(ছবি মুঘল দরবারে হোলি পালন)
এত ঝামেলা সত্ত্বেও আওরঙ্গজেব তার পিতৃপুরুষের প্রশাসনিক কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করে মদ্যপান এবং কড়া তরল পানীয় গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগী হন। ফরাসী মুসাফির বার্নিয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, মদ্য, prohibited equally by the Gentile and Mahometan [Hindu and Muslim] law, এবং দিল্লিতে এটি নিষিদ্ধকরণ খুব সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। আওরঙ্গজেবের সময়ে উপমহাদেশজুড়ে মদ্য চোরাচালান নিয়মমাফিক কাজ হয়ে ওঠে। অষ্টাদশ শতকের প্রথম দিকে আওরঙ্গজেবের দরবারে আসা ব্রিটিশ দূত উইলিয়াম নরিস দেখেছেন প্রধান উজির আসাদ খান(কার্যকাল ১৬৭৬-১৭০৭) এবং অন্যান্য আমলা fond of nothing more than hot spirits with which they make themselves drunk every day if they can get it। তিনি জানাচ্ছেন আসাদ খান নরিসকে প্রভাবিত করে, কড়া জলের নামে তাকে কিছু মদ্য এবং পেয়ালা পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
তিনি নিজে মদ্যপান না করলেও আওরঙ্গজেব জানতেন তার সাম্রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা তার নিষেধাজ্ঞা মান্য করে না। নিকোলি মানুচি তার চরিত্র অনুসরণ করে রাজ্যজোড়া গুজব এবং গপ্প নির্ভর করে লেখা অতিশয়াক্তিক ভ্রমন সাহিত্যে বলছেন – মাত্র দুজন – তিনি এবং প্রধান কাজি আবদুল ওয়াহাব ছাড়া হিন্দুস্থানে আর সক্কলে মদ্যপায়ী। মানুচি তার পাঠকদের বলছেন, But with respect to ‘Abd-ul-wahhab [Aurangzeb] was in error, for I myself sent him every day a bottle of spirits (vino), which he drank in secret, so that the king could not find it out।
আওরঙ্গজেবের আরেকটি উদ্যম আফিম সেবন নিষিদ্ধকরণও ঠিক এইভাবে ব্যর্থ হয়েছিল।
---
আওরঙ্গজেব প্রকাশ্যে নানান ধর্মীয় ছুটির দিনে প্রকাশ্যে বেপরোয়া উতসব পালন নিষিদ্ধ করেছিলেন। তাঁর সাম্রাজ্য জুড়ে এই নিষিদ্ধকরণ সব ধর্মের জন্যে প্রযোজ্য হয়েছিল, কারণ সে সময় আজকের মতই বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা একে অপরের উৎসবে যোগ দিতেন।
---
আওরঙ্গজেব প্রকাশ্যে নানান ধর্মীয় ছুটির দিনে প্রকাশ্যে বেপরোয়া উতসব পালন নিষিদ্ধ করেছিলেন। তাঁর সাম্রাজ্য জুড়ে এই নিষিদ্ধকরণ সব ধর্মের জন্যে প্রযোজ্য হয়েছিল, কারণ সে সময় আজকের মতই বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা একে অপরের উৎসবে যোগ দিতেন।
তার শাসনের অষ্টম বছরে আওরঙ্গজেব প্রকাশ্যে বড় করে পার্সি নতুন বছর নওরোজ এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের ঈদুলফিরর আর ইদলআধা পালনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করেন। প্রায় একই সময়ে তিনি হিন্দুদের প্রকাশ্যে হোলি আর দিওয়ালি এবং মুসলমান ধর্মে মহরম পালন নিষিদ্ধ ঘোষণা করার উদ্যম নেন। আওরঙ্গজেব মনে করতেন অংশগ্রহণকারীরা যেভাবে এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে অনিয়ন্ত্রিত আতিশয্য প্রকাশ করেন তার সামগ্রিক অর্থে অরুচিকর। এবং একই সঙ্গে জন সুরক্ষার দিকটাও তার নজরে ছিল।
No comments:
Post a Comment