আমার কিছু সঙ্ঘী আর ছদ্মসেকুলার সুশীল ইওরোপপন্থী বন্ধু আওরঙ্গজেবএর ধারাবাহিকটা পড়ছেন না, অথবা বাংলার নবাবি আমলের গুণপনা নিয়ে আলাপে উৎসাহী নন, আন্দাজ করতে পারি, কেন। আওরঙ্গজেব আলোচনায় শুধু সেনাপতি ভীমসেন সাক্সেনাই নয় তিন সম্রাটের অধীনে কাজ করা মুঘল দরবারের মুন্সি চন্দরভান ব্রাহ্মণেরও লেখা উদ্ধৃত করেছি।
এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, সম্রাট নবাবেরা ধোয়া তুলসিপাতা যেমন ছিলেন না (পালেরা ক্ষমতা দখলকারী কৈবর্তদের উত্তরবঙ্গ থেকে প্রায় সাফা করে দিয়েছিল, রাজারা একে অপরে রাজ্যে মন্দির সুযোগ পেলেই ধ্বংস আর লুঠ করত - সে সময় একদেহী হিন্দু বলে কিছুই ছিল না - নবাবী আমলে মারাঠারা যেভাবে রাঢ বাংলা আক্রমণ করে সেটাও লক্ষ্যণীয় - সব অমুসলমানকে একদেহী হিন্দু দাগিয়ে দেওয়া ঘটেছে ইংরেজ আমলের পরে), তেমনি মুঘল-নবাবি আমল নিয়ে ব্রিটিশপন্থী ঐতিহাসিকদের অনুসরণে যত অত্যাচারের কথা বলা হয়, অধিকাংশই বাড়ানোচড়ানো যাতে সঙ্ঘী-সেকুলারেরা যাদের আরাধনা করেন, জাতিরাষ্ট্রবাদী খুনি ইংরেজদের অত্যাচার, প্রশাসনিক অতিচার শিশুসুলভ লাগে ।
মুঘল আর নবাবি আমল ইংরেজদের অত্যাচারের কাছে সত্যিই শিশু। একটাও নবাব সম্রাট ছিয়াত্তর বিয়াল্লইশের মত গণহত্যা করতে পারল না, লুঠ করে উপমহাদেশের সম্পদ স্বদেশে নিয়ে যেতে পারল না, গোটা বাংলাকে মুসলমান বানাতে পারল না। কি আফসোস।
No comments:
Post a Comment