১৭৮৯তে চার্লস আরেক আমলা চার্লস ব্লান্টএর কন্যা মারিয়া টাইফিনা ব্লান্টকে বিয়ে করেন, এবং ককরেল তাঁর কাকা-শ্বশুরকে তাঁর কলকাতার ব্যবসার হিসেব রাখার দায় দেন। অসুস্থ মারিয়া কলকাতায় মারা যান। ১৮০১এ লন্ডনে ফিরে লন্ডনের প্যাক্সটন, ককরেল এন্ড ট্রেল কোম্পানির অংশিদার হন। তিনি মার্কুইস অব ওয়েলেসলির খুব কাছের মানুষ ছিলেন, তাঁর ধনসম্পত্তি দেখাশোনা করতেন ককরেল। ১৭৯৯এ ব্রিটিশদের তখন একনম্বর শত্রু বিরুদ্ধে মহীশূরের যুদ্ধের কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় সম্পদ যোগাড় করে দেন ব্যাঙ্ক অব ইংলন্ড থেকে। ১৮০২তে তিনি পার্লামেন্টের সদস্য হন। ওয়েলেসলির ঋণে অর্থসাহায্যের বিনিময়ে তিনি ব্যারন হন ১৮০৯ সালে। ১৮০৮এ তিনি নর্থউইকের প্রথম ব্যারন জন রাশাউটএর কন্যা হ্যারিয়েট রাশাউটকে বিবাহ করেন।
সূত্রঃ http://blogs.ucl.ac.uk/eicah/sezincote-gloucestershire/sezincote-case-study-the-cockerell-family/ এবং সংশ্লিষ্ট উইকিপিডিয়াগুলি
সরাসরি লুঠ
এইভাবে ভারত শাসনের উদ্বৃত্ত অর্থ ভারতে বিনিয়োগ না করে অংশিদারদের বেঁটে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দেশে। তবে ভারতীয় স্বাধীণতা সংগ্রাম দমনে ব্রিটিশদের বিপুল অর্থ ব্যয় হতে হতে শুরু করে। বিশেষকরে ওয়েলেসলির সময় থেকে। ভারত থেকে পাঠানো অর্থে অংশিদারদের লভ্যাংশ দেওয়া যেতনা। তথন ধার করতে হত। এই ধারের বোঝা মেটাতে একটাই গৌরী সেন ছিল। ভারতীয় খাজনাদারেরা।
১৭৯২তে ভারতের সরকারি যে ঋণ ছিল ৭০ লক্ষ টাকা ১৭৯৯তে সেই ধার গিয়ে দাঁড়াল ১০০ লক্ষে, ১৮০৭এ ওয়েলেসলির ভারত জোড়া যুদ্ধের ধার হল ২কোটি ৭০ লক্ষ এবং ১৮২৯সালে গিয়ে দাঁড়াবে ৩ কোটিতে। ১৮৩৮এর মন্টগোমারি মার্টিন বলছেন, For half a century we have gone on draining from two to three and sometimes four million pounds sterling a year from India, which has been remitted to Great Britain to meet the deficiencies of commercial speculations, to pay the interest of debts, to support the home establishment, and to invest on England’s soil the accumulated wealth of those whose lives have been spent in Hindustan. I do not think it possible for human ingenuity to avert entirely the evil effects of a continued drain of three or four million pounds a year from a distant country like India and which is never returned to it in any shape(The History, Antiquities, Topography, and Statistics of Eastern India: Puraniya, Ronggopoor and Assam বইটি থেকে)। এবার পি জে মার্শালএর তত্বিকতায়পূর্ণ বক্তব্য, ভারত থেকে সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ পাউন্ডের গল্পগাছাটি মিলিয়ে নিন।
জন শোর লিখলেন, The halcyon days of India are over; she has been drained of a large proportion of the wealth she once possessed; and her energies have been cramped by a sordid system of misrule to which the interests of millions have been sacrificed for the benefit of the few. রমেশ দত্ত বললেন, ‘Within twelve years after the change in administration, the Economic Drain from India had increased fourfold. India suffered this steady and increasing drain and prepared herself for those frequent and widespread famines which marked the last quarter of the nineteenth century. They were the natural economic results of a continuous drain such as no country, no earth could bear’. Our Financial Relations with India (1959), পুস্তকে Sir George Wingate বললেন, India should defray all the expenses of civil and military administration incurred in India, while Britain should meet the expenses incurred in England(Notes on Indian Affairs – John Shore).
১৭৬৫তে ক্লাইভ লন্ডনের ডিরেক্টর সভাকে লিখলেন, দেওয়ানি লাভের পর বছরে আয় হওয়া উচিত আড়াই কোটি টাকা। পরে আরও বাড়বে(ছিয়াত্তরের মন্বন্তর) ২০-৩০ লাখ টাকা। বাঙলায় কোম্পনির ব্যয় বছরে ৬০ লাখ টাকা মাত্র। নবাবের ভাতা কমিয়ে ৪২ লাখ করা হয়েছে। মোঘল দরবারে দিতে হয় ২৬ লক্ষ। সমস্ত কিছু বাদ দিয়ে কোম্পানির হাতে থাকবে ১,২২,০০,০০০ টাকা। ১৭৭৩এর হিসেবে আয় ১,৩০,৬৬,৭৬১ পাউন্ড খরচ ৯০,২৭,৬০৯ পাউন্ড মোট ৮০,৩৭,১৫২ পাউন্ড ইংলন্ডে পাঠানো হয়েছে। ভারত থেকে আমাদানি করা সমস্ত পণ্যের দাম কোম্পানির রাজস্ব মুনাফা থেকে মেটানো হত। ১৭৮৩র পার্লামেন্টের সিলেক্ট কমিটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিময়ে কিছু না দিয়েই ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১৮৩২এর পার্লামেন্টের সমীক্ষার পাঁচ বছর পর, Montgomery Martin লিখবেন; ... “We have done everything possible to impoverish still further the miserable beings (Indians) subject to the cruel selfishness of English commerce ... Under the pretence of Free Trade, England has compelled the Hindus to receive the products of the steam-looms of Lancashire, Yorkshire, Glasgow and Co., at mere nominal duties; while the hand-wrought manufactures of Bengal and Bihar, beautiful in fabric and durable in wear, have had heavy and almost protective duties imposed on their importation to England”.
No comments:
Post a Comment