সপ্তম অধ্যায়
শেষ বয়সে
দাক্ষিণাত্য বিজয়ী
I have found the men of the world very greedy, so much so that an emperor like Aurangzeb Alamgir, who wants for nothing, has been seized with such a longing and passion for taking forts that he personally runs about panting for some heaps of stone.
- সেনাবাহিনী আমলা ভীমসেন সাক্সেনার স্মৃতি কথা, ১৭০৭
If a man of God eats half a loaf, he will give the other half to the poor. A king can seize the territory of a whole clime, but he will still crave another.
- সাদি, গুলিস্তাঁ
I have found the men of the world very greedy, so much so that an emperor like Aurangzeb Alamgir, who wants for nothing, has been seized with such a longing and passion for taking forts that he personally runs about panting for some heaps of stone.
- সেনাবাহিনী আমলা ভীমসেন সাক্সেনার স্মৃতি কথা, ১৭০৭
If a man of God eats half a loaf, he will give the other half to the poor. A king can seize the territory of a whole clime, but he will still crave another.
- সাদি, গুলিস্তাঁ
১৬৮০ সালে ময়ূর সিংহাসন দিল্লিতে ফেলে আওরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্য বিজয় করতে বিপুল বিশাল সেনা বাহিনী নিয়ে রওনা হলেন। তিনি দাক্ষিণাত্য বিজয়ে একের পর এক সেনাপতির ওপর ভরসা করেছেন কিন্তু প্রত্যেকেই তার আশাআকাঙ্কখাকে সম্মান জানাতে পারেন নি। তার একশ বছর আগে আকবরের সময় থেকে মুঘলেরা দাক্ষিণাত্যে বিপুল সেনা বাহিনী নিয়ে একের পর এক আক্রমন শানিয়ে এসেছে কিন্তু খুব বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারে নি। আওরঙ্গজেব বিপুল বিশাল সম্পদ নিয়ে দাক্ষিণাত্য বিজয়ে গিয়ে তার জীবনের শেষ দশকগুলি তিনি যুদ্ধ ক্ষেত্রেই কাটান।
কয়েক লক্ষ সৈন্য বিপুল বিশাল হারেম এবং পুত্র আকবর(যিনি বিদ্রোহ করে পারস্যে পালিয়ে যান) ছাড়া প্রত্যেক সন্তানকে নিয়ে দাক্ষিণাত্য বিজয়ে নেমেছিলেন আওরঙ্গজেব। দিল্লি থেকে বেরোনো ভ্রাম্যমান বিশাল ব্যাপক তাঁবুর সঙ্গে এত্তবড় বাজার, সেনা বাহিনী এবং কি ঘটতে যাচ্ছে খুব বেশি বুঝতে না পারা আমলাতন্ত্র আর বিশাল ব্যাপক ভৃত্যদের নিয়ে গজেন্দ্রগমনে চলা সেই ক্যারাভানটির রূপ-রস-গন্ধের প্রভাব দেখার মত ছিল। বেশ কয়েক মাসের ব্যবধানে দাক্ষিণাত্যে পৌঁছে আওরঙ্গজেব সেনা অভিযানে মন দিলেন।
মুঘল পরম্পরা মূলত অভিযাত্রিক এবং তিনি তাঁর পূর্বজদের পায়ের তলায় সর্ষে প্রথায় গোটা রাজধানীকে নিয়ে মুসাফিরের জীবন অবলম্বন করেছেন প্রায় সারা জীবন। তিনি দাক্ষিণাত্যকে তার কর্মভূমি বানিয়ে নিয়েছিলেন। সম্রাটের বিহনে এবং বিপুল সংখ্যায় মানুষ সম্রাটের সঙ্গী হওয়ায় দিল্লি ভুতের শহরে পরিণত হল। লাল কেল্লার ঘরগুলিতে মাকড়সা এই বড় জাল বিছাতে লাগল যে সেগুলো ঘুরতে আসা মুসাফিরদের ঘুরিয়ে দেখানোর যোগ্য রইল না।
দাক্ষিণাত্যের এলাকা দখলে তার পূর্বজদের তুলনায় আওরঙ্গজেব বিপুল সাফল্য পেয়েছিলেন। উপমহাদেশের দক্ষিণপ্রান্ত দখলে তিনি সেনা বল এবং রাজনৈতিক দৌত্য দুটি কৌশলই অনুসরণ করেন। আওরঙ্গজেবের জীবদ্দশায় মনে হচ্ছিল দাক্ষিণাত্য অভিযান মুঘল সাম্রাজ্যের ভবিষ্যতের পক্ষে খুব সুখদ হবে না। আওরঙ্গজেবের শেষের অসংখ্য অবরোধ আর একের পর এক আক্রমন ওপর ওপর সাফল্য এনে দিলেও, সেটা মোটামুটি শূন্যগর্ভ প্রমানিত হল।
---
দাক্ষিণাত্যের বহু বিজয়ের তুলনায় গোলকুণ্ডা এবং বিজাপুর খুব সামরিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সেই বিজয় সফল করাতে প্রচুর অর্থ অপব্যয় করতে হয় তাকে।
---
দাক্ষিণাত্যের বহু বিজয়ের তুলনায় গোলকুণ্ডা এবং বিজাপুর খুব সামরিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সেই বিজয় সফল করাতে প্রচুর অর্থ অপব্যয় করতে হয় তাকে।
No comments:
Post a Comment