কেন্দ্রিভূত আভিজাত্যময় বড় প্রাক্তন ঔপনিবেশিক শহর নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমি ঔপনিবেশিকতার গত আড়াইশ বছরের শেকড় আমাদের সক্কলের মনে কোন গভীরে পৌঁছেছে, কেন্দ্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য তথ্য বিষ্ফোরণের পরিবেশে, পশ্চিমি নির্বাচনী (লুঠ, খুন অত্যাচারের) গণতন্ত্রের ঔপনিবেশিক কাঠামোয়, নিদারুণ শ্বাসরুদ্ধকর ঔপনিবেশিক পড়াশোনার মধ্যেও এক সমাজকে অন্যভাবে দেখতে চাওয়া যুবা অধ্যাপককে, তাঁর শহুরে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের বন্ধুদের প্রতি ডাক দিতে হচ্ছে কিছুটা হলেও বিকেন্দ্রিকতার পাশে দাঁড়াতে, কলকাতার জ্ঞানচর্চার বাইরে দৃষ্টি ছড়াতে। সেই সব জ্ঞানচর্চা কেন্দ্রগুলোয় কোথাও উপনিবেশ বিরোধী জ্ঞানচর্চার লড়াই চলছে না, বরং ঔপনিবেশিক জ্ঞানচর্চাকে প্রোথিত তারা আরও ভালভাবে করছেন।
তবুও এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কলকাতার বাইরের জ্ঞানচর্চার মানুষেরা উপনিবেশের একটা দেওয়ালে একটু হলেও অন্তত চিড় ধরাতে সমর্থ হয়েছেন, - সেটা হল কলকাতার ঔপনিবেশিক অভ্রান্ত প্রতিমিততাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
উপনিবেশ বিরোধিতার দিকে আধ-পা এগোলেন তারা।
তাই সই।
উপনিবেশ বিরোধিতার দিকে আধ-পা এগোলেন তারা।
তাই সই।
যুবা অধ্যাপক Samrat Senguptaর শহুরে সমাজের প্রতি আর্তি -
"কলকাতা শহরের অজ্ঞ মানুষের জ্ঞাতার্থে জানানো হচ্ছে মেদিনীপুর কলেজ ইউজিসির থেকে বিপুল অর্থ সাহায্য ও অটোনমাস স্টেটাস পেয়েছে। ছেলেমেয়েকে কলকাতার "নামকরা" অথচ কম ranking-এর কলেজে ভর্তি না করিয়ে মেদিনীপুর কলেজে পাঠান। কলকাতার কতিপয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুণমুগ্ধ হয়ে কুপমণ্ডূক জীবন কাটানো গৌরবের নয়। জেলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপকদের পাবলিকেশন দেখুন, কাজের পরিধি ও বিষয় বৈচিত্র দেখুন, কলকাতার প্রতিষ্ঠানের সাথে তুলনা করে ভাবুন। যে সব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আপনারা লালায়িত সেসব দেশে মানুষ এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় বাছে। অন্তর্জালের যুগে বিদ্যার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটেছে। ক্ষমতারও বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন। প্রকৃত আন্তর্জাতিক হওয়া অভ্যেস করুন।"
No comments:
Post a Comment