জীবনীকার Vicziany বলছেন বুকাননের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য ছিল, তাঁর নায়ক, জন সিনক্লেয়ারের স্টাটিস্টিক্যাল একাউন্টস অব স্কটল্যান্ডের আকারে কোন কিছু একটা রচনা করা। বুকাননের লেখায় বারবার যুদ্ধ উপদ্রুত মাদ্রাজ আর মহীশূরের উন্নয়নের কথা উঠে এসেছে। wealth, resources, and means of subsistence, for population, climate, irrigation, and customs যাকে মাইকেল ফুকো গভর্মেন্টালিটি বলছেন, সেটা বুকাননের লেখায় এসেছে। তিনি স্বপ্নদ্রষ্টা আর রোমান্টিকসদের মত পাহাড়ি ঝর্ণা আর জঙ্গলের বর্ণনা নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত থেকেছেন, সরকারি নির্দেশনা মানার পাশাপাশি।
ম্যাকেঞ্জি বা বুকানন যেভাবে নতুন দখলদারি রাজ্যগুলিতে 'বৈজ্ঞানিকভাবে' সমীক্ষাটি করে মানচিত্র তৈরি আর তথ্য জোগাড় করেছেন, সেই সময়ের সেই ব্যতিক্রমী পদ্ধতি নিয়ে নিয়ে ভবিষ্যতে বিপুলতর চর্চা হবে। কোম্পানি তার কর্মচারীদের রোমান্টিকতা নিয়ে খুব বেশি বিরক্ত বোধ করছিল, কিন্তু তাদের খুব বেশি কিছুই করার ছিল না। যদিও সাম্রাজ্যের কাজে, বিজ্ঞান প্রযুক্তির নানান খামতি মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের বৈজ্ঞানিক সাংস্কৃতিক অনুসন্ধিতসা মেটানোর জন্য বহু সেনা আধিকারিক, উচ্চপদস্থ আমলা, প্রযুক্তিবিদ, চিকিৎসক তাদের অবসর সময় নানান ধরণের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালিয়েছেন - আবহাওয়া তথ্য রেখেছেন(যা হয়ত সেনা চলাচলে কাজে লেগেছে), স্থানীয় রীতিনীতি নথি করণ করেছেন(যা হয়ত স্থানীয় সমাজকে বুঝে উপনিবেশের নিগড় চাপিয়ে দেওয়ার কাজে লেগেছে) কিন্তু সেটি যে কোম্পানির লন্ডন বা কলকাতার কর্তাদের তৎক্ষণাৎ লাভের খাতার সংখ্যা বৃদ্ধি করার চাহিদা পূরণ করেছে এমন কথা বলা যাবে না।
রাজেন্দ্রলাল মিত্র ১৮৮৭ সালে হিস্টোরি অব দ্য সোসাইটিতে লিখছেন, A mere man of letters, retired from the world and allotting his whole time to philosophical or literary pursuits...a character unknown among Europeans resident in India। প্রত্যেকেই constantly occupied either in the affairs of Government, in the administering of justice, in some department of revenue or commerce, or in one of the liberal professions।
লন্ডনে যেমন উপনিবেশ লুঠের সম্পদের বিনিয়োগে বহু গবেষক পেয়েছে সাম্রাজ্য, তেমনটা হওয়ার কথা নয় উপনিবেশে। উপনিবেশ তৈরি উদ্দেশ্যই তো লুঠ করা। তা ছাড়াও বহু গবেষক, যারা ভারতে রাদের অবসর সময়ে কাজ করেছেন, হয় ভারতে বা দীর্ঘ সমুদ্র যাত্রায় মারা গিয়েছেন, তাদের কাজ রক্ষা করা যায় নি। এদের মধ্যে বি এইচ হজসন ব্যতিক্রম। তিনি হিমালয় অঞ্চলের প্রাণী এবং জীবনযাত্রা নিয়ে ১৮২০ সালন থেকে কাজ শুরু করে ১৮৫৮ সালে লন্ডনে ফিরে যান।
No comments:
Post a Comment