আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অশিক্ষিত, কারিগরদের সংগঠন করি। যৌবনে যা পড়েছি তার প্রায় সবটাই উপনিবেশের তৈরি করা, উপনিবেশেরই পায়ে নিবেদন দেওয়া তথ্য, আমাদের পূর্বজরা সেগুলি সঙ্কলন করেছিলেন বৈজ্ঞানিক, এগিয়ে থাকা, শিক্ষার, জীবনের বাহন নাম দিয়ে। খুব আনন্দে ছিলাম নিজেকে শিক্ষিত সমাজের একজনভেবে।
তারপরে যখন নিজের দেশ, নিজের মানুষ, নিজের মাটি, নিজের জ্ঞান, নিজের প্রযুক্তি দেখতে বুঝতে শিখলাম, দেখলাম আমি একজন অসহায়, যে নিজের আপনা যা, তার কিছুই চেনেনা, মনে ভরে রয়েছে নানান সুন্দর সুন্দর করে সাজানো বিদেশি ময়লার বর্জ্যতে - যে বর্জ্য আমায় বলেদিচ্ছে আমি কিভাবে আমার দেশটাকে দেখব।
আমি জন্ম থেকে আমার দেশ মানুষ সম্বন্ধে সত্যিই কিছুই জানি না, এটা বুঝতে বেশ কিছু সময় গিয়েছে। তারপরে আমার গুরু (যদিও তিনি ঔপনিবেশিক, ইওরোপমুখ্য) মুজতাবা আলি বই পড়ুয়ের সেই গল্পটা বলেছিলেন যে প্রথম বইটা হেলাফেলা করে পড়ে, দ্বিতীয় বইটা আরেকটু গুরুত্ব দিয়ে পড়েছিল, তারপরেরগুলি পাগলের মত দাঁতমুখ খিঁচিয়ে পড়ে চলেছে কোন দিকে না তাকিয়ে - কারণ সে রস পেয়ে গ্যাছে।
আমার হয়েছে সেই দশা, আমি জীবনের গুরুত্বপূর্ন সময়ে ভুল নানান তথ্যে নিজেকে ভরে রেখে খড়ের মানুষ হয়েছিলাম। এখন নিজের দেশের মানুষ যত দেখি, বুঝি যে কি মহান মানুষ তারা, অথচ অপার জ্ঞানী, বিনয়ী কিন্তু নিজের কাজে দঢ়।
ফেবুকে আমার দ্যাখা কিছু মানুষ যেমন এখন দাঁতমুখ খিঁঁচিয়ে না মানুষের বিবরণ দ্যান অসাধারণ কলমে, যারা থাকেন মানব সভ্যতা যে সীমানা টেনে দিয়েছে তার ওপারে, আমিও সীমানা পেরিয়ে থাকা মাটির মানুষের কাছি শিখছি এই প্রৌঢ বয়সে যৌবনের শিক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে চাষী কারিগরদের ছাত্র হতে।
ফেবুর অনেকগুলো লেখাই সেই পাঠ্যক্রমের কয়েকটি পড়া।
No comments:
Post a Comment