দেখুন কিভাবে আফ্রিকায়, (এবং এশিয়ায় এই উপমহাদেশে আজও) বিশ্বের সেরা লোহা মাত্র কয়েকঘন্টার হাতে তৈরি চুল্লিতে তৈরি হয়। এই প্রযুক্তি বিশ্বের যে কোন প্রান্তে লোহা চুর থাকলেই চালানো যায়। তার জন্যে যায়গা দখল করতে হয় না, বিপুল বিনিয়োগ করতে হয় না, প্রকৃতি ধ্বংস করতে হয় না, মানুষ উচ্ছেদ করতে হয় না, মানুষের সম্পদ লোহাচুর রাষ্ট্রের সেনার মদতে দখল করতে হয় না।
উপমহাদেশে এই ছাগল চামড়ার হাপর হাতে নয় সাধারণত পায়ে চালানো হয়, ঢেকি পাড়ার মত করে। এই পদ্ধতিতে তৈরি হয় বিশ্বের সেরা লোহা। এলুইন থেকে ধরমপাল থেকে আইআইটি থেকে টাটা থেকে জাপানিরা কে না উপমহাদেশের ধাতুবিদ্যা কারিগরি নিয়ে প্রকাশিত-অপ্রকাশিত নথিকরণ করেন নি।
ধরমপাল বলছেন উপমহাদেশে ১৯১০-১৫ সাল পর্যন্ত এই রকম ১৫-২০ হাজার পরিযায়ী চুল্লি ছিল। বহু লোহাকম সম্প্রদায় পরিযায়ী ছিলেন। হীতেশ সান্ন্যাল বলছেন এক সময়ে বীরভূমের ডেউচ্যা এলাকায় লোহা গলিয়ে গ্রামের বাইরে কর্মকার রেখে তাদের দিয়ে তৈজস বানাতেন সাঁওতাল সমাজ।
কর্পোরেটরা ক্রুসিবল ইস্পাত বানানোর প্রযুক্তি চুরি করার চেষ্টা করেছিল। উতপাদনের প্রকৃতির কারনেই পারে নি। আগে উল্লিখিত ২০ হাজার চুল্লির ৩৬-৪৪ সপ্তা কার্যকর থাকত, এগুলোর প্রত্যেকটির বাতসরিক গড় উতপাদন ক্ষমতা ছিল ২০ টন। এই চুল্লি বর্ষার আগে ভেঙ্গে দেওয়া হত, আর আবার বর্ষার পরে আবার তৈরি করে নেওয়া যেত।
আজও কর্পোরেট এই গুণমানের জংবিহীন ইস্পাত তৈরি করতে পারে নি। এখনো পুরোনো পরিবারগুলির পুজোর ঘরের কয়েকশ বছরের পুরোনো নানান জিনিস, রাস্তায় খোলা আকাশের তলায় পড়ে থাকা কয়েকশ কামান, ইওরোপের জাদুঘরগুলিতে রাখা কিছু দামাস্কাস তরোয়াল, দক্ষিণী, মধ্যভারতীয়, পূর্বভারতীয় এবং উত্তরপূর্বের গারোপাহাড় অঞ্চলের লোহাকম কারিগরদের বিপুল দক্ষতার নিদর্শন পেশ করছে।
মুল পোস্টে Blunt Kommunity লিখেছিলেন
The making of an iron tool in West Africa, from building the kiln, smelting and forging the iron into tool to celebrating the successful project.
The making of an iron tool in West Africa, from building the kiln, smelting and forging the iron into tool to celebrating the successful project.
Soumen Nathদাদা সূত্রে ভিডিওটা জানা গেল
https://www.facebook.com/biswendu.nanda/videos/10216319223244088/
No comments:
Post a Comment