গত কালই লিখেছিলাম ইংরেজি শিক্ষিত বর্ণবাদী বাঙালি মনে প্রাণে চরিত্রে ঔপনিবেশিক, মেকলেবাদী। আনন্দবাজারে প্রকাশিত এই প্রবন্ধের লেখক অন্যান্য বামপন্থীর মত জাতিবাদী মেকলে, সাম্রাজ্যবাদী ট্রেভলিয়ানের মধ্যেও প্রগতিশীলতা খুঁজে পেলেন। পাবেনই বা না কেন, মেকলেদের জন্যেই আজকে সঙ্খ্যালঘিষ্ঠ ইংরেজি শিক্ষিত প্রমিত বাঙালি করে কম্মে খাচ্ছে। না হলে অধমর্ণ দশা হত প্রত্যেকের - এটা কেউ না জানুক বাম আর আবাপ জানে।
স্বাভাবিকভাবে আনন্দবাজার এদের মধ্যেই প্রগতিশীলতা দেখবে এতে আর আশ্চর্য কি! এবং আশ্চর্যের নয়, এক প্রবীণ মার্ক্সবাদী এই লেখাটা পড়তে নিদান দিচ্ছেন শিক্ষা বিস্তারের দিনকাল বুঝতে, ঔপনিবেশিকতা("ম্যাকলে এবং আরও অনেকেই আমাদের দেশের শিক্ষার প্রসারের জন্য অনেক কাজ করেছেন") বুঝতে নয়। তারা তাঁদের গুরুর প্রথম বয়সের ঔপনিবেশিক নিদানের মত মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন ব্রিটিশেরা অজ্ঞ, অশিক্ষিত ভারতের উদ্ধারকর্তা হয়ে দেখা দিয়েছিল।
সাম্রাজ্য তাত্ত্বিক ট্রেভলিয়নের নাতি(তিনি আবার বিয়ে করেছেন মেকলের নাতনিকে - বদ্যি, বামপন্থীদের মত সাম্রাজ্যবাদীদেরও পারিবারিক সম্বন্ধ বানাতেন সাম্রাজ্যবাদীদের সঙ্গে) বইটিতে মেকলে ইত্যাদির নন্দিতবাক্য তুলে দেওয়ার পরে কলমচি তাঁর প্রবন্ধ শেষ করছেন এই বাক্যটি দিয়ে - "কোথায় ম্যাকলে আর কোথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়? সুদীর্ঘ অবনমনের ইতিহাস!"
No comments:
Post a Comment