চিকিতসক এবং এক সময়ে এশিয়াটিক সোসাইটির প্রধান উইলিয়াম
হান্টার এই অনুবাদের কাজটিকে বৈজ্ঞানিক উপনিবেশিকতাবাদের উপযোগিতা হিসেবেই দেখছেন।
হান্টারের কাছে তাফাজ্জুলের কাজ আদতে মানবিক ইওরোপিয় উপনিবেশের স্নিগ্ধরূপ। তিনি
এশিয়াটিক সোসাইটিতে ১৭৯৬ সালে বললেন - I have always
thought that after having convinced the Eastern nations of our superiority
in policy and arms, nothing can contribute more to the extension of
our national glory than the diffusion among them of a taste for
European science. And as the means of promoting so desirable an end, those
among the natives who had penetration to see, and ingenuously to
own, its superior accuracy and evidence, ought to be cherished.
Among those of the Islamic faith, Tuffuzzul Hussein Khan, who, by
translating the works of the immortal Newton, has conducted those
imbued with Arabick literature to the fountain of all physical and
astronomical knowledge, is above my praise।
সোসাইটির স্কটিশ
জ্যোতির্বিদ জেমস ডিনুইডি নিজে হান্টারের বক্তব্য শুনেছেন। ১৭৯৩-৯৪ সালে ডিনুইডি
চিনে গিয়ে সৌরমডেল(orreries) এবং newfangled telescopes নিয়ে কুইং
সম্রাটকে ইওরোপিয় উচ্চমানের প্রযুক্তি বিষয়ে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়ে সবে কলকাতায়
ফিরেছেন। কলকাতায় ব্যবসায়িক কিছু রাসায়নিক বিষয়ে দালালি, অঙ্কের শিক্ষকতা এবং
জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ে বক্তৃতা দিয়ে ডিনুইডির দিন কাটে। ডিনুইডির জীবনীকার উইলিয়াম
প্রাউডফুট লিখছেন, তারা কলকাতা থাকার সময় তিনি দেশি সব থেকে দক্ষ যে অঙ্কবিদের
সঙ্গে দ্যাখা করেন তাঁর নাম তুলাজ্জুল হুসেইন। তাঁর পরেই আদত বিশেষণ প্রকাশিত হল, his knowledge was
purely speculative, being unable to apply it to any practical purposes। ব্যাঙ্গাত্মক কুয়াশাচ্ছন্ন
প্রাচ্যবাদের বিপ্রতীপে প্রগতিশীল ইওরোপিয় চাতুরি আবার নতুন করে মুখোমুখি হল।
নেটিভ তাফাজ্জুল
ইওরোপিয় প্রভুত্বে বিশ্বাসী ছিলেন বলেই ১৭৯৭-৯৮ন সালে তাক লক্ষ্ণৌএর প্রধানমন্ত্রী
করে পাঠানো হয়। শোরের সহায়ক, অনুবাদক নিল এডমন্ডস্টোন ১৯৯৭ সালে তাঁর সম্বন্ধে
লিখছেন, আমি তাঁর মত দুটো মানুষ পাই নি, For general knowledge, acuteness of understanding,learning,
deep penetration, politeness of manners, eloquence and dignity of
conduct, I never met with his equal। আসফদৌল্লার মৃত্যুতে তাঁর বড় পুত্র,
কোম্পানির স্বার্থ বিরোধী উজির আলি খানকে সিংহাসনে বসানো হয়। এক মাসের মধ্যে
তাফাজ্জুল একটি রক্তাক্ত বিপ্লবে তাঁর ছাত্র সাদাত আলিকে সিংহাসনে বসান। তাফাজ্জুল
শোরকে বেল, এটা হিন্দুস্তান, ইওরোপে যা করা যায় এখানে সেভাবে কাজ করা যায় না। একমাসেরে
মধ্যে তিনি কলকাতায় এসে মৃত্যুমুখে পতিত হন।
No comments:
Post a Comment