আমাদের কাছে সমস্যা হল আমরা কি ক্ষমতার বিরুদ্ধে পাত্তা পেতে পাল্টা ক্ষমতা তৈরি করতে যাচ্ছি, যে তোরা আমাদের খিস্তি করেছিস, নে আমরা তোদের পাল্টা দিলাম - আমি যাকে ক্ষমতা ভাবি সে যদি আমায় সুন্দর সুন্দর বাক্যে ভরিয়ে দিত, তাহলে নিশ্চই সমস্যা থাকত না।
বাকি ভারত কিভাবত না ভাবত তাতে বাংলার কোন দিনই কিস্যু আসে যায় নি, সে নিজের মত করে কয়েক হাজার বছর করে আলাদাভাবে বেড়েছে - আলাদা কৃষ্টি, আলাদা জীবনযাত্রা, আলাদা রাজনীতি, আলাদা(পাল্টা নয়) উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি করেছে, হাজার হাজার উৎপাদন, হাজার হাজার বিক্রেতার, আর্থ-সামাজিক সাম্যাবস্থার জন্য বাংলায় মহিলাদের উৎপাদন ব্যবস্থায় অংশগ্রহন অনেক বেশি ছিল সেদিনও, আজও আছে। আকবর দিনিইলাহির জন্য বাংলা থেকে পর্তুগিজদের নিয়ে যান কিন্তু বাংলার ভারত বিখ্যাত নৈয়ায়িক বা বাংলা-বৃন্দাবনের গৌড়িয় বৈষ্ণবদের ডাকেন নি। তাতে কি নৈয়ায়িক বা গৌড়িয় বৈষ্ণবদের আদর কমেছ্যে? না তারা আকবর পাদশাহর পাল্টা ধর্ম দরবার তৈরি করেছিল? না তার নিজস্বতা হারিয়ে গিয়েছিল।
কুড়মালি নিয়ে কাজ করা কিছু আমাদের বন্ধুরা নিজেদের উতসাহে চিসই লিপি তৈরি করেছেন, প্রাইমার ছাপিয়েছেন, ৫০টার বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালাচ্ছেন গ্রামে গঞ্জে নিজেদের উদ্যমে, নিজেদের খরচে, এক্কেবারে রাষ্ট্রীয় উদ্যমের বাইরে দাঁড়িয়ে, একবারও রাষ্ট্রকে বলতে যান নি আমাদের স্বীকার কর, রাষ্ট্র স্বীকার করবে কি না করবে সেটা রাষ্ট্রের বিষয়। রাজ্যসরকার কুড়মালি আকাদেমি করল, এই আলাদাভাবে কাজ করা মানুষেরা তার অংশ নয়। তারা কি গোঁসা করে তাদের কাজ থামিয়ে দিয়েছে?
ক্ষমতার কাজটাই হল, তার বিরুদ্ধ মতকে পাল্টা আঘাত দিয়ে তার মত করে চালনা করা - এজেন্ডার বিরুদ্ধে এই পাল্টা করার প্রণোদনা ক্ষমতার কাছে পাত্তা চাইবার উদ্যম এর বেশি কিছু নয়।
No comments:
Post a Comment