উপমহাদেশে প্রশাসকেরা বহুকাল ধরে cadastral এবং route মানচিত্র করাতেন। মাদ্রাজের ইম্পিরিয়াল সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঞ্জাভুরের প্রথম রাজারাজা(৯৮৫-১০১১) এই ধরণের সমীক্ষা করান ‘carried out a careful survey of the land under cultivation, and assessed it। ব্রিটিশপূর্বের বহু কাল ধরে ভারত জুড়ে জমির উর্বরতা, জমির মালিকানা, এবং জমির মাপ, রাজস্বের বিশদ বিবরণ ইত্যাদি নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। প্রাচীন আমল থেকে সুলতানি, মুঘল আর নবাবি আমলের আমরা জরিপের ইতিহাস আমরা পাই, অরুণ কুমার মজুমদারের প্রাচীন জরিপের ইতিহাস বইতে। কোম্পানির ভূসমীক্ষক বেঞ্জামিন হেইনের অনুবাদে অষ্টাদশ শতের প্রথম যুগের একটি সংস্কৃত ভাষায় লেখা বইতে পাচ্ছি মাপের বর্ণনা(সার্ভে অব ইন্ডিয়ার মেমোয়ারে উল্লিখিত ছেত্রী গণিতম, “Chetrie Ganietam”—A Sanskrit Work on Land Measurement Translated by Benjamin Heyne’.) –
The fundamental measure is that of an Inch which is determined in three different ways.
First, By placing three rice corns in a line length ways—the place they occupy is called an Inch.
Secondly, By measuring the circumference of the second joint of the thumb, half of the length of which is an Inch.
Thirdly, By measuring the second joint of the middle finger, the half of which is called an Inch.
12 of these Inches are One Jana (literally translated as paw) 32 Janas are One Ghada (or Bamboo)—4 Ghadas (or One Square Bamboo) is One Kunta.
These measures . . . are universally understood.
First, By placing three rice corns in a line length ways—the place they occupy is called an Inch.
Secondly, By measuring the circumference of the second joint of the thumb, half of the length of which is an Inch.
Thirdly, By measuring the second joint of the middle finger, the half of which is called an Inch.
12 of these Inches are One Jana (literally translated as paw) 32 Janas are One Ghada (or Bamboo)—4 Ghadas (or One Square Bamboo) is One Kunta.
These measures . . . are universally understood.
শুধু যে বিদেশিরা উল্লেখ করছে তাই নয়, ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মুঘল সম্রাট প্রথম শাহ আলমের সময়ের ঐতিহাসিক মহম্মদ হাদি কামওয়ার খান, মুশকখসের(ভূমি সমীক্ষার কাজ) খুশমঞ্জিল – সমীক্ষাকারী নিয়োগের উল্লেখ করছেন। সে সময় দূরত্বের নানান তথ্য কিছুটা তালিকা এবং কিছুটা নকশায় ধরে রাখা হত বিভিন গেজেটিয়ার এবং প্রশাসন নির্দেশনায় – এর থেকে প্রমান হয় মুঘল প্রশাসনে মানচিত্র বিষয়ে জ্ঞান ছিল। এই গেজেটিয়ারে বিভিন্ন সুবার বিভিন্ন সময়ের নানান তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে ষোড়শ শতের শেষে আইনি আকবরির কথা আমরা প্রায় সকলেই জানি।
মনে রাখতে হবে সুলতানি বা মুঘল সাম্রাজ্য যদিও কেন্দ্রিভূত প্রশাসন ছিল, কিন্তু বিভিন সুবা ছিল স্বশাসিত। ফলে আজকের ইওরোপিয় জাতিরাষ্ট্রের তত্ত্বে সুবার প্রত্যেকটি বিষয়ে সাম্রাজ্যের নাক গলাবার প্রয়োজনীয়তা ছিল না।
লাঠি, দড়ি, দানাশস্য এবং মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছাড়াও মুসলমান জ্যোতির্বিদ্যার যন্ত্র কারিগরদের তৈরি astrolabe দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মাপন কাজে ব্যবহৃত হত। চতুর্দশ শতক থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রত্যেক মতের জ্ঞানী, জ্যোতির্বিদেরা এই যন্ত্রটা ব্যবহার করতেন। মুঘল পৃষ্ঠপোষকতায় সমরখন্দ পদ্ধতির বিদ্যাচর্চার দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যায় গোটা দক্ষিণ এশিয়ায়, যেটার একটা বড় অংশ ছিল ভূসমীক্ষণের তত্ত্ব।
এটা পরিষ্কার যে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ভূমি মাপন দীর্ঘকালের একটা স্বাভাবিক প্রশাসনিক ঘটনা ছিল। দীর্ঘকাল ধরে ঔপনিবেশপূর্ব কালে বিভিন্ন সাম্রাজ্যের প্রশাসনের এই কাজের ধারাবাহিকতায় একটা নির্দিষ্ট জ্ঞানচর্চা গড়ে ওঠে।
(সঙ্গের ছবিতে এস্ট্রালোব আর এস্ট্রালোবের দেখার চিত্র)
(সঙ্গের ছবিতে এস্ট্রালোব আর এস্ট্রালোবের দেখার চিত্র)
No comments:
Post a Comment