্রাক্তণ অধ্যক্ষ্য সুব্রত বাগচীদার কাছে অতীব কৃতজ্ঞ থাকব।এই যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন প্রসূন ভৌমিক। এই দুজনের চেষ্টায় সংগঠনের সম্মেলনের জন্যে মহাবিদ্যালয়ের দরজা খুলে গিয়েছিল, তাঁরা শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এই সম্মেলন আর গ্রামকৃষ্টি উৎসবে অংশ নিতে। সুব্রতদার নতুন কর্মজীবনের জন্যে শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকবেন।

ক্ষিতিদা শেষ যাত্রায় গেলেন



ক্ষিতিদা শেষ যাত্রায় গেলেন। পারিবারিক দুর্যোগ এবং ক্ষিতিদার শেষ যাত্রার ছবি মনখারাপ আরও বাড়িয়ে দিল।
বছর দশেক আগে যুক্ত ফ্রন্ট বানিয়ে ক্ষিতিদাদের সঙ্গে মিলে বামফ্রন্ট বিরোধী একটা অসম লড়াই লড়ছিলাম অনেকেই। মনে আছে আরএসপির বোলপুর সম্মেলনে অভির নেতৃত্বে আমরা অনেকেই গিয়ে কেমিক্যাল হাব, হরিপুর এবং আরও অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিই। মজার হল সেই সম্মেলনেই মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়ে যায় আরএসপি ফ্রন্ট ছাড়ছে না। কেন ছাড়া হল না সে গপ্প করেছিলেন ক্ষিতিদা সিপিএমের কর্মীরা তাঁর গলার মাপ নেওয়ার হুমকির গপ্প করতে করতে তাঁদের পার্টি প্রেসের দপ্তরে মুড়ি খেতে খেতে।
অমান্য মানুষ ছিলেন তিনি। বড় দিলের নেতাদের মতই অসামান্য স্মৃতি শক্তি এবং মানবিক গুণাবলী যে ছিল, সেই তিন বছরে বারবার টের পেয়েছি। এক্কেবারেই ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করি। ললিতাকে তিনি একবারই মাত্র দেখেছিলেন। বছর পাঁচেক পরে, শিক্ষাবিদ-মন্ত্রী জ্যোতি ভট্টাচার্যর নাতনি, সুতনুদার মেয়ের বিয়েতে দেখা হতেই প্রথমে ললিতার নাম ধরে কুশল এবং কাজকর্ম সম্বন্ধে তত্ত্বতলাশ করলেন। ললিতা মোটেই বিখ্যাত কেউ নয়, বা আমি খুব ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনাও করতাম না, কিন্তু ক্ষিতিদা সেই আলাপের স্মৃতি ঠিক মনে রেখে দিয়েছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তণ পূর্তমন্ত্রী হিসেবে তার সেটা মনে রাখার কথা নয়, আর আমাকেও সন্তুষ্ট রাখার তাঁর কোনও দায় ছিল না।
ফ্রন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুবাদে বেশ কিছু বাম নেতা আমি দেখেছি। কিন্তু তিনজন ঘোরতর রাজনীতির মানুষ অসামান্যভাবে এই তুচ্ছ আমির জীবনে দাগ কেটেছেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায় আর খুবই কম সময়ের আলাপে ক্ষিতি গোস্বামী আর শক্তিমান ঘোষ।
তাঁর রাজনীতির কার্যকলাপ মহাকালের হাতে ছেড়ে দিলেও, এই প্রতিযোগিতাময় উন্নাসিক ব্যক্তিসর্বস্ব রাজনীতির জগতে তিনি অসামান্য মানুষ ছিলেন যার সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেওয়া যেত, সেটা চিরকাল মনে থাকবে।
মানবিক হৃদয়ের ক্ষিতি গোস্বামী বেঁচে থাকবেন।