রাজেশ কোছার
তখন ১৯২২। আর মাত্র ২৫ বছর বাকি বঙ্গ আর পাঞ্জাবভঙ্গে। রমন The acoustical knowledge of the ancient Hin শীর্ষক প্রবন্ধে লিখলেন It would form a fascinating chapter of history to try and trace the gradual development of musical instruments and musical knowledge, from the rhythmic chanting of the Rigveda in the ancient home of the Aryan race to the Indian music of the present day। এটা কিন্তু তাঁর প্রবন্ধের মুল বিষয় ছিল না, একটা হাল্কা মন্তব্য শুধু। এর থেকে একটা বিষয় প্রমানিত যে আর্যতার দাবি সে যময় উচ্চবর্ণের মনের মধ্যে প্রাতিষ্ঠা পেয়ে গেঁথে বসেছে।
মহেন্দ্রলাল প্রথম স্বচ্ছল সুবিধেপ্রাপ্ত সমাজের ভারতীয় প্রতিনিধি যিনি নিজের কার্জ উদ্ধারে আর্যতত্ত্বকে ব্যবহার করলেন। তিনি ছিলেন British Association for the Advancement of Scienceএর ভারতীয় আজন্ম প্রতিনিধি, যারা এ সম্বন্ধে লিখছিল। ১৮৬৯ সালে তিনি নিজের Calcutta Journal of Medicine পত্রিকায় লিখলেন, On the desirability of a national institution for the cultivation of the Sciences by the Natives of India। এই প্রবন্ধটা পরে পুস্তিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় উদ্ধৃতি হিসেবে ব্যবহৃতও হয়েছে। এই লেখাটা যতটা বেশি প্রচার হওয়া দরকার ছিল ততটা হয় নি।
মহেন্দ্রলাল দেশিয় সমস্যার সমাধান করলেন ম্যাক্ষমূলারের পথ ধরে। তিনি লিখলেন, The Hindu mind, thanks to this religion which has been swaying it for centuries without number, and thanks no less to its other surroundings, has lost much of its original Aryan vigor and energy। তার নিদান হল, the only method... by which the people of India can be essentially improved, by which the Hindu mind can be developed to its full pro- portions is ... by the cultivation of the Physical Sciences।
তাঁর উদ্যমে মহেন্দ্রলাল ব্রিটিশ সমাজের থেকে সাহায্য প্রত্যাশা করলেন উচ্চাভিলাষী প্রয়োজনে ... thanks to the current of inherent generosity that flows through every British heart, some obstacle or other is being removed, that stood in the way of our being recognized as brethren, though now fallen and degraded’. ‘She [England] has become aware that her true glory should consist not in simply holding under subjugation the people of India, but in elevating them in the scale of nations, in taking them by the hand and reconciling them to their long-alienated brethren, her own children।
পতিত এবং আত্মসম্মান হারানো ভাইএরা সাহায্য গ্রহীতার হাত বাড়িয়ে দিল। হিন্দু কলেজ তৈরিতে তিনি বিখ্যাত ব্যক্তির হাত ছিল রামমোহন রায়, অসরকারি ইওরোপিয় ডেভিড হিউম এবং উচ্চাধিকারী ব্রিটিশ আমলাকলকাতার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এডওয়ার্ড হাইড। একইভাবে গড়ে উঠেছিল কাল্টিভেশন অব সায়েন্স বেলজিয়ান জেসুইট পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ইউজিন লাফোঁ, বাংলার লেফতানেন্ট গভর্নর রিচার্ড টেম্পল। অবস্থান, সময় সব কিছুর পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। সে সময় প্রধান বিচারপতি মূল উদ্যোক্তা ছিলেন, আজ বাংলার প্রশাসক জনগণের চাপে নিমরাজি হয়ে বাধ্য হয়েছেন সমিতিতে থাকতে।
১৮৭৫ সালে টেম্পল মহেন্দ্রলালকে লিখলেন একটি পলিটেকনিক (আজকের দিনের ভাষায়) তৈরি করার উদ্যোগ নিতে - But science also may be made to add immeasureably to the national wealth and so’ to afford lucrative employment to numberless persons according to their qualifications and acquirements। এরসঙ্গে তিনি জুড়ে দিলেন কোন কোন পেশা এই শিক্ষা ব্যবস্থায় ঢুকতে পারে তারমধ্যে ছিল ভূমি আর ভূতত্ত্ব সমীক্ষা, অসামরিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্স, বনবিদ্যা, কাঠ আর পাথর শিল্পী। তিনি আরও লিখলেন, Moreover, by these means not only will many new industries be introduced into Bengal, but almost every one of the old established art, and manufacturers of the country may be rendered more useful and remunerative than at present।
আজ ১৮৭৫ সালের এই তত্বকে বলতে পারি গ্রাম বাংলার প্রযুক্তিকে ধ্বংস করে লুঠেরা আধুনিক বিদ্যুৎ নির্ভর প্রযুক্তির দিকে যাত্রার প্রথম তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক নির্দেশাবলী। বাংলার লেফটানেন্ট গভর্নর ভারতের ভাইসরয়কে একটি চিঠ লিখে জানালেন ভারতজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে কেননা, partly from our higher education being too much in the direction of law, public administration, and prose literature But we shall do more and more to direct their thoughts towards practical science, where they must inevitably feel their utter inferiority to us।
আমাদের ধারণা টেম্পল ভারতের বিপুল কারিগরদের কথা এখানে উল্লেখ করতে চেয়েছেন যাদের ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ইওরোপে শিল্পায়নের জন্য ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছিল। তারা এই প্রস্তাবে কানই দিল না – স্রেফ উপেক্ষাই করল।
উল্টোদিকে বিপুল আলালের দল, যারা পলাশীর পরের লুঠের অংশিদার ছিল, যে অংশিদারিতে পরের দিকে ব্রাহ্মণেরাও ঢুকে গোটা ব্যবস্থাটা দখল করে নেবে, তারা শঙ্কিত হয়ে পড়ল, সাম্রাজ্যের ক্ষমতার অংশ আবার তাদের হয়ত ভাগ করে নিতে হবে।
রাজেশ কোছারের Science and domination: India before and after independence প্রবন্ধ থেকে
No comments:
Post a Comment