ক্ষিতিদা শেষ যাত্রায় গেলেন। পারিবারিক দুর্যোগ এবং ক্ষিতিদার শেষ যাত্রার ছবি মনখারাপ আরও বাড়িয়ে দিল।
বছর দশেক আগে যুক্ত ফ্রন্ট বানিয়ে ক্ষিতিদাদের সঙ্গে মিলে বামফ্রন্ট বিরোধী একটা অসম লড়াই লড়ছিলাম অনেকেই। মনে আছে আরএসপির বোলপুর সম্মেলনে অভির নেতৃত্বে আমরা অনেকেই গিয়ে কেমিক্যাল হাব, হরিপুর এবং আরও অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিই। মজার হল সেই সম্মেলনেই মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়ে যায় আরএসপি ফ্রন্ট ছাড়ছে না। কেন ছাড়া হল না সে গপ্প করেছিলেন ক্ষিতিদা সিপিএমের কর্মীরা তাঁর গলার মাপ নেওয়ার হুমকির গপ্প করতে করতে তাঁদের পার্টি প্রেসের দপ্তরে মুড়ি খেতে খেতে।
অমান্য মানুষ ছিলেন তিনি। বড় দিলের নেতাদের মতই অসামান্য স্মৃতি শক্তি এবং মানবিক গুণাবলী যে ছিল, সেই তিন বছরে বারবার টের পেয়েছি। এক্কেবারেই ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করি। ললিতাকে তিনি একবারই মাত্র দেখেছিলেন। বছর পাঁচেক পরে, শিক্ষাবিদ-মন্ত্রী জ্যোতি ভট্টাচার্যর নাতনি, সুতনুদার মেয়ের বিয়েতে দেখা হতেই প্রথমে ললিতার নাম ধরে কুশল এবং কাজকর্ম সম্বন্ধে তত্ত্বতলাশ করলেন। ললিতা মোটেই বিখ্যাত কেউ নয়, বা আমি খুব ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনাও করতাম না, কিন্তু ক্ষিতিদা সেই আলাপের স্মৃতি ঠিক মনে রেখে দিয়েছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তণ পূর্তমন্ত্রী হিসেবে তার সেটা মনে রাখার কথা নয়, আর আমাকেও সন্তুষ্ট রাখার তাঁর কোনও দায় ছিল না।
ফ্রন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুবাদে বেশ কিছু বাম নেতা আমি দেখেছি। কিন্তু তিনজন ঘোরতর রাজনীতির মানুষ অসামান্যভাবে এই তুচ্ছ আমির জীবনে দাগ কেটেছেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায় আর খুবই কম সময়ের আলাপে ক্ষিতি গোস্বামী আর শক্তিমান ঘোষ।
তাঁর রাজনীতির কার্যকলাপ মহাকালের হাতে ছেড়ে দিলেও, এই প্রতিযোগিতাময় উন্নাসিক ব্যক্তিসর্বস্ব রাজনীতির জগতে তিনি অসামান্য মানুষ ছিলেন যার সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেওয়া যেত, সেটা চিরকাল মনে থাকবে।
মানবিক হৃদয়ের ক্ষিতি গোস্বামী বেঁচে থাকবেন।
বছর দশেক আগে যুক্ত ফ্রন্ট বানিয়ে ক্ষিতিদাদের সঙ্গে মিলে বামফ্রন্ট বিরোধী একটা অসম লড়াই লড়ছিলাম অনেকেই। মনে আছে আরএসপির বোলপুর সম্মেলনে অভির নেতৃত্বে আমরা অনেকেই গিয়ে কেমিক্যাল হাব, হরিপুর এবং আরও অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিই। মজার হল সেই সম্মেলনেই মোটামুটি সিদ্ধান্ত হয়ে যায় আরএসপি ফ্রন্ট ছাড়ছে না। কেন ছাড়া হল না সে গপ্প করেছিলেন ক্ষিতিদা সিপিএমের কর্মীরা তাঁর গলার মাপ নেওয়ার হুমকির গপ্প করতে করতে তাঁদের পার্টি প্রেসের দপ্তরে মুড়ি খেতে খেতে।
অমান্য মানুষ ছিলেন তিনি। বড় দিলের নেতাদের মতই অসামান্য স্মৃতি শক্তি এবং মানবিক গুণাবলী যে ছিল, সেই তিন বছরে বারবার টের পেয়েছি। এক্কেবারেই ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করি। ললিতাকে তিনি একবারই মাত্র দেখেছিলেন। বছর পাঁচেক পরে, শিক্ষাবিদ-মন্ত্রী জ্যোতি ভট্টাচার্যর নাতনি, সুতনুদার মেয়ের বিয়েতে দেখা হতেই প্রথমে ললিতার নাম ধরে কুশল এবং কাজকর্ম সম্বন্ধে তত্ত্বতলাশ করলেন। ললিতা মোটেই বিখ্যাত কেউ নয়, বা আমি খুব ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনাও করতাম না, কিন্তু ক্ষিতিদা সেই আলাপের স্মৃতি ঠিক মনে রেখে দিয়েছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তণ পূর্তমন্ত্রী হিসেবে তার সেটা মনে রাখার কথা নয়, আর আমাকেও সন্তুষ্ট রাখার তাঁর কোনও দায় ছিল না।
ফ্রন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুবাদে বেশ কিছু বাম নেতা আমি দেখেছি। কিন্তু তিনজন ঘোরতর রাজনীতির মানুষ অসামান্যভাবে এই তুচ্ছ আমির জীবনে দাগ কেটেছেন, সুভাষ মুখোপাধ্যায় আর খুবই কম সময়ের আলাপে ক্ষিতি গোস্বামী আর শক্তিমান ঘোষ।
তাঁর রাজনীতির কার্যকলাপ মহাকালের হাতে ছেড়ে দিলেও, এই প্রতিযোগিতাময় উন্নাসিক ব্যক্তিসর্বস্ব রাজনীতির জগতে তিনি অসামান্য মানুষ ছিলেন যার সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেওয়া যেত, সেটা চিরকাল মনে থাকবে।
মানবিক হৃদয়ের ক্ষিতি গোস্বামী বেঁচে থাকবেন।
No comments:
Post a Comment