আজ ভীষণ অশ্লীল প্রথম প্রজন্ম শিক্ষিত কথাটা লিখলেন এক প্রগতিশীল বামপন্থী। তিনি আরও বললেন তারা প্রথম প্রজন্মের শিক্ষিত তাই তারা প্রগতিশীল নয়! গতকালও দেখেছিলাম অশিক্ষিতরা তিনুদের মিটংএ গ্যাছে আর বাকি শিক্ষিতরা বাড়িতে, ধরণের উপহাস। এই ঔপনিবেশিক মেকলিয় ভদ্রলোককেন্দ্রিক শিক্ষা পাওয়ার ঢক্কা নিনাদিয় লব্জটা, বাংলার বামপন্থীরা অক্লেশে বুক ফুলিয়ে আজও বলে চলেছেন। আজও মেধার মত একটি আদ্যন্ত ঔপনিবেশিক ধারণা ভদ্রবিত্ত সমাজে অবিকৃতভাবে চালু - যাদবপুরে বা ডাক্তারি পড়ে নাকি সত্যকারের মেধাবীরা। কারোর যদি সোজাসাপটা মনে হয় বাংলার বামপন্থা সমান ঔপনিবেশিকতা তাহলে কি খুব ভুল হবে?
যে পড়াশোনা না জানা মানুষটা পরম মমতায় মাঠে নেমে জীবন ফলান আর আমাদের দয়া করে দুমুঠো খেতে দেন আর নিজে দেনার দায়ে আত্মহত্যা করেন, যে অক্ষর না জানা কারিগর তাঁত বোনেন আর আমি তার দয়ায় কাপড় পরি আর সে প্রায় খেতে নাপেয়ে রোজ শীর্ণ হয় তারা তো কোন প্রজন্মেরই শিক্ষিত নয়। পাতে দেওয়ারই নয়। শিক্ষিত তো শ্যামাপ্রসাদ লালকৃষ্ণ আর পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক মুরলিমনোহর। তারা দাঙ্গা লাগায়। বাংলায় শিক্ষিত ভদ্রলোক সিপিএম ছোটলোকেদের গণহত্যা চালায়। হ্যারোর শিক্ষিত নেহেরুর আর মহলানবীশের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় ছোটলোকদের উচ্ছেদ করে শিল্পবিপ্লবের অনুসরণে ধরে এনে কারখানায় পোরা।
অশিক্ষিত=অপ্রগতিশীল এই তত্ত্বের জনক বাম-ডান-মধ্য অভিজাতময় শিক্ষিতমন্য উভয় রেলিজিয়ানের ভদ্রবিত্তদের আমরা স্রেফ ঘেন্না করি।
স্রেফ ঘেন্না।
স্রেফ ঘেন্না।
No comments:
Post a Comment