স্কিম্যাটিক ডায়াগ্রাম ১য়ে চুল্লির মুখটিতে সবুজ কাঠি
সাজিয়ে এবং তার ওপর কাদার প্রলেপ দিয়ে একটি যে ট্যাপার্ড(ঢালু?) ভূমিতল তৈরি করা
হয়েছে, যাতে আকরিক লোহা এবং চারকোলকে আগুনে ঝলসিয়ে নিয়ে চুল্লির ভেতরে ঠেলে দেওয়া
যায়। ভুমিতলের সর্বাধিক উচ্চতা ৮০০ থেকে ১০০০মিমি। এবং এটির ওপরটি ১০০ মিমি মোটা
কাদার চাদরে মোড়া। এর তিনটি কাজ
১) চারকোলকে আগে থেকে গরম করে ঠিকমত জ্বলার জন্য তৈরি
করে রাখা
২) আকরিক লোহাকে শুকনো করা এবং আগে থেকে গরম করে রাখা
৩) এই গরম বস্তুগুলোকে চুল্লিতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া।
চুল্লিতে হাওয়া দেওয়া(সাপ্লাই অব দ্য ব্লাস্ট)
চুল্লিতে হাওয়া দেওয়ার জন্য পা দিয়ে চালানো একটি যন্ত্র
তৈরি করেছেন আদিবাসীরা। এটির মান ভাট্টি। ডায়ামিটারে ২৮০ মিমি এবং উচ্চতা ১০০
মিমি। হাওয়া দেওয়ায় যন্ত্রটি(বেলো বা ভাট্টি) কাঠের দুটি বাঁখারি গোল করে তাতে
হরিন বা বুনো মহিষের শুকনো চামড়া দিয়ে ঘেরা। এই হাওয়া দেওয়ার যন্ত্রটির মাথায় একটি
১০০ মিমির ফুটো রয়েছে, যার ভেতরটি চামড়ার চাদরে মোড়া। এই চাদরটির কাজ হল মাত্র এক
দিকে হাওয়া চালানোর প্রবেশ পথ তৈরি করে দেওয়া। এই দুটি বেলোর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া
হয়েছে আগের বর্ণিত ৫ থেকে ১০ মিলিমিটারের অন্তর্বর্তী ব্যসওয়ালা এবং ৩০০ মিটার
দীর্ঘ দুটি বাঁশের টুয়ার(ফার্নেসে হাওয়া দেওয়ার যন্ত্র)। এই বেলোগুলি স্তরীভুত
মোটা পাথরের ওপরে দৃঢ়ভাবে বসানো, যাতে এগুলিকে সহজে সরানো না যায়। স্কিম্যাটিক
ডায়াগ্রাম ৩(প্রবন্ধে ৬য়ে)য়ে দেখানো হয়েছে একজন যন্ত্রবিদ কিভাবে বেলোগুলি চালনা
করছেন। মাত্র একজন মানুষ সেই দুটি বেলোর ওপরে দাঁড়িয়ে একের পর একটিকে নীচের দিকে
চাপ দিয়ে সেগুলি দিয়ে চুল্লিয়ে হাওয়া প্রবেশ করাচ্ছেন। বেলোর ওপরের অংশটি ওপরের
দিকে ওঠার প্রযুক্তিটি হল, ওপরের অংশটিকে ওপরের দিকে লাগানো একটি সবুজ বাঁশের
সঙ্গে চামড়ার সুতো দিয়ে বেঁধে রাখা। বেলোর নীচের দিকে যাওয়ার প্রযুতিটি হল, সেই
বাঁশের অন্য প্রান্তটি একটু দূরে, ভূমির সঙ্গে দৃঢ় ভাবে গেঁথে রাখা, যাতে এটি
বেলোয় পায়ের চাপের চলনের সঙ্গে সঙ্গে বাঁশের স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতার ধর্ম মেনে
বেঁকে যায় আবার পায়ের চাপ ছেড়ে দিলে আগের অবস্থানে ফিরে আসে। স্কিম্যাটিক
ডায়াগ্রাম ৪(প্রবন্ধে ৭য়ে)এ পুরো কর্মকাণ্ডটি দেখানো হয়েছে। যে মানুষটি বেলোয় কাজ
করেন তিনি একটি বাঁশ ধরে নিজের ভারসাম্য রক্ষা করেন। সাধারণতঃ ভাট্টি চালনা করেন
লোহার পরিবারের মহিলারা।
No comments:
Post a Comment