*****দরকার মনটাকে খোলা রাখা, মাঠে ঘাটে গ্রামের কারিগরদের কারখানায় আমাদের শিক্ষকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে তাদের কাছে জ্ঞান প্রযুক্তি শেখার খোলা মনটা থাকা চাই, তারাই হবেন প্রাথমিক শিক্ষক। তবেই তৈরি হবে শূদ্র জ্ঞানচর্চা আর উপনিবেশ বিরোধী জ্ঞানচর্চার পরিবেশ। নয়ত হাজার পড়েও হবে না। দেখুন কলাবতী মুদ্রা আর ওয়াপাগের ব্লগ http://lokfolk.blogspot.in/, এটা আমরা মন দিয়ে ২০০৯/১৪১৪ সাল থেকে চালাচ্ছি। *****
আমাদের বন্ধু Debabrata Shyamroy চেয়েছেন উপনিবেশবাদ বিরোধী এবং দেশিয় জ্ঞানচর্চা পক্ষীয় পড়াশোনা করতে। তার একটা বই এবং পঠন তালিকা করা গেল।
এখানে অবশ্য বলে রাখা দরকার ব্রিটিশ পূর্ব শূদ্র জ্ঞানচর্চার সঙ্গে সঙ্ঘীদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি নিয়ে প্রচার সম্পূর্ণ আলাদা। এর সঙ্গে তাকে গুলিয়ে ফেললে হবে না।
এখানে অবশ্য বলে রাখা দরকার ব্রিটিশ পূর্ব শূদ্র জ্ঞানচর্চার সঙ্গে সঙ্ঘীদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি নিয়ে প্রচার সম্পূর্ণ আলাদা। এর সঙ্গে তাকে গুলিয়ে ফেললে হবে না।
বাংলা তথা ভারতের গ্রামীনদের জ্ঞানচর্চা নিয়ে খুব কম কাজ হয়েছে - কারণ পশ্চিমি পদ্ধতিতে শিক্ষিত অধিকাংশই বিশ্বাস করেন না - বামপন্থীরা তো করেনই না - বললেই খ্যাঁক করে ওঠেন - কারণ এঙ্গেলস বলে গিয়েছিলেন ইওরোপ ভারত জিতেছিল কারণ তারা উচ্চতর প্রযুক্তি নিয়ে ভারতে এসেছিল এবং জনগণ যেহেতু সামন্তবাদের বশে ছিল, তাদের ক্রিয়াকর্ম প্রায় ছিল না বললেই চলে, ফলে যা কিছু হয়েছে সব সামন্ত প্রভুদের অঙ্গুলি হেলনে, তাদের সুবিধের জন্য। যারা উপনিবেশের জ্ঞানচর্চার বিরোধিতা করেছেন বা শূদ্র জ্ঞানচর্চার পক্ষ নিচ্ছেন তার মূলত গান্ধীবাদী, এবং ভারত দেখার দৃষ্টি তাদের সত্যিই আলাদা এটা অস্বীকার কলে বড় ভুল হয়ে যাবে। দক্ষিণের PPST আন্দোলন ছাড়া সারা ভারতে শূদ্র জ্ঞানচর্চা নিয়ে বামপন্থীদের খুব বেশি কিছু কাজ নেই। আজও ইওরোপের প্রযুক্তি, লুঠ, তার জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রিকতা ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তুললেই বামপন্থীদের স্বাভাবিক অস্বস্তি এবং একই সঙ্গে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়।
---
এই কাজের প্রাথমিক ঘটক ছিলেন ধরমপালজী, তার পাঁচখণ্ডের রচনাবলী প্রকাশ করেছে গোয়ার ক্লদ আলভারেজের আদার ইন্ডিয়া প্রেস, এটার নেট সংস্করণ পাওয়া যায় - আজ যারা উপনিবেশ বিরোধী জ্ঞানচর্চা নিয়ে কাজ করছেন তারা প্রায় সকলেই তাঁর শিষ্য
১) https://archive.org/.../DharampalCollectedWritingsIn5Volumes
---
এই কাজের প্রাথমিক ঘটক ছিলেন ধরমপালজী, তার পাঁচখণ্ডের রচনাবলী প্রকাশ করেছে গোয়ার ক্লদ আলভারেজের আদার ইন্ডিয়া প্রেস, এটার নেট সংস্করণ পাওয়া যায় - আজ যারা উপনিবেশ বিরোধী জ্ঞানচর্চা নিয়ে কাজ করছেন তারা প্রায় সকলেই তাঁর শিষ্য
১) https://archive.org/.../DharampalCollectedWritingsIn5Volumes
২) চন্দ্রকান্ত রাজু - আমরা যেহেতু সকলে নিজে থেকে শিখছি ফলে খুব বেশি পড়াশোনা করা মানুষ আমাদের পাত্তা দেন না, কিন্তু রাজু আইআইটি থেকে পাশ করা এবং তিনি দেশিয় জ্ঞানএর চর্চা করেছেন সমান্তরালভাবে ফলে তাঁকে হুটকরে ফেলে দেওয়া, মনগড়া বলা মুশকিল, তাই রাজুর কাজ দেখুন, বেশ কিছু বই আছে, তার নিজের ওয়েবসাইট আছে, ব্লগ আছে নেটে প্রচুর পিডিফ আছে, প্রচুর বক্তৃতা আছে, পড়ে/দেখে নেওয়া দরকার, http://ckraju.net/
৩) ক্লদ আলভারেজ - সরাসরি ধরমপালজীর ব্যতিক্রমী বামপন্থী শিষ্য - উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী উদ্যোক্তা - Science, Development and Violence: The Revolt Against Modernity বা Decolonizing History: Technology and Culture in India, China and the West 1492 to the Present Day, Science, development, and violence; Encyclopaedia of the History of Science, Technology, and Medicine in Non-Western Cultures: A Springer Live Reference, Damming the Narmada, A Farewell to the Eurocentric Imagination, Goa, Sweet Land of Mine কয়েকতা বই। এর ব্লগ আছে। ভিডিও আছে। আজও লড়ে যান।
4) পড়তে হবে অবশ্যই সদ্য প্রয়াত হওয়া অনুপম মিশ্রের আজ ভি খড়ি হৈ তলাব, বা রাজস্থান কি রজত বুঁদে, এবং ওনার প্রচুর লেখা, অবশ্যই হিন্দিতে, বইগুলির অধিকাংশ নেটে পাওয়া যায়। আজ ভি খড়ি... অন্তত ২০০ ভাষায় অনুবাদ হয়েছে - দুটো বইই নেটে পাওয়া যায়। তিনি দেশকে, দেশের সাধারণ মানুষকে অন্যভাবে দেখার ভাবনা তৈরি করে দেন। শুধু এইটা দেখুন https://www.ted.com/…/anupam_mishra_the_ancient_ingenuity_o…
৫) অবশ্যই বাংলার তাত্ত্বিক জয়া মিত্র - জলের নাম ভালবাসা বা ওনার সম্পাদিত পত্রিকা ভূমধ্যসাগরের অসংখ্য লেখা বার বার গণজনের জ্ঞানের কথা বলেছেন।
৬) এছাড়াও বেশ কিছু মানুষ সংগঠন এই বিষয়ে কাজ করছে তাদের মধ্যে কলাবতী মুদ্রা, পরম নামে পত্রিকা ইত্যাদি।
৭) http://www.indianscience.org/ এই সাইটটা দেখবেন অবশ্যই
৮) পড়তে হবে জি ভার্গিজ যোশেফের ক্রেস্ট অব দ্য পিকক, বিশ্বের অঙ্ক চর্চার ইতিহাস - যদিও আমাদের পছন্দ রাজুর উপনিবেশকে আক্রমণ করে লেখাগুলি।
***এটা একটা প্রাথমিক স্বতঃস্কূর্ত লেখা।আরও সংগঠন, মানুষ কাজ করছেন, কিন্তু সেগুলির অধিকাংশ কোনভাবেই ইওরোপকেন্দ্রিকতা থেকে বেরোতে পারে না।
No comments:
Post a Comment