(ছবিতে দক্ষিণ ভারতে যুদ্ধ সাজে আওরঙ্গজেব)
আওরঙ্গজেব বহু সময়েই তার সুবার উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের দুর্ণীতির ধাক্কা সামলাতে হিমিশিম খেয়েছেন। এদের অনেকেই মিশ্র চরিত্রের। মুঘল প্রশাসকেরা নিয়মিত উতকোচ গ্রহন করত। যদিও আওরঙ্গজেবের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া নির্দেশনামা জারি করে রেখেছিলেন। প্রধান কাজি, যার কাজ নৈতিকভাবে সাম্রাজ্যকে সিধা রাখা, একটি ইন্দো-পারসিক সূত্র আমাদের জানাচ্ছে যে তাঁর had a long arm for hauling and snatching, and collected large sums of money। প্রশাসনে দুর্ণীতিগ্রস্ত আমলাদের নিয়ে আওরঙ্গজেব প্রায় হতাশই হয়েপড়তেন এবং প্রতিবারই তিনি তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতেন। বিদর বখতকে লেখা একটি চিঠিতে আওরঙ্গজেব কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা এবং অভিজাতর নাম লিখে বলছেন, “sovereignty does not stand absent punishment”। বহু সময় সম্রাটও তার আমলাদের ছাড় দিয়েছেন। তিনি তার পুত্রদের নির্দেশ দিতেন আমলাদের কড়া শাস্তি দিতে এমন কি নিজেও বহুবার তাদের টপকে শাস্তি দিয়েছেন।
---
তবে আওরঙ্গজেব তার আত্মীয়দের কোন দিন ছাড় দেন নি। যারা সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে এবং এমন কি যারা ছুটকোছাটকা ভুলও করছে তাদেরও তিনি ছেড়ে কথা বলেন নি। এই ঝোঁক শুরু হয়েছিল সিংহাসন দখলের লড়াইতে এবং এই বিষয়টিকে তিনি সারা জীবন বয়ে নিয়ে চলেছেন।
---
তবে আওরঙ্গজেব তার আত্মীয়দের কোন দিন ছাড় দেন নি। যারা সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে এবং এমন কি যারা ছুটকোছাটকা ভুলও করছে তাদেরও তিনি ছেড়ে কথা বলেন নি। এই ঝোঁক শুরু হয়েছিল সিংহাসন দখলের লড়াইতে এবং এই বিষয়টিকে তিনি সারা জীবন বয়ে নিয়ে চলেছেন।
উদাহরণস্বরূপ ১৬৫৯ সালে আওরঙ্গজেব দক্ষিণ ভারতে মামা শায়েস্তা খাঁকে পাঠিয়েছিলেন মুঘল স্বার্থ বিরোধী শিবাজীর বিরুদ্ধে অভিযানে। শায়েস্তা খাঁ পুনেতে বড় হর্ম্য, বাগান তৈরি করে শহর এবং সমগ্র এলাকাকে সমৃদ্ধ করলেন। দানা ফসলের দাম কমল। স্থানীয় মানুষ শায়েস্তা খাঁর কাজে স্বস্তি পেলেন, সমৃদ্ধি লাভ করলেন। তিনিও পুণেতে ঘুরে বেড়িয়ে নিজের কন্যার বিয়ের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিলেন। এত সবের মধ্যে তাকে যে জন্যে পাঠানো হয়েছিল, সেই শিবাজীকে শাস্তি দেওয়ার মহাকাজ ভুলে গেলেন।
কিন্তু শিবাজী শায়েস্তা খাঁ কে ভোলেন নি। ১৬৬৩ সালে তিনি হাতে গোনা কিছু সাথী নিয়ে রাতের অন্ধকারে শায়েস্তা খাঁয়ের প্রাসাদে ঢুকে পড়লেন। শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠারা শায়েস্তা খাঁর শোয়ার ঘরে ঢুকে পড়ল এবং লড়ায়ে শায়েস্তা খাঁর আঙ্গুল কাটা গেল, তার কয়েকজন স্ত্রী মারা গেলেন। শোনা যায়, ভুল করে তাঁর পুত্রকে খুন করেন শিবাজী। এই লজ্জাজনক পরাজয়ে আওরঙ্গজেব তার মামাকে শাস্তি দিলেন বাংলায় পাঠাবার নির্দেশ দিয়ে। বাংলা বরাবরের মত মুঘলদের মাথা ব্যথার এলাকা। শায়েস্তা খাঁ দাক্ষিণাত্য থেকে বাংলা যাবার পথে বহু চেষ্টা করে একবারের জন্যেও ভাগনের সঙ্গে দ্যাখা করার সুযোগ পেলেন না।
তবে শায়েস্তা খাঁর মত নাটকীয় ঘটনা নয়, বরং আমরা যে বিষয়টি আলোচনা করছি সেটা প্রমান হয়। সুরাটের রাজপথে ডাকাতি রুখতে না পাড়ায় তিনি পুত্র আজম শাহকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন এবং শাস্তি দিয়েছিলেন। আজম খাঁর যুক্তি ছিল এই ঘটনাটা তার এলাকায় ঘটে নি বরং অন্য এক শাসকের অধীনস্থ এলাকায় হয়েছে। এই উত্তরে অসন্তুষ্ট আওরঙ্গজেব শাস্তিস্বরূপ তার পুত্রের মনসব কমিয়ে দ্যান এবং বলেন If it had been an officer other than a Prince, this order would have been issued after an inquiry. For a Prince the punishment is the absence of investigation।
No comments:
Post a Comment