আমাদের প্রশ্ন ছিল পলাশীর আগে পর্যন্ত ইওরোপিয় শক্তি ভারতের মাটিতে দাঁত ফোটাতে পারে নি। পলাশীর আগের বছরেই ব্রিটিশদের আলিনগর ছাড়া করেছিল নবাব সিরাজ। কিন্তু পলাশীর পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনার পরেই এমন কি ঘটল যে ব্রিটিশেরা একের পর এক যুদ্ধ জিততে শুরু করল?
কতগুলো ভাবনা।
১) পলাশীর পরে বিপুল সম্পত্তি হাতে আসা এবং ব্রিটিশ সেনার কলেবর বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেল - কিছুটা সেনা চালনার প্রযুক্তি বাড়ল; ঠিক যেভাবে এশিয়া-ইওরোপিয় বাণিজ্য পলাশীর উদ্বৃত্তে আর উপঢৌকনে চিরতরে পাল্টে গেল।
২) গোমানস বলছেন, মুঘলেরা বিভিন্ন দেশিয় রাজ্য আক্রমণ করলেও তাদের সঙ্গে মনসবদারি বা জমিদারি চুক্তিতে যেত। তারা তাদের স্বায়ত্ত্বশাসন বজায় রাখত তেমনি মুঘলদের নির্দিষ্ট করো দিত। মুঘলত্বে তাদের আত্মসমর্পন করতে হত না। though, the central organisation of the Mughal Empire was already waning, making room for the new regional polities of Jats, Rohillas and Marathas, or the
increasingly autonomous provinces of Awadh, Bengal, Hyderabad and Arcot
increasingly autonomous provinces of Awadh, Bengal, Hyderabad and Arcot
৩) মুঘলেরা ব্রিটিশদের মত সমাজ বিচ্ছিন্ন ব্যারাকে রাখা সেনা বাহিনী তৈরি করে নি। সমাজের সঙ্গে তার যোগাযোগ নিরন্তর ছিল - মুঘল বাহিনী সে সময় জাতিভিত্তিক ছিল না - অনেক খোলামেলা ছিল। apart from the military factor, the process of regional centralisation also explains the growing popularity of infantry armies during the eighteenth century, more and more of which were regular EIC regiments from Calcutta, Madras and Bombay. Since the sepoys of these regiments served for longer periods in relatively isolated barracks, they became more detached from their village background. Hence, the new battalions became closed worlds of their own, consisting of ever more rigidified castes and ethnic groups. As a result, the relatively open and highly competitive military labour market under the Mughals changed into the more rigidified and institutionalised ‘garrison state’ under the British
৪) ব্রিটিশেরা লুঠতে এসে ক্ষমতা কেন্দ্রিভূত করেছিল, যে উদ্দেশ্য মোঘলদের ছিল না। মোগলরা এই রাজনীতিতে মানাতে পারে নি। তাদের শেষ পর্যন্ত উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা ভাগ করে নেওয়া, যেহেতু লুঠটা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না - One of the central war aims of the British was to monopolise power, at least in their own territories. This was at right angles to the fluid politics of the Mughal ancien régime that had aimed at sharing men and resources, and at having one’s ‘finger in every man’s dish’.
৫) আদতে মুঘলদের উদ্দেশ্য ছিল শত্রুকে ধ্বংস করা নয়, শত্রুকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিজেরে পক্ষে নিয়ে আসা। কিন্তু ব্রিটিশেরা এই সাম্মানিক অবস্থার জায়গা বোঝেই নি - কেননা তার লুঠ করতে এসেছিল, তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল শত্রুকে দুমড়ে মুচড়ে ধ্বংস করে পশ্চিমি সভ্যতার মত করে সমাজবিচ্ছিন্ন খাতক করে গড়ে তোলা। Mughal policy was usually aimed not at destroying but at incorporating the enemy, preferably by means of endless rounds of negotiations. But the Indian conception of honour did not coincide with that of eighteenth-century English gentlemen. As expressed in the words of Arthur Wellesley, the later Duke of Wellington, the British attitude was that of one who ‘would sacrifice Gwalior, or every frontier of India, ten times over, in order to preserve our credit for scrupulous good faith’. For the calculating Indian rulers of the day this mentality must have been sheer madness.
উনি ক্যালকুলেটিং শব্দটা ব্যবহার করছেন স্রেফ ভদ্রতার জন্যে, আমরা বলছি লুঠেরা। এই সামাজিক সম্মান বজায় রাখাটা ব্রিটিশ লুঠেরাদের কাছে স্রেফ পাগলামো ছিল। লুঠ করে দেশে সম্পদ না নিয়ে যেতে পারলে লুঠেরা শিল্প বিপ্লব বন্ধ হয়ে যেতে পারত।
উনি ক্যালকুলেটিং শব্দটা ব্যবহার করছেন স্রেফ ভদ্রতার জন্যে, আমরা বলছি লুঠেরা। এই সামাজিক সম্মান বজায় রাখাটা ব্রিটিশ লুঠেরাদের কাছে স্রেফ পাগলামো ছিল। লুঠ করে দেশে সম্পদ না নিয়ে যেতে পারলে লুঠেরা শিল্প বিপ্লব বন্ধ হয়ে যেতে পারত।
ওপরের আলোচনার অনেকগুলি সূত্র Jos Gommansএর Mughal Warfare Indian Frontiers and High Roads to Empire, 1500–1700 বই থেকে।
No comments:
Post a Comment