বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় যে কেন্দ্রিভূত কাঠামোয় চলে সেখানে শহুরে আনন্দবাজারী ইংরেজি শিক্ষিত ঔপনিবেশিক ইওরোপমন্য উচ্চবর্নিক ভদ্রছানার বাইরে গাঁইয়াদের প্রবেশ দুস্কর, যে জন্যে ২৫ লক্ষ প্রাথমিকে ভর্তি হলেও মাত্র ৮০ হাজার স্নাতক পরীক্ষায় বসে, স্নাতকোত্তরে কত বসে সে হিসেব কষা হয় নি। বাকি সব স্তরে স্তরে বিপুলাকারে খসে যায়। কেন? নিজেকে প্রশ্ন করুন যারা পেরেছেন আর যারা পারেন নি তারাও - আমি প্রতিদিন নিজেকে প্রশ্ন করি আর শিখি হকার আর কারিগরদের জ্ঞান, জীবন আর কর্ম দক্ষতা থেকে। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা ব্যবস্থায় ছাত্রদের ঔপনিবেশিক পাঠের ছাঁকনিতে ছেঁটে ফেলে যে আনন্দবাজারী ইংরেজি শিক্ষিত ঔপনিবেশিক ইওরোপমন্য উচ্চবর্নিক মাঠাদের পাওয়া যাচ্ছে তারাই কি মেধাবী?
উদ্দীপন চাইছেন/ভাবছেন এই ছেঁটে যাওয়া গাঁইয়াদের একাংশ কারিগরদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে।এটা করতে গেলে শুধু ঔপনিবেশিক পড়াশোনার কাঠামোর তাত্ত্বিক অবস্থান বিরোধিতা করলে হবে না অথবা পাঠ্যক্রমও বদল করলে হবে না, গোটা পাঠ ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রবিরোধিতা জরুরি। বিদ্যালয়কে মানসিকভাবে সমস্ত গুমোর ছেঁটে ফেলে যেতে হবে পড়ুয়ার কাছে তবেই সে পড়তে পারবে - ছাত্রদের চারদিকের চারটে দেওয়াল তুলে দিতে হবে। গাঁইয়া কারিগর পরীক্ষা দেয় রোজ, তার ক্রেতার কাছে, সমাজের কাছে। সে পাঠ নেয় সমাজ, পরিবার গুরুর কাছে, তার মত করে। তাকে সিলেবাস গিলিয়ে দেওয়া হয় না। এই যে ঔপনিবেশিক কেন্দ্রিভূত পাঠ ব্যবস্থা তার জীবনের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখে না। পাঠটা তৈরি হয়েছে কর্পোরেট বা রাষ্ট্রের কেন্দ্রবদ্ধতা মেনে নিয়ে চাকরি দালালি করার জন্যে, সামাজিকভাবে উদ্যমী হতে তাকে পড়াশোনা উতসাহ দেয় না।
এগুলি না হলে কোন গাঁইয়ার প্রাতিষ্ঠনিক পড়াশোনা ব্যবস্থা ব্যর্থ হবে।
সে তার মত করে টিকে থাকবে গাঁইয়া অপ্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান দক্ষতা চর্চা নিয়ে। আর শহুরেরদের জন্যে থাকবে বর্তমান ইওরোপিয় ব্যবস্থা।
No comments:
Post a Comment