১) জায়গীরদারদের মাধ্যমে
সাম্রাজ্যের এক একটা বড় অঞ্চল জায়গীরদের মধ্যে বিলি করা হত, এরা প্রায় সকলেই বড় বড় সেনাপতি হতেন। এই জায়গীর অঞ্চলগুলি ছিল একটা রাজ্যের মধ্যে, আরেকটা রাজ্যের মত। এই জায়গিরদারেরা সম্রাটকে যুদ্ধবিগ্রহে সাহায্য করতেন। এদের বেতন নগদ টাকায় দেওয়া হত না। নির্দিষ্ট করে দেওয়া ভূসম্পত্তি থেকেই আদায় করা খাজনায় তাদের সামগ্রিক খরচ নির্বাহ হত। যদুনাথ সরকার বলছেন মুঘল সাম্রাজ্যটা দাঁড়িয়েছিল এই জায়গিরদারদের ক্ষমতার ওপরে।
এই জায়গীরদারেদের আভ্যন্তরীণ কৃষি রাজস্ব বা খরাজ আদায়ে সম্রাট খুব একটা হস্তক্ষেপ করতেন না।
২) আঞ্চলিক জমিদারদের/ভূস্বামীদের মাধ্যমে
সুলতানি থেকে মুঘল হয়ে নবাবী আমলের পাঁচশ বছরের রাজস্ব আদায়ের চক্র ছিল, সে সময়ে বিভিন্ন এলাকার অমুসলমান এলাকা প্রধানদের এক প্রকার স্বাধীনতা স্বীকার করে নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপ্রধানেরা – যেমন বিষ্ণুপুর বা দিনাজপুরের রাজারা। এর বিনিময়ে জমিদারেরা সম্রাটকে একটা বাৎসরিক কর দিতেন।
সুলতানি থেকে মুঘল হয়ে নবাবী আমলের পাঁচশ বছরের রাজস্ব আদায়ের চক্র ছিল, সে সময়ে বিভিন্ন এলাকার অমুসলমান এলাকা প্রধানদের এক প্রকার স্বাধীনতা স্বীকার করে নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপ্রধানেরা – যেমন বিষ্ণুপুর বা দিনাজপুরের রাজারা। এর বিনিময়ে জমিদারেরা সম্রাটকে একটা বাৎসরিক কর দিতেন।
আবার অনেক সময় করদ রাজ্যগুলো সম্রাটকে যুদ্ধের সময় সৈন্য এবং রসদ দিয়ে সাহায্য করতেন – যেমন রাজপুতানার রাজারা।
এই রাজ্যগুলোর অভ্যন্তরীণ কৃষিজমির বিলিবন্দোবস্ত আর খাজনা আদায় রাজা বা জমিদারেরা অতীতের সাবেকি রীতিতেই করতেন। তাদের আভ্যন্তরীণ রাজস্ব প্রশাসন নিয়ে সম্রাটেরা এক্কেবারেই মাথা ঘামাতেন না, তবে রাজস্ব দেওয়া বন্ধ হলে সম্রাটেরা জমিদারদের উৎখাত করে নতুন জমিদার বসাতেন।
৩) খালসা জমির বন্দোবস্ত
এর বাইরে যে জমি পড়ে থাকে তা হল সরকারের খাস জমি। এর নাম খালসা জমি। এই সমস্ত জমির বিলি বন্দোবস্ত, খাজনা আদায় হত রাজস্বমন্ত্রী(দেওয়ান) ও কর্মচারীদের মাধ্যমে। অনেক সময় ইজারাদারদের মাধ্যমে রাজস্ব নেওয়া হত, তাকে একটা নির্দিষ্ট জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার মাধ্যমে। ইজারাদার আদতে ব্যবসায়ী। তিনি মোটা টাকা লগ্নী করে চাষীদের থেকে রাজস্ব আদায় করে মোটা মুনাফা করার আশা রাখতেন। ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত এই ইজারাদারদের মেয়াদ ছিল এক বছর। ব্রিটিশ আমলে এই ইজারা অনির্দিষ্ট কালের জন্য করে দেওয়া হত। এটা এই সময় উত্তরাধিকার সূত্রে পরের প্রজন্মেও অর্পিত হত ইজারা।
এর বাইরে যে জমি পড়ে থাকে তা হল সরকারের খাস জমি। এর নাম খালসা জমি। এই সমস্ত জমির বিলি বন্দোবস্ত, খাজনা আদায় হত রাজস্বমন্ত্রী(দেওয়ান) ও কর্মচারীদের মাধ্যমে। অনেক সময় ইজারাদারদের মাধ্যমে রাজস্ব নেওয়া হত, তাকে একটা নির্দিষ্ট জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার মাধ্যমে। ইজারাদার আদতে ব্যবসায়ী। তিনি মোটা টাকা লগ্নী করে চাষীদের থেকে রাজস্ব আদায় করে মোটা মুনাফা করার আশা রাখতেন। ব্রিটিশ আমল পর্যন্ত এই ইজারাদারদের মেয়াদ ছিল এক বছর। ব্রিটিশ আমলে এই ইজারা অনির্দিষ্ট কালের জন্য করে দেওয়া হত। এটা এই সময় উত্তরাধিকার সূত্রে পরের প্রজন্মেও অর্পিত হত ইজারা।
৪) গ্রামের প্রধান ব্যক্তির মাধ্যমে
খালসা জমির আদায় বহু সময় গ্রামের মণ্ডলদের মাধ্যমেও নেওয়া হত। তুর্ক-আফগান সময়ে ব্যক্তি রায়তের ওপর রাজস্ব ধার্য হত না, খাজনা ধার্য হত গ্রামের মোট কৃষিজমির ওপর এবং মুকদ্দমের ওপর ভার থাকত নির্দিষ্ট পরিমান খাজনা আদায় করে সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ে জমা দেওয়া। সরকারি খাজনা আদায় না হলে দায়ি থাকত মুকদ্দম। মুকদ্দম গোটা আদায়ীকৃত খাজনার পরিমান গোটা গ্রামের প্রজাদের ওপর বেঁটে দিত।
খালসা জমির আদায় বহু সময় গ্রামের মণ্ডলদের মাধ্যমেও নেওয়া হত। তুর্ক-আফগান সময়ে ব্যক্তি রায়তের ওপর রাজস্ব ধার্য হত না, খাজনা ধার্য হত গ্রামের মোট কৃষিজমির ওপর এবং মুকদ্দমের ওপর ভার থাকত নির্দিষ্ট পরিমান খাজনা আদায় করে সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ে জমা দেওয়া। সরকারি খাজনা আদায় না হলে দায়ি থাকত মুকদ্দম। মুকদ্দম গোটা আদায়ীকৃত খাজনার পরিমান গোটা গ্রামের প্রজাদের ওপর বেঁটে দিত।
সূত্রঃ প্রাচীন জরিপের ইতিহাস
অরুণ কুমার মজুমদার
অরুণ কুমার মজুমদার
No comments:
Post a Comment