জোনসের কাজের প্রভাব
হেস্টিংস যে কাজের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং জোনস তাঁর ethno-legal syncretism তত্ত্বে হেসটিংসএর কাজটি এগিয়ে যাওয়াকে যদি আমরা ভারতে কোম্পানির প্রশাসনিক ব্যবস্থার দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখার চেষ্টা করি, তাহলে একটা ইন্টারেস্টিং গল্প উঠে আসে। এই সময়কে দেখার চেষ্টা হয়েছে সাধারণভাবে, discourse [Orientalism] . . . [which] had the effect of converting Indian forms of knowledge into European objects। কিন্তু এই বিষয়টা এতটা সহজ নয় বলেই আমাদের বিশ্বাস, এবং সে আলোচনা এই অধ্যায়ে বিস্তৃতির সুযোগ নেই; তবুও এই অধ্যায়ে আমরা কিছুটা ব্যাপারটাকে ধরার চেষ্টা করতে পারি। সেই পথে এগোতে আমরা প্রাথমিকভাবে জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননের বিবাদভঙ্গারর্ণবকে অবলম্বন করব।
কাজটা এই সহযোগিতার পরিবেশে নতুন ভাবে গড়ে উঠছিল, যেখানে দুটি আলাদা আলাদা কৃষ্টির বিচার বিভাগীয় বিশেষজ্ঞ একসঙ্গে মিলে একটি নতুন বিষয় গড়ে তুলছেন, যা সেই সময়ের হিন্দু আইন শাস্ত্রর গড়নের আওতায় ছিল না। Derrett বিবাদভঙ্গারর্ণব বিষয়ে প্রথম মন্তব্য করেন, Jagannatha has some peculiar views, and harbours peculiar opinions for which no parallel can be found. His attitude to custom and usage is odd: it may be submitted that he accepts judicial practice as law, almost communis error facit ius. From where could such a notion have come? Obviously some English lawyer has been consulting with him, putting questions to him, guiding him as to where Hindu learning must somehow be forthcoming. Similarly his comments on a wide range of topics reveal intercourse with a western mind . . . He reveals his being influenced, in his discussions of assignment of debts, the status of ‘kings’, fraudulent litigation, fraudulent practices, the court’s power to appoint guardians, land-revenue settlements, attachments of
land and chattels and execution-sales in satisfaction of a decree for debt, ‘marksmen’, fraud and remedies therefor, fraudulent and mistaken transfers contrasted, also bona vacantia and voidable titles, illegal contracts and restitution, also the procedure to discover frauds in partition-accounts. He may
have heard of testaments, a possible rationalization of which seems to occur। এই কাজটির দোআঁশলা গড়ন, পণ্ডিতের কর্মসাথী, বন্ধু, ছাত্র এবং জনগণের চোখে সঙ্কলকের বিপুল সম্মান ইত্যাদির জন্য এটি আদালতের পণ্ডিত এবং ব্রিটিশ বিচারক সক্কলে এটি নির্বিচারে গ্রহণ করেন। এটি কিন্তু আইনি সর্বরোহরবটিকা ছিল না। একটা বিষয় পরিষ্কার লেখক এবং তার আলোচনা-বিতর্ক সভা যেহেতু বাঙালি, এই কাজে ন্যায়ের মিমাংসা দর্শনের বিপুল প্রভাব রয়েছে, যা হয়ত উপমহাদেশে অন্য এলাকায় অচল। এছাড়াও এই নব্যভাবে সঙ্কলিত শাস্ত্র অন্যান্য স্থির আইনি পাঠ্যর মত পরিবর্তিত সমাজের প্রত্যেক চাহিদার ওঠা প্রশ্নের সব উত্তর দিতে পারে না। এটাও সেই পর্যায়ে পড়ল। ফলে যে সব নতুন প্রশ্ন উঠছিল, তার মিমাংসার জন্যে জগন্নাথের সঙ্কলনকে মডেল ধরে বিভিন্ন ব্রিটিশ প্রশাসিত আদালতের পণ্ডিতকে নিয়ে আলাদা সংযোজনের ব্যবস্থা করা হল।
এই নতুন সঙ্কলন বেনারসে ১৭৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃত কলেজের পাঠ্য হিসেবে গৃহীত হল যেখানে নতুন ধরণের নতুন সময়ের প্রমিত পণ্ডিত তৈরির ব্যবস্থা হবে, to assist the European judges in the due, regular, and uniform administration of [the] genuine letter and spirit [of Hindu law] to the body of the people, ১৮০৫এর পরে জজপণ্ডিতেরা। জোনসের মানবধর্মশাস্ত্রের অনুবাদ কোম্পানির ভবিষ্যতের চাকরদের প্রমিতিকরণের জন্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে এবং ১৮০৬এর পর থেকে হেলিবেরিতে পড়ানো হতে থাকে। কোম্পানির আশা ছিল, এই পাঠে তার আমলারা হিন্দু mythography জানবে, যাতে তারা পণ্ডিতদের জটিল সুপারিশ সম্বন্ধে স্বচ্ছ জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
দুইপক্ষের মধ্যে বিশ্বাসেরে অভাবটি সমাধানের চেষ্টা করা গেল নতুন প্রজন্মের আমলাদের কেন্দ্রিয়ভাবে প্রমিত দৃষ্টিভঙ্গীতে তৈরি করে তাদের হাতে একই ধরণের আইনি শাস্ত্র এবং mythography ধরিয়ে দেওয়া। একই ধরণের কথা বলা যায় ইসলামি আইন শাস্ত্র নিয়ে জোনসের উদ্যমের ফলে, ব্রিটিশেরা এই শাস্ত্র কলকাতা মাদ্রাসায় মৌলভিদের পড়ানো শুরু করল। নতুন ধরণের জ্ঞানের উৎপাদন, বিস্তার এবং ব্যবস্থাপনার জন্যে প্রয়োজন ছিল কেন্দ্রিভূত প্রশাসনিক ব্যবস্থার পরিকাঠামো বিকাশে, যার মুল হবে দলগত কার্যভার এবং স্তরীভূত প্রশাসনিক কাঠামোয় নিজেদের সঁপে দেওয়া, কর্তৃত্বকে মান্য করা এবং এই নিয়ন্ত্রণকে ব্যবস্থাপনা করার মত যোগ্যতা, দোআঁশলা শিষ্টাচারের বিকাশ এবং এই পদ্ধতিতে বিশ্বাসের সমস্যার সমাধান। এই নতুন পরিকাঠামোর সঙ্গে জুড়ে থাকা পদ্ধতিনিচয় আর সঙ্গঠনগুলি, সরকারি ব্যবস্থাযন্ত্রে ভারতীয় এবং ব্রিটিশ আমলাদের বিশ্বাসী যন্ত্ররূপে সাধারণরূপে অংশিদারিত্বের অভ্যেসে ভাসিয়ে দিয়ে তাদের পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা, আনুগত্য এবং থাকবন্দীর আশ্বাসে চলতে থাকল।
কাজটা এই সহযোগিতার পরিবেশে নতুন ভাবে গড়ে উঠছিল, যেখানে দুটি আলাদা আলাদা কৃষ্টির বিচার বিভাগীয় বিশেষজ্ঞ একসঙ্গে মিলে একটি নতুন বিষয় গড়ে তুলছেন, যা সেই সময়ের হিন্দু আইন শাস্ত্রর গড়নের আওতায় ছিল না। Derrett বিবাদভঙ্গারর্ণব বিষয়ে প্রথম মন্তব্য করেন, Jagannatha has some peculiar views, and harbours peculiar opinions for which no parallel can be found. His attitude to custom and usage is odd: it may be submitted that he accepts judicial practice as law, almost communis error facit ius. From where could such a notion have come? Obviously some English lawyer has been consulting with him, putting questions to him, guiding him as to where Hindu learning must somehow be forthcoming. Similarly his comments on a wide range of topics reveal intercourse with a western mind . . . He reveals his being influenced, in his discussions of assignment of debts, the status of ‘kings’, fraudulent litigation, fraudulent practices, the court’s power to appoint guardians, land-revenue settlements, attachments of
land and chattels and execution-sales in satisfaction of a decree for debt, ‘marksmen’, fraud and remedies therefor, fraudulent and mistaken transfers contrasted, also bona vacantia and voidable titles, illegal contracts and restitution, also the procedure to discover frauds in partition-accounts. He may
have heard of testaments, a possible rationalization of which seems to occur। এই কাজটির দোআঁশলা গড়ন, পণ্ডিতের কর্মসাথী, বন্ধু, ছাত্র এবং জনগণের চোখে সঙ্কলকের বিপুল সম্মান ইত্যাদির জন্য এটি আদালতের পণ্ডিত এবং ব্রিটিশ বিচারক সক্কলে এটি নির্বিচারে গ্রহণ করেন। এটি কিন্তু আইনি সর্বরোহরবটিকা ছিল না। একটা বিষয় পরিষ্কার লেখক এবং তার আলোচনা-বিতর্ক সভা যেহেতু বাঙালি, এই কাজে ন্যায়ের মিমাংসা দর্শনের বিপুল প্রভাব রয়েছে, যা হয়ত উপমহাদেশে অন্য এলাকায় অচল। এছাড়াও এই নব্যভাবে সঙ্কলিত শাস্ত্র অন্যান্য স্থির আইনি পাঠ্যর মত পরিবর্তিত সমাজের প্রত্যেক চাহিদার ওঠা প্রশ্নের সব উত্তর দিতে পারে না। এটাও সেই পর্যায়ে পড়ল। ফলে যে সব নতুন প্রশ্ন উঠছিল, তার মিমাংসার জন্যে জগন্নাথের সঙ্কলনকে মডেল ধরে বিভিন্ন ব্রিটিশ প্রশাসিত আদালতের পণ্ডিতকে নিয়ে আলাদা সংযোজনের ব্যবস্থা করা হল।
এই নতুন সঙ্কলন বেনারসে ১৭৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃত কলেজের পাঠ্য হিসেবে গৃহীত হল যেখানে নতুন ধরণের নতুন সময়ের প্রমিত পণ্ডিত তৈরির ব্যবস্থা হবে, to assist the European judges in the due, regular, and uniform administration of [the] genuine letter and spirit [of Hindu law] to the body of the people, ১৮০৫এর পরে জজপণ্ডিতেরা। জোনসের মানবধর্মশাস্ত্রের অনুবাদ কোম্পানির ভবিষ্যতের চাকরদের প্রমিতিকরণের জন্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে এবং ১৮০৬এর পর থেকে হেলিবেরিতে পড়ানো হতে থাকে। কোম্পানির আশা ছিল, এই পাঠে তার আমলারা হিন্দু mythography জানবে, যাতে তারা পণ্ডিতদের জটিল সুপারিশ সম্বন্ধে স্বচ্ছ জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
দুইপক্ষের মধ্যে বিশ্বাসেরে অভাবটি সমাধানের চেষ্টা করা গেল নতুন প্রজন্মের আমলাদের কেন্দ্রিয়ভাবে প্রমিত দৃষ্টিভঙ্গীতে তৈরি করে তাদের হাতে একই ধরণের আইনি শাস্ত্র এবং mythography ধরিয়ে দেওয়া। একই ধরণের কথা বলা যায় ইসলামি আইন শাস্ত্র নিয়ে জোনসের উদ্যমের ফলে, ব্রিটিশেরা এই শাস্ত্র কলকাতা মাদ্রাসায় মৌলভিদের পড়ানো শুরু করল। নতুন ধরণের জ্ঞানের উৎপাদন, বিস্তার এবং ব্যবস্থাপনার জন্যে প্রয়োজন ছিল কেন্দ্রিভূত প্রশাসনিক ব্যবস্থার পরিকাঠামো বিকাশে, যার মুল হবে দলগত কার্যভার এবং স্তরীভূত প্রশাসনিক কাঠামোয় নিজেদের সঁপে দেওয়া, কর্তৃত্বকে মান্য করা এবং এই নিয়ন্ত্রণকে ব্যবস্থাপনা করার মত যোগ্যতা, দোআঁশলা শিষ্টাচারের বিকাশ এবং এই পদ্ধতিতে বিশ্বাসের সমস্যার সমাধান। এই নতুন পরিকাঠামোর সঙ্গে জুড়ে থাকা পদ্ধতিনিচয় আর সঙ্গঠনগুলি, সরকারি ব্যবস্থাযন্ত্রে ভারতীয় এবং ব্রিটিশ আমলাদের বিশ্বাসী যন্ত্ররূপে সাধারণরূপে অংশিদারিত্বের অভ্যেসে ভাসিয়ে দিয়ে তাদের পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা, আনুগত্য এবং থাকবন্দীর আশ্বাসে চলতে থাকল।
কপিল রাজের রিলোকেটিং মডার্ন সায়েন্স থেকে, ১৩৬ পাতা
সঙ্গের ছবিটি হ্যালিবেরির আমলা তৈরির কলেজের
No comments:
Post a Comment