রাজেশ কোছার
ইন্ডিয়ান এসসিয়েশন ফর কালটিভেশন অব সায়েন্সএর পক্ষে সঙ্গঠনের ইতিহাস চর্চায় বলা হয় যে প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরের মধ্যেই চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন নোবেল পুরষ্কারের পরীক্ষা এখান থেকেই করেন। এখানে সঙ্গঠনের প্রতিষ্ঠার পিছনের দর্শনটি নিয়ে আলোচনা করলে বোঝা যাবে কোন উদ্দেশ্যে এই সঙ্গঠনটির প্রতিষ্ঠা।
মোক্ষমূলর এবং অন্যান্যদের তাত্ত্বিকতায় প্রতিষ্ঠিত আর্য তত্ত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে চর্চিত হতে থাকে সাম্রাজ্যের সঙ্গে ভারতীয়দের সম্পর্ক নিরুপণের উদ্দেশ্যে। ১৮৭৭ সালে ব্রাহ্ম নেতা ব্রহ্মানন্দ কেশব চন্দ্র সেন প্রকাশ্য সমাবেশ সরাসরি ভারতীয়দের প্রতি ডাক দিয়ে রানী ভিক্টোরিয়ার প্রতি অনুগত হতে আহ্বান জানালেন। তিনি শিক্ষিত ভারতীয়দের মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, যখন তোমার দেশ অজ্ঞানতা আর কুসংস্কারের আশাহীন ঊষর প্রান্তের অন্ধকারে ডুবেছিল, তখন তোমাদের সেই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে বর্তমানের উচ্চঅবস্থায় নিয়ে গিয়ে ভগবানের দূত হিসেবে ব্রিটিশেরা ভারতকে ত্রাণ করেছে(British government that came to your rescue, as God’s ambassador, when your country was sunk in ignorance and superstition and hopeless jejuneness, and has since lifted you to your present high position)। তিনি বলেন, India in her present fallen condition seems destined to sit at the feet of England for many long years to learn Western art and science ... Thus while we learn modern science from England, England learns ancient wisdom from India। তিনি বললেন ব্রিটিশকে তোমরা বিদেশি কেন বলছ? আমি তো মনে করি এরা প্রাচীনকালে ভারত থেকে চলে যাওয়া আর্য জাতি, আমাদের ছেড়ে যাওয়া ভাই বোন - Gentlemen, in the advent of the English nation in India we see a re-union of parted cousins, the descendents of two different families of the ancient Aryan race।
অন্য দিকে ১৮৯৪ সালে মোহনদাস কর্মচাঁদ গান্ধী নতুন প্রতিষ্ঠিত ন্যাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেসের সম্পাদক হয়ে, দেশের সংসদ সদস্যদের খোলা চিঠি লিখে বললেন, whether you be a clergyman, editor, public man, merchant or lawyer,’ with a view to removing ‘the prevalent ignorance about the Indians in the Colony’, in the belief that ‘one half, or even threefourths, of the hardships entailed upon the Indians in South Africa result from want of information about India।
ইওরোপিয়দের চিঠি লিখে গান্ধীজী প্রশ্ন তুললেন What are they [the Indians]?। তিনি বললেন আজকের সব থেকে গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্নটি নিয়ে আপনারা নিজেরা ভাবনাচিন্তা করুণ। তিনি ভারতীয় এবং ব্রিটিশদের একই জনু থেকে উতপত্তির ইন্দো-আর্য তত্ত্বের পক্ষে দাঁড়িয়ে লিখলেন, I venture to point out that both the English and the Indians spring from a common stock, called the Indo-Aryan। তিনি তাঁর তত্ত্বের সমর্থনে হান্তারকে উদ্ধৃত করলেন, the learned author of the Indian Empire’: ‘This nobler race (meaning the early Aryans) belonged to the Aryan or Indo-Germanic stock, from which the Brahman, the Rajput, and the Englishman alike descended ... when we first catch a sight of ancient England, we see an Aryan settlement, fishing in wattle canoes and working the mines of Cornwall।
গান্ধীজী তখন দিলেন, copious extracts, which will show at once that the Indians were, and are, in no way inferior to their Anglo-Saxon brethren। এই লেখাটির তথ্য তুলেছেন ম্যাক্ষমুলার সহ Max Muller, ‘the German philosopher Schopenhauer’, H. S. Maine, Andrew Carnegie, Pincott, Goethe, Bishop Heber, Thomas Munro, George Birdwood, C. Trevelyan, and Victor Hugo মত ইওরোপিয় লেখকদের লেখা থেকে। তিনি শেষ করছেন, স্বসন্তুষ্ট হয়ে; গান্ধী সব মতবাদ হনন করার দিকে গিয়ে বললেন, The Institutes of Manu have always been noted for their justice and precision এবং এইচ এস মাইনকে উদ্ধৃত করে বললেন, an ideal picture of that which, in the view of the Brahmins, ought to be the law। এই somewhat overdrawn or fanciful ... but nonetheless faithful দৃষ্টিভঙ্গীসহ গান্ধীর আশা, to induce you [the Europeans] to believe that India is not Africa, and that it is a civilized country in the truest sense of the term civilization।
এই চিঠিটি লেখেন তাঁকে প্রথম শ্রেণী থেকে লাথিয়ে নামিয়ে দেওয়ার এক বছর পরে। আদতে গান্ধী ছিলেন ঔপনিবেশিক ইতিহাসচর্চার অন্যতম প্রতিভূ। তিনি মোহনদাস গান্ধী থেকে মহাত্মা গান্ধীতে রূপান্তরিত হলেন সেই দিন, যেদিন তিনি ইন্দো-ইওরোপিয় তত্ত্ব ঝেড়ে ফেলে মনে করলেন ভারতের সমস্যার সমাধান আধুনিক ইওরোপ আর ইওরোপিয়দের দেওয়া সমস্যার সমাধানে নেই বরং আত্মশক্তির উদ্বোধনে রয়েছে।
রাজেশ কোছারের Science and domination: India before and after independence প্রবন্ধ থেকে
No comments:
Post a Comment