ছবিতে অসামান্য নাস্তালিকে লেখা আছে চিত্রকর হাশিম, ১১ দ্বিতীয় জুমাদা, সোমবার ১৬২৯এর ২৭ জানুয়ারিতে আঁকা।
লেখা আছে এই বয়েৎটি
দরবেশেরদের বন্ধু সম্রাটকে বাঁচিয়ে রেখো
যার ছায়ায় সারা বিশ্বের মানুষ শান্তিতে থাকে
মানুষদের ভালকরার মানুষটিকে সুস্থ রেখো
তার হৃদয়কে সুস্থ রেখো যিনি সর্বশক্তিমানের অনুগামী।
দরবেশেরদের বন্ধু সম্রাটকে বাঁচিয়ে রেখো
যার ছায়ায় সারা বিশ্বের মানুষ শান্তিতে থাকে
মানুষদের ভালকরার মানুষটিকে সুস্থ রেখো
তার হৃদয়কে সুস্থ রেখো যিনি সর্বশক্তিমানের অনুগামী।
মুঘল শুলইকুলের(সকলের জন্যে শান্তি) নীতি অনুযায়ী সম্রাটের পায়ের কাছে একটি ভেড়া এবং একটি সিংহ যৌথভাবে অবস্থান করছে। মাথার ওপর মঙ্গলদায়ক বর্ষার মেঘ, তিনজন পুট্টির একজন রত্নশোভিত রাজ তরোয়াল আর একজন শিরস্ত্রাণ বহন করে আনছে, তৃতীয়জন মাঝে ধরে আছে সাম্রাজ্যিক রাজচ্ছত্র। সম্রাটের লাল-বেগুনি পাজামায় সোনালী এবং রূপালি ফুলে ছোপানো। তিনি কারনেলিয়ান পাথর শোভিত একটি সোনার মাদুলি ধারণ করে আছেন
শাহজাহানের সিংহাসন আরোহনের পরে দরবার আঁকিয়ে হিসেবে হাশিমের ভাগ্য খুলে যায়। তিনি একদা দক্ষিণের অভিজাতদের বিপুল ছবি এঁকেছেন। কিন্তু সম্রাট, তার পরিবার এবং আত্মীয় আর সম্রাটের আশেপাশে থাকা অভিজাতদের বিপুল ছবি এঁকেছেন। তিনি অন্যান্য আঁকিয়েদের মত একটাই ফিগার আঁকতেন না, একটি ছবিতে অনেকগুলি চরিত্র নিয়ে অনেক জটিল কম্পোজিশনের কাজ করতেন - বিশেষ করে দরবার এবং শিকারের প্রচুর ছবি ইনি এঁকেছেন।
No comments:
Post a Comment