Wednesday, March 28, 2018

উপনিবেশ বিরোধী চর্চা১৯ - ঔপনিবেশিকতাবাদ এবং তার জ্ঞানচর্চার আঙ্গিক - সাম্রাজ্যের মন ও মান ।। বারনার্ড কোহন

অধ্যায়২
ভারতীয় ভাষা এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ গড়নের পথে

সংস্কৃত – ভারতীয় আইন আর উপকথার ভাষা
ফারসি আর আরবি ছাড়াও ভারতে আরও একটি ধ্রুপদী ভাষা সংস্কৃতর দিকে দৃষ্টি সপ্তদশ অশটাদশ শতকের ব্রিটিশদের আকর্ষিত হয়েছিল। কারণ ব্রিটিশেরা মনে করত এই ভাষাটি গোপন(সেক্রেট) ভাষা যেটি ব্রাহ্মণেরা তাদের ধর্ম আর দর্শন রহস্যমতার মোড়কে লুকিয়ে রেখেছে। ইওরোপিয়রা জেন্টু(সেদিনকার হিন্দু)দের ধর্ম নিয়ে খুব উতসাহী ছিল। সপ্তদশ শতকে ক্যাথলিক ধর্মযাজকেরা ছিন্ন বিচ্ছিন্নভাবে সংস্কৃত শেখার চেষ্টা করেগিয়েছেন, সে খবর অষ্টাদশ শতকের ব্রিটিশদের কাছে ছিল না। জেমস ফ্রেজার, হলওয়েল, আলেকজান্ডার ডাও সংস্কৃত শেখার অসফল চেষ্টা করে। তাহলে ব্রিটিশদের কাছে সংস্কৃত বিষয়ে জ্ঞান এল কি ভাবে? একটা উত্তর বিভিন্ন ব্রাহ্মণ এবং উচ্চবংশীয় ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতায় অথবা যে সব সংস্কৃত সাহিত্য ফারসিতে অনুদিত হয়েছে সেগুলি পাঠ করে।
তিরিশ বছর ভারতে কাজ করা জন হলওয়েল ফারসি, বাংলা এবং ইন্দোস্তানি ভাষা জানতেন। সেই জ্ঞান অবলম্বন করে ১৭৬৭ সালে রেলিজিয়াস টেনেন্টস অব জেন্টুজ লেখেন। ১৭৫৬ সালে সিরাজ যে বছর কলকাতা আক্রমন করেন, সেই বছর তিনি কোন একটা জেন্টু সাস্ত(শাস্ত্র) অবলম্বন করে অনুবাদ করছিলেন। এই গোলোযোগে তিনি তার পাণ্ডুলিপি সহ সেই পুথিটির হিন্দুস্থানী সংস্করণটিও হারিয়ে ফেলেন। তার অনুবাদের কৃতজ্ঞতায় তিনি অনামী নানান বিজ্ঞ এবং সাধারন অপেশাদার মানুষের অবদানের কথাও লিখেছেন।
তার পূর্বসূরীরা যেভাবে হিন্দুদের মূর্তিপূজক এবং অশিক্ষিত দাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে তার প্রতিবাদ করেছেন হলওয়েল। তারমতে যে সব গোষ্ঠীর হিন্দুদের ক্যাথলিক ধর্মমতে রূপান্তরিত করার স্বার্থ আছে যেমন রোমিয় যোগাযোগীরা, তারাই হিন্দুদের বদনাম ছড়িয়ে বেড়ায়। হলওয়েল রোমান ক্যাথলিকদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের থেকেও বেশি পৌত্তলিকতার অভিযোগ এনেছেন। তিনি পোপের কর্তৃত্বকে শুধু চ্যালেঞ্জ করেন নি, যারা হিন্দুদের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কুতসা করে তাদেরও একহাত নিয়েছেন। যেসব খুচরো হঠাৎ ভ্রমনকারী লেখক তাদের ভ্রমনকারীদের চোখ নিয়ে হিন্দুদের দেখে, তাদেরকে তিনি অজ্ঞান, কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং একদেশদর্শি বলেছেন। এবং তারা যে সাধারণ প্রাদেশিকতার ওপর উঠতে পারে না সে কথাও বলেছেন, আরও বলেছেন যারা তাদের দেশের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এদেশকে দেখছে তারা নীচ মনোভাবাপন্ন। হলওয়েল একজন হঠাত ভ্রমনকারী লেখককে  ভাসাভাসা লেখক বলে অভিহিত করেছেন ...হিজ টেলিং আস সাচ এন্ড সাচ আ পিপল, ইন দ্য ইস্ট অর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ওয়ারশিপ দিজ স্টিক, অর দ্যাট স্টোন, অর মনস্ট্রাস আইডল; অনলি টু রিডিউস ইন আওয়ার এস্টিম আওয়ার ফেলো ক্রিচার্স, টু দ্য মোস্ট এবজেক্ট এন্ড ডেস্পিকেবল পয়েন্ট অব লাইট। হয়ারএজ, ওয়াজ দ্য স্কিলড ইন দ্য ল্যাঙ্গুয়েজ অব দ্য পিপল হি ডেস্ক্রাইবস, সাফিসিয়েন্টলি টু ট্রেস দ্য এটিমোলজি অব দেয়ার ওয়ার্ডস এন্ড ফ্রেজেস এন্ড ক্যাপেবল অব ডাইভিং ইন্টু দ্য মিস্ট্রিজ অব দেয়ার থিওলজি; হি উড প্রোবাবলি বি এবল টু এভিনস আস, দ্যাট সাচ সিমিংলি প্রিপস্টারাস ওয়ারশিপ, হ্যাড দ্য মোস্ট সাবলাইম র‍্যাশনাল সোর্স এন্ড ফাউন্ডেশন।

দ্য ট্রাভেলার, হু উইদাউট দিজ এসেনশিয়াল রিকুইজিটস (এজ ওয়েল এজ ইন্ডাস্ট্রি এন্ড আ ক্লিয়ার আন্দারস্ট্যান্ডিং) প্রিটেনডস টু ডেস্ক্রাইব এন্ড ফিক্স দ্য রেলিজিয়াস টেনেন্টস অব এওনি নেশন হোয়াতএভার, ডিজনেস্টলি ইম্পোজেস হিজ ওউন রেভরিজ অব দ্য ওয়ার্লড; এন্ড ডাজ দ্য গ্রেটেস্ট ইঞ্জুরি ভায়োলেন্স টু লেতার্স, এন্ড দ্য কজ অব হিউম্যানিটি। 

No comments: