fallen and degraded ভাইবোনেদের উন্নয়নের জন্যে সাম্রাজ্যের উদ্ধারকারী হাত তৈরিই ছিল। হিন্দু কলেজ, বর্তমান প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হল প্রভাবশালী ইংরেজি শিক্ষিত রামমোহন-দ্বারকানাথ জুটি, অসরকারী ইওরোপিয় ডেভিড হেয়ার এবং কলকাতার বিচারপতি এডওয়ার্ড হাইড ইস্টের সহযোগিতায় এবং কোম্পানির মালিক রথসচাইল্ডদের উদ্যমে। ঠিক একই ঘটনা ঘটল - প্রভাবশালী বাঙালি মহেন্দ্রলাল, জেসুঈট পাদ্রি ইউজিন লাফঁ বাংলার লেফটানেন্ট গভর্নর রিচার্ড টেম্পলের সহযোগিতায় কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের স্থাপনায়। সাম্রাজ্যের সরাসরি হাত থাকছে প্রভাবশালী শিক্ষিত ব্যক্তিদের ইওরোপিয় বিজ্ঞান প্রচার এবং প্রসারের উদ্যমের পিছনে।
১৮৭৫ সালে টেম্পল মহেন্দ্রলালকে লিখলেন একটি পলিটেকনিক(আজকের দিনের ভাষায়) তৈরি করার উদ্যোগ নিতে - But science also may be made to add immeasureably to the national wealth and so’ to afford lucrative employment to numberless persons according to their qualifications and acquirements। এরসঙ্গে তিনি জুড়ে দিলেন কোন কোন পেশা এই শিক্ষা ব্যবস্থায় ঢুকতে পারে তারমধ্যে ছিল ভূমি আর ভূতত্ত্ব সমীক্ষা, অসামরিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্স, বনবিদ, কাঠ আর পাথর শিল্পী। তিনি আরও লিখলেন, Moreover, by these means not only will many new industries be introduced into Bengal, but almost every one of the old established art, and manufacturers of the country may be rendered more useful and remunerative than at present.।
আজ ১৮৭৫ সালের এই তত্বকে বলতে পারি গ্রাম বাংলার প্রযুক্তিকে ধ্বংস করে লুঠেরা আধুনিক বিদ্যুৎ নির্ভর প্রযুক্তির দিকে যাত্রার প্রথম তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক নির্দেশাবলী। বাংলার লেফটানেন্ট গভর্নর ভারতের ভাইসরয়কে একটি চিঠ লিখে জানালেন ভারতজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে কেননা, partly from our higher education being too much in the direction of law, public administration, and prose literature But we shall do more and more to direct their thoughts towards practical science, where they must inevitably feel their utter inferiority to us।
আমাদের ধারণা টেম্পল ভারতের বিপুল কারিগরদের কথা এখানে উল্লেখ করতে চেয়েছেন যাদের ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ইওরোপে শিল্পায়নের জন্য ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছিল। তারা এই প্রস্তাবে কানই দিল না – স্রেফ উপেক্ষাই করল।
উল্টোদিকে বিপুল আলালের দল, যারা পলাশীর পরের লুঠের অংশিদার ছিল, যে অংশিদারিতে পরের দিকে ব্রাহ্মণেরাও ঢুকে গোটা ব্যবস্থাটা দখল করে নেবে, তারা শঙ্কিত হয়ে পড়ল, সাম্রাজ্যের ক্ষমতার অংশ আবার তাদের হয়ত ভাগ করে নিতে হবে।
(চলবে)
No comments:
Post a Comment