… Through all the groves of science, silent now,
Devious I wander, and alone, not cheer’d
With Nature’s secret lore, celestial song.
Alas! He’s fled; who the heaven’s expanse
With truer ken than the Pelusian Sage
Survey’d …
All bath’d in tears of dew the stars look down
With mournful eyes, in lamentation deep:
For he, their sage belov’d, is dead; who first
To Islam’s followers explain’d their laws,
Their distances, their orbits, and their times,
As great Copernicus once half divin’d
And greater Newton prov’d: but useless now,
Their works we turn with idle hand, and scan
With vacant eye, our own first master gone …
গোটা নবজাগরণের তাত্ত্বিক ভূমিকাটা ছিল দেশিয় জ্ঞানচর্চাকে
ইওরোপিয় জ্ঞানচর্চা দিয়ে প্রতিস্থাপন প্রকল্প। বিপুল সংখ্যায় ইওরোপিয় ওরিয়েন্টালিস্ট,
দেশিয় নবজাগরিত শিক্ষিতদের বক্তব্য ছিল গোটা উপমহাদেশ তাঁর অতীতের জ্ঞানচর্চার
ধারা থেকে সরে এসেছে। এশিয়াটিক সোসাইটি স্থাপনের একটা উদ্দেশ্য ছিল এশিয়ার অতীতের
এই মহান ‘লুপ্ত’ জ্ঞান উদ্ধার। ধীরে ধীরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে পতিত বাংলাতথা ভারতের
অভিজ্ঞানিক তত্ত্বটি জাঁকিয়ে বসে। এছাড়াও বলা হতে থাকে, উপমহাদেশ ইসলামি কবলে চলে
যাওয়ায়, সে সারা বিশ্বের (বিশ্ব বলতেতো অশিক্ষিত ইওরোপ) জ্ঞানচর্চা থেকে বিচ্যুত
হয়ে অজ্ঞানের ঘোলাজলে ডুবেছিল। মোঘল আমলের শেষে আর ব্রিটিশ আমলের শুরুতে একজন
শিক্ষিত(ইংরেজি ভাষায় নয়) শিয়ার জীবনী আলোচনায় আমরা দেখব আদতে এই অভিযোগ কতটা
সত্য। মনে রাখা দরকার, যে সময়ে আমরা আলোচ্য ব্যক্তির জ্ঞানচর্চাময় জীবন আলোচনা
করছি, সেই সময় অযোধ্যার কিছু দূরে জ্যোতির্বিদ জয় সিং কিন্তু ইওরোপিয় প্রযুক্তি
ব্যতিরেকেই একটি অসাধারণ মানমন্দির বানাচ্ছেন। এই প্রক্ষিত আলোচনা করবে আমাদের এই
লেখাটি।
ওপরের ইংরেজি এলিজিটি লিখেছেন তাফাজ্জুল হুসেইন খান, ভারতে, শিয়া তত্ত্বনির্ভর করে
নিউটনের প্রিঙ্খিপিয়ার প্রথম অনুবাক। ডুবে যেতে বসা মুঘল অভিজাত শিয়া পরিবারের
রত্ন তাফাজ্জুলএর জন্ম শিয়ালকোটে, নিউটনের মৃত্যুর বছর ১৭২৭ সালে। শাহী দিল্লীতে
তিনি দর্শন, যুক্তিবিদ্যা এবং অঙ্ক শেখেন এবং ১৭৪৫ সালে তিনি অবধ(অযোধ্যা)এ যান ।
নবাব সুজাউদ্দৌলার পৃষ্ঠপোষকতায় লক্ষ্ণৌতে তাঁর দ্রুত উত্থান ঘটতে থাকে। শহরের
ফিরঙ্গি মহল নামক উচ্চবিদ্যালয়ে পাঠে প্রবেশ করেন। মহাবিদ্যালয়টি ১৬৯৩ সালে একটি
পরিত্যক্ত ডাচ কুঠিতে শাহেনশাহ ঔরঙ্গজেবের নামে তৈরি করেছিলেন প্রখ্যাত জ্ঞানী
নিজামুদ্দিন দলভি, সেই সময়ের বিশ্বজ্ঞান শিক্ষা ছিল এই মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার
উদ্দেশ্য। নিজামুদ্দিন সারা বিশ্বের বিশেষ করে গ্রিকো-রোমিয় যুক্তিবাদী জ্ঞান
ঘেঁটে নতুন ধরণের একটি পাঠ্যক্রম তৈরি করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল পড়ুয়াদের সরকারি
প্রশাসনিক আমলা হিসেবে তৈরি করা। এই পাঠ্যক্রমে নিজামুদ্দিন দলভি, এশিয় জ্ঞানচর্চার
সঙ্গে ইওরোপিয় জ্ঞানচর্চাকে মেশান – এই পাঠ্যক্রমে ইউক্লিড আর টলেমির কাজের ইসলামি
টিকাগুলির সঙ্গে প্রশাসনিক ও দেওয়ানি আইনও পড়ানো হত। মুঘল এবং তাঁর পরে ব্রিটিশ
সাম্রাজ্য এই মহাবিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে তৈরি তুফুজ্জুলের মত ছাত্রদের বুদ্ধিবৃত্তি
ব্যবহার করেছে। তাফাজ্জুলের মত শহুরে শিক্ষতরা এই পাঠ্যক্রম রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার
করেছেন। তিনি ক্রমে নবাবের দ্বিতীয় পুত্র সাদাত আলি খানের শিক্ষক নিযুক্ত হন।
No comments:
Post a Comment