এর আগের প্রতিবেদনে স্পষ্ট দেখিয়েছি যে হিন্দু কলেজ যা পরে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চিহ্নিত হয় তার সঙ্গে ফ্রিম্যাসনদের যোগ স্পষ্ট ছিল। আর ফ্রিম্যাসনদের সঙ্গে রথসচাইল্ডদের যোগাযোগে আজ আর প্রমানের অপেক্ষা রাখে না। সেটা তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য থেকে পরিষ্কার।
হিন্দু কলেজের শুরুই হয় গোপনীয়তায় মোড়া একটি মিশনারি গোষ্ঠী ফ্রিম্যাসনদের হাত ধরে যাদের পিছনে ছিলেন রথসচাইল্ডেরা। সে তথ্য পাই তাদের ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে - Members of the Rothschild family have been involved with the Freemasons, a fraternal organisation whose members are concerned with moral and spiritual values, self-improvement, and helping their communities with charitable endeavours. The Rothschilds began to acquire large estates in Buckinghamshire in the 1840s. In 1836, Nathan Mayer Rothschild’s widow, Hannah (1783-1850), bought a few acres of land at Mentmore in Buckinghamshire for her sons so that they could take healthy exercise away from the city. In 1850 Mayer bought the Manor of Mentmore for £12,400 and commissioned Joseph Paxton and his son-in-law George Stokes to build him a house. By 1900, different branches and generations of the family owned thousands of acres, so the Vale of Aylesbury almost became a Rothschild enclave, the most famous property being Waddesdon Manor, built by Baron Ferdinand de Rothschild (1839-1898) সূত্রঃ https://www.rothschildarchive.org/…/family_inte…/freemasonry।
উল্লেখ্য ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে ফ্রিম্যাসনস এবং তাদের হাত ধরে কোম্পানির কর্মকর্তা এবং তাদের বন্ধুত্বের সূত্র ধরে রথসচাইল্ডদের যোগ পরিষ্কার হয়ে যায় এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। কলেজ তৈরির বরাত পান কলেজের প্রাথমিক বিনিয়োগকারীদের অন্যতম দ্বারকানাথ ঠাকুরের আগামী দিনের ব্যবসায়িক অংশীদার ম্যাকিনটস। এই অনুষ্ঠানের সংযোগে স্পষ্ট তিনিও ফ্রিম্যাসন এবং তাদের বিনিয়োগকারী রথসচাইল্ডদের ঘনিষ্ঠ।
এই অনুষ্ঠানে যদিও সরাসরি যোগ দেন নি দ্বারকানাথ ঠাকুর, কিন্তু ক্যালকাটা গেজেটের প্রতিবেদনে স্পষ্ট যে এই অনুষ্ঠনে নেটিভদের পক্ষে ফ্রিম্যাসনদের ধন্যবাদ এবং বক্তৃতা দেন কিন্তু ঠাকুর পরিবারের পক্ষে রাম মোহন ঠাকুর।
এ প্রসঙ্গে দ্বারকানাথ ঠাকুরের সঙ্গে ম্যাকিনটস কোম্পানির যোগের তথ্য তুলে দেওয়া যাক আমাদের দ্বিতীয় ইতিহাসঃ লুঠেরা ইংরেজ, সাথী ভদ্রলোক, সাংস্কৃতিক গণহত্যা আর গ্রামীন স্বাধীণতা সংগ্রাম নামক বইটি থেকে দ্বারকানাথ আর রামমোহনের কোম্পানির সহায়তায় বাংলা লুঠের বিস্তৃত কার্যক্রমের বর্ননা - এক যে ছিলেন প্রিন্স অধ্যায়...
... ১৮৩৩এ ম্যাকিন্টশ কোম্পানি আর অন্য দুটি পতন ঘটায় দ্বারকানাথ নিজে দেনা পাওনার দায় নেন। এবং নতুন অংশিদার নিয়ে নিউ ওরিয়েন্টাল লাইফ ইন্সিওরেন্স কোম্পানি গঠন করেন। তিনি ছিলেন ম্যাকিন্টশের দেওয়ান অর্থাৎ টাকার জোগান দেওয়ার কাজ করতেন। দ্বারকানাথ ঠাকুরের গুরু রামমোহন রায়ের ব্যবসা দেখত ম্যাকিনটস। ম্যাকিনটস ছিলেন রামমোহনের অন্তরঙ্গ বন্ধু। যদিও গোপীমোহন ঠাকুর এর সঙ্গে জুড়ে ছিলেন তবে রামমোহনের বন্ধুত্ব সূত্রেই হয়ত দ্বারকানাথের ম্যাকিনটস সংযোগ। পরে এটি কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কের অংশিদার হয়। কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক স্থাপিত হয় ১৮১৯ সালের ১মে। ম্যাকিন্টসের অংশিদার গর্ডন, কল্ডার, যোসেফ ব্যারেটো, জন মেল্ভিল, গোপীমোহন ঠকুরের বড় ছেলে সূর্যকুমার।
... ১৮৩৩এ ম্যাকিন্টশ কোম্পানি আর অন্য দুটি পতন ঘটায় দ্বারকানাথ নিজে দেনা পাওনার দায় নেন। এবং নতুন অংশিদার নিয়ে নিউ ওরিয়েন্টাল লাইফ ইন্সিওরেন্স কোম্পানি গঠন করেন। তিনি ছিলেন ম্যাকিন্টশের দেওয়ান অর্থাৎ টাকার জোগান দেওয়ার কাজ করতেন। দ্বারকানাথ ঠাকুরের গুরু রামমোহন রায়ের ব্যবসা দেখত ম্যাকিনটস। ম্যাকিনটস ছিলেন রামমোহনের অন্তরঙ্গ বন্ধু। যদিও গোপীমোহন ঠাকুর এর সঙ্গে জুড়ে ছিলেন তবে রামমোহনের বন্ধুত্ব সূত্রেই হয়ত দ্বারকানাথের ম্যাকিনটস সংযোগ। পরে এটি কমার্শিয়াল ব্যাঙ্কের অংশিদার হয়। কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক স্থাপিত হয় ১৮১৯ সালের ১মে। ম্যাকিন্টসের অংশিদার গর্ডন, কল্ডার, যোসেফ ব্যারেটো, জন মেল্ভিল, গোপীমোহন ঠকুরের বড় ছেলে সূর্যকুমার।
দ্বারকানাথের তিন জীবনীকার ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ব্লেয়ার বি ক্লিং এবং জামাই কৃষ্ণ কৃপালনি এই ব্যাঙ্কের সঙ্গে দ্বারকানাথের যোগাযোগের তথ্য সামাল দিতে গোপীমোহন ঠাকুরের নাম উল্লেখ করেছেন। অবাস্তব তথ্য। সংবাদপত্রে সেকালের কথায় জানতে পারছি গোপীমোহন মারা যান ১৮১৮য়। কমার্সিয়াল ব্যাঙ্ক তখন ম্যাকিন্টসের কোষাগার! ঐ বোর্ডে দ্বারকানাথ ছাড়া সকলেই ম্যাকিন্টসের সদস্য। আশ্চর্যের কথা ম্যাকিন্টসের সঙ্গে কমার্সিয়াল ব্যাঙ্কের পতন ঘটার পরে সমস্ত দেনা পাওনার দায় দ্বারকানাথ নিজে গ্রহণ করেন ১৮৩৩এ জানুয়ারিতে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
ফলে একটা বিষয় পরিষ্কার যে কোম্পানির সেরেস্তাদারি ছাড়ার পরেও দ্বারকানাথ কার ঠাকুর এন্ড কোং-এ বিনিয়োগ যোগ্য সম্পদ কোথা ঠেকে যোগাড় করেন। পরোক্ষ প্রমান ঠেকে পরিষ্কার যে ঠাকুর পরিবারের সে সময়ের কত্তা দ্বারকানাথের মুরুব্বি ছিলেন কিন্তু কোম্পানির পৃষ্ঠপোষক, রথসচাইল্ড।
এর সঙ্গে কিছুটা হয়ত পরিষ্কার হয়ে যায় মাসে এক লক্ষ টাকা ব্যয় করে দুদফায় বিলেতে উড়নচণ্ডী জীবনযাপন করা দ্বারকানাথের লন্ডনে অস্বাভাবিক মৃত্যু রহস্য। যার পিছনে রইথসচাইল্ডদের ভূমিকা থাকা বিন্দুমাত্র অস্বাভাবিক নয়।
দ্বারকানাথের মৃত্যুর সঙ্গে রথসচাইল্ডদের স্পষ্ট যোগ থাকতে পারে এই সূত্রটা দিয়েছিলেন, দেবুদা, Debabrataদা। তিনি স্পষ্ট প্রমান দিতে পারেন নি, কিন্তু সন্দেহ খুঁচিয়ে দিয়েছিলেন, আজ অনেকটা সত্যের কাছাকাছি পৌঁছন গেল।
No comments:
Post a Comment