পতাকা এবং নিশান আর এর সঙ্গে বেশ কিছু অব্যবহৃত অস্ত্র দেওয়ানি আমের দরজায় এবং সম্রাটের তাঁবুতে ঝুলত অথবা তিনি যখন কুচ করে চলেছেন তখন অগ্রবর্তী হাতির মাথায় এগুলি রাখা থাকত; এগুলিকে একসাথে বলে কুয়র(Pavet de Courteille, ''Diet.," 425, ceinture, arme, garde)। এগুলির দায়িত্ব দেওয়া থাকত কুয়রবেগী নামক এক পদাধিকারীর ওপর। কোনও কোনও সময় এদের মাহিওমারাতিব নামক সেনাপতি আধিকারিক বলা হত, আবার ব্যতিক্রমীভাবে পাঞ্জা, আক্ষরিক অর্থে খোলা হাতও বলা হত। কুয়রকে ব্যাখ্যা করে ফরাসি মুসাফির গেমেল্লি কারেরি(French ed. iii, 182) বলছেন, আমদরবারের তাঁবুর বাইরে দেখলাম লাল সোনার এম্ব্রয়ডারি করা, বড় চওড়া হাতাওয়ালা ভেলভেটের জামা পরে সূচ্যগ্র গলবন্ধ(pointed collar) যেটি পিছনে ঝুলে পড়েছে, পরিধেয়ওয়ালা ৯ জন প্রহরী সাম্রাজ্যিক নিশান বর্শায়(pikes) গেঁথে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মাঝখানে থাকা সেনাটি একটি সূর্যবহন করছে, তার দুপাশে gilt hand নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তারপরের দুজনের হাতে রয়েছে লালরঙের ঘোড়ারপুচ্ছ। বাকি চার জন হাতে বর্শায় কিছু একটা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, এতদূর থেকে আমার চোখে পড়ে নি।
Ain, i, 50 আমাদের জানাচ্ছে রাজকীয় আটটি নিশানের কথা, যার মধ্যে চারটি শুধুই সম্রাটের জন্যে সংরক্ষিত ছিল। অন্য চারটি প্রয়োজনে প্রজাদের ব্যবহারের জন্যে দেওয়া হত মাঝেমধ্যে। এই আটটি নিশান হল, ১) আড়ং – সিংহাসন, ২) ছত্তর – রাষ্ট্রীয় ছাতা, ৩) সাইবান বা আফতাগির, সূর্যাতপ, ৪) কাউকাভ(plate ix, No. 2) ৫) আলমক বা পতাকা, ৬) ছত্র-তোখ চামরিগাইয়ের লেজ, ৭) তুমনতোখ – চামরিগাইয়ের আরেকপ্রকার লেজ, 8) ঝামাদা বা ভারতীয় পতাকা। এর সঙ্গে আমি জুড়ব মাহিওমারাতিব বা মাছ আর সম্ভ্রম।
মুঘল সম্রাট এবং সাম্রাজ্যের বিভিন্ন নিশানের উৎস এবং বিশদ বিবরণ আমরা পাচ্ছি মিরাটউলইশতিয়া-র ৫ ফোলিওতে
১) পাঞ্জা, খোলা হাতের চেটো, যা আলি তৈমুরের প্রতীক, সম্রাটের সামনে বারবার আনা হত মনের আনন্দ দিতে এবং পূর্বজর পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে দেখাতে। শোনা যায় তৈমুর এটি তৈরি করেছিলেন শিয়াপোষ আদিবাসীদের ওপর বিজয়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে। ১৭৫৩য় জেন্টিল(জাঁ ব্যাপটিস্ট যোসেফ, ফরাসী সেনা অফিসার) দেখেছিলেন সালাবত জংএর অশ্বারোহীদের শোভাযাত্রায় ঘোড়ার পিঠে চারটি আলাদা আলাদা pondjehs বা পাঞ্জা বয়ে নিয়ে যেতে; এগুলি সব তামার তৈরি এবং বর্শার মাথায় রাখা(Memoires, 61)।
২) আলম, একটি পতাকা বা দণ্ড – এটি হুসেনের পতাকা, কারবালায় তৈমুর এটি সংগ্রহ করেছিলেন, এটি তার উজির বাজাঈদ, রামের কাইজারকে দিয়ে যান।
৩) মিজান – এটি দাঁড়িপাল্লা, বিচার দেওয়ার সমদৃষ্টি, ন্যায়াধীশ নুশিরওয়নের থেকে প্রাপ্ত। জেন্টলের মেমোরিতে একটি চিত্র আছে যেটি যতদূরসম্ভব মিজান।
৪) আফতাব বা সূর্য, অগ্নি উপাসকদের হারিয়ে এটি তাদের থেকে নেওয়া।
৫,৬) আঝদা পাইকার, ড্রাগনমুখো – দুই শিংওয়ালা হিন্দের রাজা সিকন্দরের মন্দিরের প্রতীককে পুজো করত, তৈমুর যখন ভারতে আসবেন ঠিক করেন, তখন এটি তাকে উপহার দেওয়া হয়। এর দুটি অংশ, একটা সামনে বাহিত হয় অন্যটা পিছনে।
৭) মাহি বা মাছ সমুদ্রের দ্বীপের উপহার, এটি পুজো করা হত
8) কুমকোয়াশ(Steingass, 989, পাত্র, জগ, বা বাতি) – এগুলি ভারতীয় রাজাদের থেকে সংগৃহীত। Ajn-i-Akbarl, i, 50 তে যে কাউকাবার কথা বলা হয়েছে সেটা যতদূরসম্ভব এইটা(figure No. 2 on plate ix দেখুন)। জেন্টিল মেমোরিতেও একটা প্লেটে এই বিষয়টা উল্লিখিত হয়েছে। Steingass, 1063, এ বলছেন একটা লম্বা দণ্ডে পালিশ করা ইস্পাতের গোলাকার বল ঝুলত, এটি নিশান হিসেবে সম্রাটের সামনে নিয়ে যাওয়া হত। কারেরি iii, 182 তে বলছেন দুটি gilt hands এর মাঝে একটি সোনালি বল জঞ্জির দিয়ে ঝোলানো আছে। এর সঙ্গে তিনি জোড়েন, সেনা যখন কুচ করে তখন সেনার সামনে রেখে হাতির মাথায় চাপিয়ে এটি নিয়ে যাওয়া হয়।
এই সব নিশান সাতটি মহাদেশে বিজয়ের চিহ্ন হিসেবে সম্রাটের সামনে প্রদর্শিত হত।
মুঘল সম্রাট এবং সাম্রাজ্যের বিভিন্ন নিশানের উৎস এবং বিশদ বিবরণ আমরা পাচ্ছি মিরাটউলইশতিয়া-র ৫ ফোলিওতে
১) পাঞ্জা, খোলা হাতের চেটো, যা আলি তৈমুরের প্রতীক, সম্রাটের সামনে বারবার আনা হত মনের আনন্দ দিতে এবং পূর্বজর পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে দেখাতে। শোনা যায় তৈমুর এটি তৈরি করেছিলেন শিয়াপোষ আদিবাসীদের ওপর বিজয়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে। ১৭৫৩য় জেন্টিল(জাঁ ব্যাপটিস্ট যোসেফ, ফরাসী সেনা অফিসার) দেখেছিলেন সালাবত জংএর অশ্বারোহীদের শোভাযাত্রায় ঘোড়ার পিঠে চারটি আলাদা আলাদা pondjehs বা পাঞ্জা বয়ে নিয়ে যেতে; এগুলি সব তামার তৈরি এবং বর্শার মাথায় রাখা(Memoires, 61)।
২) আলম, একটি পতাকা বা দণ্ড – এটি হুসেনের পতাকা, কারবালায় তৈমুর এটি সংগ্রহ করেছিলেন, এটি তার উজির বাজাঈদ, রামের কাইজারকে দিয়ে যান।
৩) মিজান – এটি দাঁড়িপাল্লা, বিচার দেওয়ার সমদৃষ্টি, ন্যায়াধীশ নুশিরওয়নের থেকে প্রাপ্ত। জেন্টলের মেমোরিতে একটি চিত্র আছে যেটি যতদূরসম্ভব মিজান।
৪) আফতাব বা সূর্য, অগ্নি উপাসকদের হারিয়ে এটি তাদের থেকে নেওয়া।
৫,৬) আঝদা পাইকার, ড্রাগনমুখো – দুই শিংওয়ালা হিন্দের রাজা সিকন্দরের মন্দিরের প্রতীককে পুজো করত, তৈমুর যখন ভারতে আসবেন ঠিক করেন, তখন এটি তাকে উপহার দেওয়া হয়। এর দুটি অংশ, একটা সামনে বাহিত হয় অন্যটা পিছনে।
৭) মাহি বা মাছ সমুদ্রের দ্বীপের উপহার, এটি পুজো করা হত
8) কুমকোয়াশ(Steingass, 989, পাত্র, জগ, বা বাতি) – এগুলি ভারতীয় রাজাদের থেকে সংগৃহীত। Ajn-i-Akbarl, i, 50 তে যে কাউকাবার কথা বলা হয়েছে সেটা যতদূরসম্ভব এইটা(figure No. 2 on plate ix দেখুন)। জেন্টিল মেমোরিতেও একটা প্লেটে এই বিষয়টা উল্লিখিত হয়েছে। Steingass, 1063, এ বলছেন একটা লম্বা দণ্ডে পালিশ করা ইস্পাতের গোলাকার বল ঝুলত, এটি নিশান হিসেবে সম্রাটের সামনে নিয়ে যাওয়া হত। কারেরি iii, 182 তে বলছেন দুটি gilt hands এর মাঝে একটি সোনালি বল জঞ্জির দিয়ে ঝোলানো আছে। এর সঙ্গে তিনি জোড়েন, সেনা যখন কুচ করে তখন সেনার সামনে রেখে হাতির মাথায় চাপিয়ে এটি নিয়ে যাওয়া হয়।
এই সব নিশান সাতটি মহাদেশে বিজয়ের চিহ্ন হিসেবে সম্রাটের সামনে প্রদর্শিত হত।
উইলিয়াম আরভিনের আর্মি অব দ্য ইন্ডিয়ান মুঘলস থেকে
No comments:
Post a Comment