ম ঘোষ এবং তাঁর দলবল কোরাপুটের চিগলবেছায় যে ধরণের
চুল্লির কথা তাঁর প্রকাশিত সমীক্ষায় প্রকাশ করেছেন, এই চুল্লিটি ঠিক সেই ধরনেরই। চুল্লিটি
বাউল(bowl) শেপের। ভুমিস্তরের নিচ থেকে গড়া শুরু হয়েছে। ২০০০ x ২০০০ মিলিমিটার এলাকা নিয়ে এবং ৫০০ মিলিমিটার গভীরতা
যুক্ত। একদিকে সিঁড়ি নেমে গিয়েছে নীচের দিকে নামবার জন্য। এখানে চুল্লির একটি
স্কিম্যাটিক ডায়াগ্রাম ১ দেওয়া গেল। এই চুল্লিতি তৈরি হয়েছে পিটের উলম্বে একটি
ছিদ্র তৈরি করে। এই দিকের চুল্লিটি মোট চুল্লির প্রস্থচ্ছেদের তিন-চতুর্থাংশ
অবলম্বন করে। সামনের দিকে মোটা করে কাদার চাদরের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। এতে বাইরে
থেকে হাওয়া বইয়ে দেওয়ার জন্য, ৫ থেকে ১০ মিলিমিটারের অন্তর্বর্তী ব্যসওয়ালা দুটি
বাঁশের টুয়ার(ফার্নেসে হাওয়া দেওয়ার যন্ত্র) তৈরি করা হয়েছে। এ দুটি চুল্লির bowlএ যুক্ত হয়েছে যা স্কিম্যাটিক ডায়াগ্রাম ২য়ে দেখানো
হয়েছে। চুল্লির মোট উচ্চতা ৮০০ মিলিমিটার এবং ডিয়ামিটার ২০০ মিমি। চুল্লির
শ্যাফটটির গভীরতা ৬০০ মিমি এবং দেওয়ালটি ট্যাপার্ডভাবে তৈরি, অর্থাৎ একদিকে সর্বাধিকভাবে
২৪০মিমি মোটা অন্য দিকে তুলনামূলকভাবে সব থকে সরুর দিকটি হল ১০০মিমি। বর্জ্য বার
করার জন্য bowlএ একটি ছিদ্র করা হয়েছে। চুল্লিটির নিচেরভাগ মাটির নিচে করা হয়েছে একটি
কারনে, যাতে বাইরের হাওয়া ঢুকতে না পারে। এটির ভেতরের দেওয়াল রিফ্র্যাক্টরি কাদা(সিলিকা,
আলুমিনা এবং ফায়ার ক্লে যুক্ত মাটি)র চাদরে মোড়া। চুলি যখন জ্বলে, তখন চুল্লির
আশেপাশের ৫০ থেকে ৭০ মিমি মোটা মাটি পুড়তে থাকে এবং টকটকে লাল বর্ণ হয়ে ওঠে।
স্কিম্যাটিক ডায়াগ্রাম ১য়ে চুল্লির মুখটিতে সবুজ কাঠি
সাজিয়ে এবং তার ওপর কাদার প্রলেপ দিয়ে একটি যে ট্যাপার্ড(ঢালু?) ভূমিতল তৈরি করা
হয়েছে, যাতে আকরিক লোহা এবং চারকোলকে আগুনে ঝলসিয়ে নিয়ে চুল্লির ভেতরে ঠেলে দেওয়া
যায়। ভুমিতলের সর্বাধিক উচ্চতা ৮০০ থেকে ১০০০মিমি। এবং এটির ওপরটি ১০০ মিমি মোটা
কাদার চাদরে মোড়া। এর তিনটি কাজ
১) চারকোলকে আগে থেকে গরম করে ঠিকমত জ্বলার জন্য তৈরি
করে রাখা
২) আকরিক লোহাকে শুকনো করা এবং আগে থেকে গরম করে রাখা
৩) এই গরম বস্তুগুলোকে চুল্লিতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া।
No comments:
Post a Comment