ইতর
জাতিগনের আগমন
পাইয়া
ইমান ক্ষিতি, বসে প্রিজা নানা
জাতি,
আনন্দিত বীরের নগরে।
বীর
করে বহুমান, দেয় দিব্য পরিধান,
নৃত্য গীত সবাকার ঘরে।।
মতস্য
মারে চষে চাষ, দুই জাতি বসে দাস,
নগরে ফিরায় কলু ঘানি।
বাইতি
নিবসে পুরে, নানাবিধ বাদ্য করে,
নগরে মঞ্জুরী বিকি কিনি।।
বাগদী
নিবসে পুবে, নানা অস্ত্র ধরি
করে, দোষ বশ পাইক করি সঙ্গে।
মাছুয়া
নিবসে পুবে, জাল বুনে মতস্য ধরে,
কোঁচগণ বসে লীলা রঙে।।
নগর
করিয়া শোভা, বসিল অনেক ধোবা,
দড়ায় শুকায় নানা বাস।
দরজী
কাপড় সীয়ে, বেতন করিয়া জীয়ে,
গুজরাটে বসে এক পাশ।।
সিউলি
নগরে বসে, খেজুরের কাটি রসে
গুড় করে বিবিধ বিধান।
ছুতার
হাটের মাঝে, ভিড়া কুটে খই ভাজে,
কেহ করে চিত্র নিরমান।।
পাটনি
নগরে বসে, রাত্রি দিন জলে ভাসে,
পার করি লয় রাজকর।
আসি
পুর গুজরাট, বসে তথি রাজভাট,
ভিক্ষা মাগি বুলে ঘর ঘর।।
চৌদুলি
চুনারি মাঝি, কোবাঙ্গা ভরদ্বাজী,
মাল বসে পুরের বাহিরে।
চন্ডাল
নিবসে পুরে, লবণ বিক্রয় করে,
পানিফল কেসুর পসারে।।
গয়ালে
গাইয়া গীত, কয়ালি ফিররে নিত,
একদিকে বসে মারহাটা।
ফিরে
তাঁরা গুজরাটে, শোলঙ্গে পীলিহা
কাটে,
ছানি কাটে চক্ষে দিয়া কাঁটা।।
পুলিন্দ
কিরাত লকে, হাটেতে বাজায় ঢোল,
জায়াজীবী বসিল কেওলা।
বেহারা
বসিল হাড়ি, ঘাস কাটি লয় কড়ি,
শুঁড়ির অঙ্গনে যাব মেলা।।
মোজা
পানই আর জিন, নিরময়ে অনুদিন,
চামার বসিল এক ভিতে।
বিউনি
চালনি ঝাঁটা, ডোম গড়ে টোকা ছাতা,
জীবিকার হেতু এক চিতে।।
নগরের
এক পাশে, বারবধূজন বসে
এক পাশে তাঁর অধিষ্ঠান।
রচিয়া
ত্রিপিদী ছন্দ, পাঁচালি করিয়া
বন্ধ,
শ্রীকবিকঙ্কণ রস গান।।
No comments:
Post a Comment