...রামকৃষ্ণ একবার মজার একটা কথা বলেছিলেন, নৌকা জলে থাকে, কিন্তু নৌকায় জল থাকে না। থাকলে ঘ্যাচাং ফুঁ, নৌকা ডুবে যাবে জলে।
আমাদের আর এস এস বিরোধিতা এখন এই জায়গায় চলে গেছে, ধর্মনিরপেক্ষতার নৌকায় জল উঠে যাচ্ছে। কলকাতায় বসে শুধু সেক্ষপিয়রের নাটক হচ্ছে, যেন আমাদের অতীত বা বর্তমান বলে কিছু নেই, মেকলের অদর্শ সন্তানের মতই , আমরা ভূতের পিছনে হাঁটছি।
ফলে স্বদেশ বলতে জায়গা করে নিচ্ছে আরএসএসের ভাবাদর্শ। আথচ মৃচ্ছকটি থেকে মুদ্রারাক্ষস হয়ে মেঘদূত, উপমহাদেশিয় নাটকের কনটেন্ট এর সঙ্গে আর এসএসএর দর্শন কোনও ভাবেই যায় না।
শুদ্রকের মৃচ্ছকটিতে নাটক শেষ হচ্ছে সেই আশ্চর্য অন্তর্মূখী এক বৃষ্টি দিয়ে, যেখানে নায়িকা ভিজতে ভিজতে , রাজার দেওয়া সব গয়না খুলে ফেলছে। রাজনর্তকী নয়, সে এবার তাঁর প্রেমিকের সাথে থাকতে চাইছে, এই যে রিজেকশানের শক্তি। মানুষের এই চৈতন্যময়তাই তো ফ্যাসিবাদের মৃত্যুবাণ।
কিন্তু শুধুই ইউরোপ কেন্দ্রিক নাটক,ওপর ওপর , যে ভাবে হেলিকেপ্টার থেকে দেখা হয় , সেই দৃষ্টি নিয়ে সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম নিয়ে বানানো সিনেমা। যে দেশে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের মত লোক বলেছেন, শিশু শিক্ষা এ দেশে এক ভয়ের নাম, সেখানে পাশ-ফেল ফেরানোর জন্য বামেদের একটি অংশের সংগ্রাম।যেন শিক্ষার উৎকর্ষ শুধু রেজাল্ট নির্ভর!
এই স্পেসই মননের ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়, ফ্যাসিস্তদের আগমনের পথ পরিষ্কার হয়। এই কালচারাল রাজনীতির পূর্ণ উন্মোচোন না করে, শুধু যদি হিন্দু-বাম, বাম বলে চেঁচানো হয়। তাতে হিন্দুত্বের লাভ ১৬ আনা, কেননা ভগৎ সিং থেকে চারবাক সবাইকেই আরএসএস নিজের আইকন বানিয়েছে।
সুতরাং এই মুখে মার্কস মনে মনু, বা চরম দুর্নীতি গ্রস্থদের শিল্প অবিষ্কার , এই সংস্কৃতির উন্মোচন খুব জরুরি।
No comments:
Post a Comment