আগের প্রকাশনায় দেখিয়েছি স্কচেরা সেনাবাহিনী
আমলার ৫০% পদ দখল করছেন, অন্যদিকে গোটা অষ্টাদশ শতক জুড়ে অক্সফোর্ড আর কেম্ব্রিজ
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের স্নাতকদের সাম্রাজ্যর চাকরিতে অংশগ্রহণ কমছে। অধিকাংশ
চাকুরেরা হয় স্বশিক্ষিত না হয় বেসরকারি বিদ্যালয় থেকে বেরোনো। বিজ্ঞান তখনও
রেলিজিয়ানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আষ্টেপৃষ্ঠে। শিক্ষায় ধর্মনিরপেক্ষতা আনার যে কোন
পদক্ষেপ ব্রিটিশ সমাজের প্রত্যেক স্তর থেকে প্রতিহত করা হচ্ছে ১৮২৮ সালে লন্ডন
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত – অর্থাৎ কলকাতার শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের
এগারো বছর পরে।
ইংলন্ডের জন-বিজ্ঞান শিক্ষার মশাল নিয়ে
এগোচ্ছিলেন উপযোগবাদী এবং ব্যাপটিস্টরা। অনেকেই ইংলন্ডে বিচারের হাত থেকে বাঁচতে
ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন। উনিবিংশ শতকে এদের অনেকে যেমন উইলিয়াম কেরি, যশুয়া
মার্শম্যান, উইলিয়াম ওয়ার্ড এবং উইলিয়াম ইয়েটস শ্রীরামপুরের ড্যানিশ কলোনিতে আশ্রয়
নেন। উইলিয়াম কেরির নেতৃত্বে নীলকর, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের অধ্যাপক, ছোট ব্যবসায়ী,
ব্যাপটিস্ট তাদের গণ-ধারণা/জ্ঞান অবলম্বন করে গোটা উনবিংশ শতাব্দ ধরে দেশিয় ভাষায়
বই ছাপাতে থাকেন। তাদের উৎসাহ ছিল জনগণের ভাষায় কথা বলা।
তাহলে ব্রিটেনে সেই সময়ে ইংলন্ডের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবিদ্যা
থেকে বাংলার শিক্ষাকেন্দ্রগুলির কি পাওয়া ছিল? কেউ কেউ বলেছেন ইংলন্ড আর
আয়ারল্যান্ডএর প্রকাশিত বইগুলি অনুবাদ করে শস্তা দরে বিক্রি, কিন্তু যেটা হচ্ছিল,
তা হল দেশিয় গানে দেশিয় ভাষায় দেশিয় ব্যবহারের জন্যে দেশিয় বই ছাপা।
বিজ্ঞানের দেশিয় প্রতিনিধিত্ব – দুটি উদাহরণ
কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি ঠিক
করে অঙ্কের বই ছাপাবে বাংলার জন্যে, তারা লিখল We have no complete system of Arithmetic for the use of
Bengalee schools. To deserve that
title, the work ought (besides other requisites) to comprise all, or nearly all the arithmetical Tables in use
among the natives, and to adopt from the native systems whatever may appear a real
improvement. A work of this nature, besides
its intrinsic, would possess an adventitious value, from the peculiar habits of thinking of this people, in whose
esteem and attention Arithmetic fills a most important place, insomuch that many of
them who can neither read nor write, have yet no contemptible practical acquaintance with
mental arithmetic.। স্বাভাবিকভাবে এটাই বাস্তব। আজকের যুক্তিবুদ্ধির মানুষদের বলা যাক দক্ষিণ এশিয়ার
নিজস্ব অঙ্ক ব্যবস্থা ছিল। উনবিংশ শতকের প্রথম পাদে হোরেস হেম্যান উইলসন হাউল অব
লর্ডসে এক প্রশ্নের উত্তরে জানান বাঙ্গালিরা মাথা দিয়ে অঙ্ক করে। তিনি জনালেন Very much; in fact their process is
objectionable on that account; although they [the Indians] write down the different
operations on a slate, they rub out the process, and give nothing but the results . . . They have
a process; but if you tell them to show
you how they come to the conclusion, there is nothing but the conclusion to be seen; they have rubbed
out everything but the result, and you have nothing before you to show their mode of going
to work।
স্থানীয় অঙ্ক ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষা বই প্রকাশ করার একটি
অসাধারণ উদ্যম নিয়েছিলেন রেভারেন্ড রবার্ট মে তার গণিত বইতে। পরে এটা জানাগিয়েছে
যে কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি প্রকাশিত আরেকটি বাংলায় অঙ্কের দেশি এবং ইওরোপিয়
পদ্ধতিতে অঙ্ক করার বই জন হার্লে’র গণিতিকার চাইতে মে’র গণিত অনেক ভাল চলত। মে’র
গণিত বইটা এত ভাল চলত যে কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটির সমীক্ষায় বলা হয় তারা ৫০০ বই ছাপিয়েছেন, কিন্তু very soon exhausted through the avidity of the natives of all ranks to
obtain it। সোসাইটির এক সদস্য মন্তব্য করেন, our Gonito compiled originally by Mr May has been very
popular . . . It may be shewn that
by giving the natives their own Arithmetic we pave the way for such improvements and
additions as we can make. Moreover, the species of books should be multiplied, and that for
many reasons. Sometimes a book
has an appropriate sphere. Mr Harle’s Arithmetic will be used in the Burdwan and Chinsura
Schools, while Mr May’s Gonito will be more acceptable to the bulk of independent
School-masters।
দুটো বই আমি(কপিল রাজ) হাতে
পাই নি, পেয়েছি গণিতটি। এ প্রসঙ্গেও একতাই কথা বলতে পারি, ভারতে আধুনিক বিজ্ঞানের
বীজ পুততে গেলে নতুন পাঠ্য বই(যা পুরোপুরি পশ্চিমিও হবে না পুরোপুরি দক্ষিণ এশিইও
হবে না) লিখতে হবে দেশিয় জ্ঞানচর্চা মাথায়
রেখে।
No comments:
Post a Comment