রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি
জমির বিলিবন্টন আর রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি
জমির বিলিবন্টন আর রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি
গ্রামে, মহালে এবং পরগণায় খাজনা আদায়ের কাঠমো আলোচনা করা গেল-
গ্রাম পাটোয়ারি – জোতজমি, জমা ফসলের হিসেব রাখতেন।
গ্রাম পাটোয়ারি – জোতজমি, জমা ফসলের হিসেব রাখতেন।
মুকদ্দম – গ্রামের মোড়ল। এর মাধ্যমেই গ্রামের কৃষি জমি বিলি-বন্দোবস্ত হত এবং গ্রামের ওপর ধার্য করা খাজনা আদায় করে সরকারকে দিতে বাধ্য থাকতেন।
পরগনা – একজন পাটোয়ারি গ্রামে যে জমিজমার হিসেব রাখতেন, পরগণার কানুনগো তাঁর অধীন গ্রাম সমূহের জমিজমা, তার ফসল, দখলদার ইত্যাদির হিসেবও রাখতেন। সেযুগে একজন পরগনার কানুনগো আদায়ের ওপর শতকরা এক টাকা আদায় পেতেন। কানুনগো ছিলেন জমিজমা এবং প্রজাসত্ত্বের আইনিকানুন বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি। তার সমীক্ষাতেই সরকার থেকে গ্রামের খাজনা আদায় হত। আবুলফজলের মতে কানুনগোরাই হল চাষীদের ভরসাস্থল।
চৌধুরী বা পরগনার প্রধান
গ্রামগুলোর খাজনা চৌধুরীদের কাছে জমা হত। এরাও আদায়ের ওপর একটাকা করে পেতেন।
গ্রামগুলোর খাজনা চৌধুরীদের কাছে জমা হত। এরাও আদায়ের ওপর একটাকা করে পেতেন।
আমিন
জমিজমা মাপজোক করে চাষীদের মধ্যে জমি বিলি করার অধিকারী। জমি বিবাদের যথোপযূক্ত মিমাংসা করার দায় ছিল তাঁর ওপরে।
জমিজমা মাপজোক করে চাষীদের মধ্যে জমি বিলি করার অধিকারী। জমি বিবাদের যথোপযূক্ত মিমাংসা করার দায় ছিল তাঁর ওপরে।
পরগনার দায়িত্বে থাকা চৌধুরীরা আদায়ী খাজন জমা দিতেন জেলা বা সরকারি রাজস্ব বিভাগে। সেখান থেকে রাজস্ব, প্রদেশ বা ইকতার সরকারি কোষাগারে জমা হত।
খাজনা সাধারণত গ্রহণ করা হত ফসলে। নগদে দিলে রাজস্ব কর্মচারীরা খুশিই হতেন। ফসলের মূল্য চলতি বাজার দরে ধরা হত।
খাননা আদায়ের হার
সুলতানি যুগের আগে ফসলের এক ষষ্ঠাংশ খাজনা দিতে হত। ব্যতিক্রমও ছিল। সুলতানি আমলে ছিল একতৃতীয়াংশ। কোন জমিতে যদি উৎপন্ন ধানের পরিমান হত তিন মণ, তাহলে সরকারি খাজনা হবে ১ মণ ধান, চাষীর থাকবে ২ মণ।
সুলতানি যুগের আগে ফসলের এক ষষ্ঠাংশ খাজনা দিতে হত। ব্যতিক্রমও ছিল। সুলতানি আমলে ছিল একতৃতীয়াংশ। কোন জমিতে যদি উৎপন্ন ধানের পরিমান হত তিন মণ, তাহলে সরকারি খাজনা হবে ১ মণ ধান, চাষীর থাকবে ২ মণ।
No comments:
Post a Comment