বিপ্লবতত্ত্বের প্রভাব রুখতে শিক্ষাকেন্দ্র
১৮০০ সালের ১০ জুলাই একটি প্রতিবেদনে ওয়েলেসলি লন্ডনের
কর্তাব্যক্তিদের তাঁর বিদ্যালয় তৈরির পরিকল্পনা বিস্তৃতভাবে পাঠালেন। বার্ক ১২ সাল
পূর্বে ওয়ারেন হেস্টিংসকে বিচারে দাঁড় করানোর জন্যে যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন,
কোম্পানির চরিত্র বিশ্লেষণ, ওয়েলেসলি তার প্রস্তাবে বার্কের তাত্ত্বিক অবস্থানটাই
নকলই করলেন।
তিনি লিখলেন কোম্পানি আর শুধু বাংলার বিপুল অঞ্চল আর তিনটে
প্রেসিডেন্সিতে আটকে নেই দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলও তার কবলে। কোম্পানি এমন
এক সাম্রাজ্যের মালিক, যার আয়তন অধিকাংশ ইওরোপিয় রাষ্ট্রের আয়তনের থেকেও বড়। ফলে
এই অবস্থায় কোম্পানির দায় এবং দায়িত্বকে নতুন দৃষ্টিতে দেখতে হবে। বিশেষ করে এই প্রতিবেদনে
তিনি বললেন কোম্পানির কর্মচারীদের এই বহুভাষিক দেশে আরও বেশি দায়িত্বপূর্ণ হতে হবে
To dispense justice to millions of
people of various languages, manners, usages and religions; to administer a vast and
complicated system of revenue throughout districts equal in extent to some of the most
considerable kingdoms in
Europe; to maintain civil order in one of the most populous and litigious regions of the world;
these are now the duties of the larger proportion of the civil servants of the Company.
The senior or junior merchants, employed in the several magistracies and Zillah Courts,
the writers or factors filling
the stations of registers and assistants to the several courts and magistrates, exercise in different
degrees, functions of a nature, either purely judicial, or intimately connected with the
administration of thepolice, and with the maintenance of the peace and good
order of their respective districts.।
ওয়েলেসলি জানালেন কোম্পানির রাজত্বের ভিন্ন ভিন্ন এলাকায়
ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় আদালতের কাজকর্ম চলছে। এছাড়াও যে আইন অনুসারে কোম্পানির
কর্মচারীরা শাসন করে সেগুলিও ব্রিটিশ জাত নয় বরং to which the natives had long been accustomed under their
former sovereigns, tempered and mitigated by the voluminous
regulations of the Governor-General in council, as
well as by the general spirit of the British constitution। একই তত্ত্বে জুড়ে দিলেন রাজস্ব আদায় এবং ব্যবসায়িক
চুক্তিগুলোকেও। ইওরোপে যে ধরণের ব্যাঙ্কিং, প্রশাসনিক, ব্যবসায়িক নিয়মনীতি চলে, তা
এদেশের থেকে আলাদা। ফলে আমলাদের এ উপমহাদেশের ভাষা, আইন, ব্যবহার এবং প্রথা
ইত্যাদি শেখানো খুব জরুরি কাজ।
এদেশে আসা রাইটার, ফ্যাক্টর বা মার্চেন্ট যে ধরণের শপথ নেয়,
তার কাজ সেই পরিধির অনেক বাইরে ছড়িয়ে গিয়েছে। তার দাবি এখন কোম্পানির আমলাদের
একমাত্র শপথ নিতে হবে যে তারা যে কোন ব্যবসায়িক স্বার্থের বাইরে থাকবে। ভারতে
এসেছে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যের অধিকাংশ কোম্পানির যুবা আমলা শুধুই প্রাথমিকস্তরের
অঙ্ক আর হিসাব করার জ্ঞান সম্বল করে। কিন্তু তারা এখন নতুন দায়িত্ব সামলাতে
প্রস্তুত। এছাড়াও অধিকাংশের শিক্ষার অভাব এবং পরম্পরার সংস্কৃতি বিষয়ে জ্ঞান না
থাকার জন্যে প্রায়শই indolence, dissipation, and
licentious indulgence ঢলে পড়তে বাধ্য হয়। এই
প্রেক্ষিতে এবং তাদের নবতম বিপুলতম দায়িত্ব সামলানোর জন্যে একটি শিক্ষা ব্যবস্থা
প্রয়োজন যাতে involving the combined principles of Asiatic and
European policy and government শিক্ষার পাঠ্যক্রম থাকবে।
No comments:
Post a Comment