আয়ুর্বেদ, য়ুনানি চিকিৎসার বাইরে গ্রামীন চিকিৎসা নিয়ে সংঘের নারায়ণ মাহাত গবেষণা করছেন।
কিন্তু বাংলার আয়ুর্বেদ বা য়ুনানির ইতিহাস নিয়ে খুব বেশি কাজ হয় নি।
বিডন স্ট্রিটে যে আয়ুর্বেদিক কলেজ আছে, যতদূর সম্ভব কবিরাজ গণনাথ সেনের পরিবারের(তাঁরা ভগভট্ট সঙ্কলিত, রসরত্নসমুচ্চয়ঃ অনুবাদ ও প্রকাশ করেন) - এখন রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে, এখানকার এক অধ্যাপক বছর দেড়েক আগে বলছিলেন কলেজের উল্টো দিকের বাড়িটি ভাঙ্গার আগে বসন্ত ঔষধালয় ছিল তা তিনি দেখেছেন। তার ধারণা ছিল সেটি বসন্ত নামে কোন ব্যক্তির। একদিন অকারণ কৌতুহলে, দোকানের ইতিহাস জানতে প্রশ্ন করেছিলেন বসন্ত কে ছিলেন? দোকানি উত্তর দিয়েছিল, তার পূর্বপুরুষ বসন্তের টিকা দিতেন, তাই দোকানের নাম বসন্ত ঔষধালয়। সেই টিকা দেওয়ার নথি করণের ইতিহাস কম করে ৩০০ বছরের পুরোনো। দোকানটা খুব কম করে ১৫০-২০০ বছরের।
এই সব ইতিহাস হেলায় হারিয়ে যাচ্ছে। পুরোনো আয়ুর্বেদ বৈদ্যদের পরিবারগুলিকে নিয়ে একটা গবেষণা করা দরকার। আর খোঁজা দরকার নাথ, দেব, দেবনাথ উপাধিধারী পরিবারের পুরোনো মানুষদের - এঁরা নাথ পরম্পরার মানুষ। ভবানীপুরের পদ্মপুকর রোডের খালসা বিদ্যালয়ের কাছের একটা গলিতে প্রচুর নাথ পরিবার বাস করেন। এই বৈদ্যদের পরিবারে সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার স্বাস্থ্যের আর চিকিতসাবিদ্যার ইতিহাস।
দেবনাথ, নাথ, দেব, দে, সেন, গুপ্ত পদবীর মানুষদের কি মনে পড়ে তাদের পূর্বজরা চিকিৎসক ছিলেন? প্রাচীন ভারত ভ্রমণকারীদের লেখায় পাওয়া যাচ্ছে নাথ চিকিৎসকেরা সোরা আর গন্ধক নির্দিষ্ট অনুপানে মিশিয়ে খেয়ে দীর্ঘজীবন লাভ করতেন। দীপঙ্করদা বলছিলেন তাঁর পূর্বজ চিকিৎসক ছিলেন।
এলোপ্যাথির আগে বাংলার চিকিতসাবিদ্যার ইতিহাস লেখা হয় নি। যদি এই পরিবারের মানুষেরা এগিয়ে আসেন পারিবারিক ইতিহাসের ঝাঁকি নিয়ে।
জয় বাংলা!
No comments:
Post a Comment