অধ্যায়২
ভারতীয় ভাষা এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ গড়নের পথে
ধ্রুপদী প্রকল্প এবং ভারতীয় অভদ্র ভাষাগুলির সংজ্ঞা
তিনি মনে করতেন, মূল হিন্দুস্থানী বোলি বলে সাধারণত উত্তর এবং পশ্চিম ভারতীয়রা,
এই ভাষা মূলত বাণিজ্য সহায়ক ভাষা। হ্যালহেড হিন্দুস্তানি আর বাংলার মধ্যে সাযুজ্য
টেনেছেন, - হোয়াট দ্য পিওর হিন্দুস্তানিক ইজ টু আপার ইন্ডিয়া, দ্য ল্যাঙ্গুয়েজ
হুইচ আই হ্যাভ হিয়ার এন্ডেভারড টু এক্সপ্লেইন ইজ টু বেঙ্গল, ইন্টিমেটলি রিলেটেড টু
দ্য স্যাংস্কৃট বোথ ইন এক্সপ্রেসনস, কন্সস্ট্রাকশনস এন্ড ক্যারেকটার। ইট ইস দ্য
সোল চ্যানেল অব পারসোনাল এন্ড এপিস্টোলারি কমিউনিকেশন এমাং দ্য হিন্দুজ অব এভরি
অকুপেশন এন্ড ট্রাইব। অল দেয়ার বিজনেসেস ইজ ট্রানজাকটেড, এন্ড অল দেয়ার একাউন্টস
আর কেপ্ট ইন ইট, এন্ড দেয়ার সিস্টেম অব এডুকেশন ইস ইন জেনারেল ভেরি কনফাইন্ড,
দেয়ার আর ফিউ এমং দেম হু ক্যান রাইট অর রিড এনি আদার ইডিয়ম; দ্য আনএডুকেটেড, অর এইট
পারটস ইন টেন অব দ্য হোল নেশন আর নেসেসারিলি কনফাইন্ড টু দ্য ইউসেজ অব দেয়ার মাদার
টাং।
জোনসের আগেই হ্যালহেড সংস্কৃতের সঙ্গে ল্যাটিন আর গ্রিকের সম্পর্ক নির্নয়
করেছিলেন। সংস্কৃতর সঙ্গে ফারসি এবং আরবি এমনিকি ল্যাটিন আর গ্রিক শব্দের বিশেষ
করে একদল(মনোসিলেবল) শব্দ আর সঙ্খ্যার মধ্যে মিল দেখে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
তিনিই প্রথম বললেন সারা হিন্দুস্তানে যে সব হিন্দুস্তানি বোলি বলা হয় প্রত্যেকটার
উদ্ভব সংস্কৃত থেকে, ঠিক যেভাবে ফ্রান্স বা ইটালির বোলিগুলির উদ্ভব ল্যাটিন থেকে।
হ্যালহেড বললেন আরেক ধরণের হিন্দুস্তানী বোলি তৈরি করেছে মুসলিম আক্রমনকারীরা,
যারা হিন্দুদের ভাষা বলতে পারত না; হিন্দুরা সংস্কৃতর মৌলিকত্ব আর নিজের বোলির
চরিত্র বজায় রাখতে সংস্কৃতকে বিমূর্ত করে তোলে। মুসলিমেরা তাদের ভাষা থেকে প্রচুর
দেশি(এক্সটিক) শব্দ ধার দিয়ে হিন্দুস্তানী ব্যকরণের তত্ত্বে প্রবেশ করিয়ে দেয়। হ্যালহেড
এই ধরণের হিন্দুস্তানীর কম্পাউন্ড ইডিয়ম মুসলমান দরবারের হিন্দু বাংলায় বলা হয় বলে
বললেন। ব্রাহ্মণ এবং অন্যান্য অতিশিক্ষিত হিন্দুরা যাদের উচ্চাশা নীতবোধকে আচ্ছন্ন
করে নি, তারা শুদ্ধ হিন্দুস্থানী বলা এবং লেখা চালিয়ে যান এবং আরবি অক্ষর ধার না
করে নাগরি অক্ষরে লিখতে থাকেন।
ব্রিটিশরা প্রাথমিকভাবে ভারতীয় ভাষাগুলি বিকাশ এবং তত্ত্ব বিষয়ে যে দিকে যেতে
চাইছিল, হ্যালহেডের গ্রামার, সেই বিশেষ জ্ঞানের পথে যাত্রার সংক্ষিপ্ত এবং
প্রাথমিক খসড়া। পরের ত্রিশ বছরে যা ঘটবে সেই পথাঙ্কন করে দিয়ে যান হ্যালহেড।
ধ্রুপদী ভাষায় শিক্ষিত মানুষ হিসেবে ভারতীয় ভাষাগুলির মধ্যে একটা ঐক্যের নীতি
খুঁজতে চেষ্টা করছিলেন তিনি, এটা পেলেন সংস্কৃতর মধ্যে, যা আদতে ভারতীয়
জ্ঞানভাণ্ডারের পেটিকা। ব্রিটিশদের ভারতীয় ভাষা শিক্ষার কারণ হল প্রায়োগিক বাস্তবতা।
তবে সেই সময়ের যে কোন সমকালীন ভাষার উপভাষা, লব্জ, এবং ইডিয়াম শেখার জন্যে এই
কাজটা শিক্ষার্থীর করা সম্ভব কোন একটা ‘ধ্রুপদী’ ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে।
হ্যালহেড মনে করতেন, বাংলায় এবং উত্তর ভারতে যে কটা ভাষা বলা হয় সেগুলি অতীতের
কোন একটি শুদ্ধ, মৌলিক, সুসংহত, যুক্তিসম্মত ভাষার বিকৃত, ভাঙ্গা, পতিত এবং দূষিত
রূপ। আজও হিন্দু আর আক্রমনকারী মুসলমানেরা সেই পবিত্র এবং সাহিত্যিক সংস্কৃত, আরবি
এবং ফারসির উত্তরাধিকারবহন করছেন।
No comments:
Post a Comment