আমাদের শিক্ষক, খেঁটো ধুতি লুঙ্গি বা নিচে ওপরে দুফালি সাধারণ আবরণী পরা গাঁইয়া পুরুষ-নারীরা। এরাই বিশ্বকে বয়ে নিয়ে চলেন তাঁদের প্রজ্ঞায়, দক্ষতায় জ্ঞানে আর বুদ্ধির জোরে। তারা চুপ থাকেন তাদের দর্শন কপচানোয়। আমরা যেহেতু ভদ্র পরিবার-সমাজ থেকে তাঁদের সঙ্গ করতে যাওয়া, তাই ফাঁকা কলসির ঢপ ঢপ আওয়াজ দিয়ে যাই।
তথাকথিত আন্দোলন, বিপ্লবে, মিছিলে গাঁইয়ারা সুন্দরভাষী, ক্ষমতার দালালদের হাতে দাবার বোড়েমাত্র।গাঁইয়ারা এটা জানেন এবং শহুরেদের কিছুটা প্রশ্রয়ও দেন। তারা তাঁদের জোর জানেন - আর জানেন বিপক্ষের ভদ্রবিত্ত সমাজের সার্বিক দুর্বলতা। শহুরে সাজানো-গোজানো তত্ত্বগুলি বুদবুদের মত ফাঁকা, কয়েক দশকের কারবারী। টিকে থাকে বিকেন্দ্রিত, নিয়ন্ত্রণবিহীন, ভদ্রবিমুখ, নিজের বাজারকৃষ্টি ভিত্তিক, পরিবেশ রক্ষক, গ্রামীন উতপাদক সমাজ - যাকে সহজে দেখা যায় না, বোঝা যায় না, অনুভব করা যায় না - এতই পরিব্যপ্ত সে।
ভদ্র পরিচালিত কর্পোরেট বা শহুরে সমাজ-আর্থিক-কৃষ্টিগত কেন্দ্রিভূত ক্ষমতা নির্ভর সমাজ চলে যে সব বিভিন্ন মনোহারিনী তত্ত্বের আড়ালে সেগুলি গ্রাম প্রজ্ঞা, দক্ষতার কবরস্থল - কর্পোরেটদের হাতের পুতুল। বিপ্লব নামটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভদ্র পোষার আর তাদের তৈরি নানান তত্ত্ব প্রয়োগের কাণ্ড।
এগুলি গ্রামীনেরা জানেন।
ভদ্র পরিচালিত কর্পোরেট বা শহুরে সমাজ-আর্থিক-কৃষ্টিগত কেন্দ্রিভূত ক্ষমতা নির্ভর সমাজ চলে যে সব বিভিন্ন মনোহারিনী তত্ত্বের আড়ালে সেগুলি গ্রাম প্রজ্ঞা, দক্ষতার কবরস্থল - কর্পোরেটদের হাতের পুতুল। বিপ্লব নামটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভদ্র পোষার আর তাদের তৈরি নানান তত্ত্ব প্রয়োগের কাণ্ড।
এগুলি গ্রামীনেরা জানেন।
তাঁরা জানেন বাচ্চারা বাবা-মাদের তাদের অপুষ্ট হাতে খুব দুষ্টু-মিষ্টি ঘুঁষি-চড়-থাপ্পড় মারে আর তাদের মা-বাবারা তা হাসি মুখে সহ্যও করেন।
No comments:
Post a Comment