এই যে ঘন্টাখানেক ধরে মসলিন নিয়ে ধানাইপানাই করছিলাম একটাই উদ্দেশ্যে, আগামী সালে আমরা নিজেরা তুলো চাষ করব - এবারে একটা দল চাষ করেছে করেছে তাদের থেকে নিয়ে সুতো কাটব - কথা হয়ে গিয়েছে। এ কাজে সাহায্য করবে Amitra Sudan। অবশ্যই মসলিনের জন্যে যে ফুটি তুলো লাগে তা পারব না, আমরা আজ সুতো বলে যে পরিধেয় পরি, সেটা মূলত বিটিতুলোয় বোনা, তার বাইরে বেরোবই বেরোব।
গত এক বছর ধরে তিল তিল করে একটা দল তৈরি হয়েছে, যারা তুলো চাষ করে তুলো নিয়ে কাটিয়ে তকলি আর চরকায় তুলো কেটে সুতো তৈরি করবে এবং সেটি প্রাকৃতিক রঙ্গে ছুপিয়ে বোনা হবে।
একসময় বাংলায় রঙ্গিন তুলো হত। তিন রঙ্গের তুলোর বীজ আমরা পেয়েছি এই ছবিতে থাকা Anupamদা আর সৌমিকদার কল্যাণে।এটা নিয়ে দুবছর আগে বাঁকুড়ায় কর্মশালাও হয়েছে। আমাদের মধ্যে Shraboni আছে অনির্বান আছে যারা নিজেরা প্রাকৃতিক কাপড়ের চক্র ভাল জানে বোঝে। তারাও সুতো কাটবে চরকায়।
আর আছেন এই ছবির বৃদ্ধা মহিলা নাম তুলা দেবী। তিনি মেচ সমাজের তকলিতে সুতা কাটার অন্যতম প্রধান কারিগর। এই দলের অন্যতম নেত্রী। তার দলে আছেন এক ঝাঁক মহিলা। তরাইএর মেচ সমাজ এবং আরও কিছু মানুষ রঙ্গিন তুলো চাষে উদ্যমী হয়েছেন।
হাতে আছে তিনটে রং। শুধু নীল আর পিঙ্ক আনতে হবে বলিভিয়া থেকে। সে চেষ্টাও করছি।
মা ভৈঃ।
জয় বাংলা!
জয় বাংলা!
No comments:
Post a Comment