১) বাবরি মামলায় যা রায় দিয়েছে কোর্ট তাতে গুরু আদবানিকে ফাঁসিকাঠে ঝোলাবার সুযোগ করে রাখল।
২) এটাও ঔপনিবেশিক আদালতীয় প্রমান নির্ভর ব্যবস্থার বাইরে দাঁড়ানোর একটা ঘটনা হয়ে রইল। ব্রিটিশ কেস ল'র বিপরীতে এটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকল। ভবিষ্যতে শুধুই ভোটে জিতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে এবং জনগণের ধারণার দোহাই দিয়ে কোনও প্রমান ছাড়া উচ্চ আদালতে এরকম একটা রায় দিতে পারে। অর্থাৎ এরপরে কোনও দিন হয়ত কোর্ট বলবে জনগণের চাহিদা হল ওমুক তমুক, সেগুলি পালন করা হোক।
পেন্ডিং বিপ্লব নিয়ে বামপন্থীরা এরকম কিছু ভেবে দেখতে পারেন।
পেন্ডিং বিপ্লব নিয়ে বামপন্থীরা এরকম কিছু ভেবে দেখতে পারেন।
৪) নেহরু-মহলানবিশ ইত্যাদিদের চেষ্টায় ইওরোপমন্য মধ্যবিত্তকে বাঁচানোর রাষ্ট্রীয় রক্ষাকবচগুলির গুষ্টির ষষ্ঠিপুজো হচ্ছে।উপনিবেশের ফল, কংগ্রেস এবং বাম তাত্বিকদের হাতে তৈরি ঔপনিবেশিক হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্তানি তত্ত্ব শেষ অবদি আদবানী-বাজপেয়ীও রক্ষা করেছিলেন, তার পোংগা মারছে দুই গুজরাটি।
৫) মোদি-শা জুটি ঔপনিবেশিক কাঠামোগুলো একে একে দুর্বল করে যতটুকু তার ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছিল, তাকে ভাঙছেন। কেন্দ্রিয় প্রশাসনে ল্যাটারাল এন্ট্রির ব্যবস্থা, কেন্দ্রিয় ব্যাঙ্কের তথাকথিত স্বস্বাধীনতা কাড়া এবং এনআরসি আর অযোধ্যার মত গুরুত্বপূর্ণতম মামলায় কেন্দ্রিয় বিচার তথাকথিত নিরপেক্ষতাকে চুরচুর করে ব্যবস্থাকে উলঙ্গ করে দেওয়া।
No comments:
Post a Comment