সমস্যা হল শিক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের ব্রিটিশশিক্ষা-পন্থীরা বাংলায় বিজ্ঞান শিক্ষা বলতে কি ধরণের ব্যবস্থা বুঝলেন। এই বিষয়টি বুঝতে আমরা হিন্দু কলেজকে লন্ডনের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির দেওয়া বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির বিশদ বিবরণ দেখার সুযোগ অভূতপূর্ব পেয়েছিলাম। সোসাইটি কিন্তু স্থাপিত হয় ১৮২১ সালে to promote the intellectual and moral improvement of the native inhabitants of British India and parts adjacent তারা ঠিক করল যে all practicable measures be adopted to encourage, aid, and support such Instructions, by occasional supplies of money, medical and chemical instruction, philosophical and surgical apparatus, &c.’। কলকাতার স্কুল বুক সোসাইটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তারা মে এবং হার্লের অঙ্কের বইটির বদলে several packages [of philosophical apparatus and books] . . . in the Honourable Company’s ship Hythe’ in early 1823।
সিলেক্ট কমিটির সামনে ১৮৩১-৩২ সালে কোম্পানির সনদ পেশ করার সময় টমাস ফিশারের মেমোয়ার অন এডুকেশন অব ইন্ডিয়ানস পেশ করা হয় On the 3rd July 1823, John Herbert Harington, then a member of the Bengal Council, submitted to the Government a letter which had been addressed to him and the late Sir Henry Blossett by the secretary of the British India Society in London, advising the transmission to India, by permission of the Court of Directors of the East India Company, freight free, of an extensive philosophical apparatus, in order to its being placed at the disposal of the Calcutta Hindoo Sanscrit College, should the committee of that institution have the means of employing a competent lecturer.
The apparatus was accompanied by a considerable number of books on scientific subjects designed for the use of the lecturer and others who might have occasion to refer to them . . .
The apparatus consisted, among other articles of minor importance, of the following:। <এর পরে একটা তালিকা দেওয়া আছে। তার পর বলা হয়েছে > All the expenses . . . were, by order of the Bengal Government, charged to the East India Company; and a salary assigned for a professor or lecturer on experimental philosophy, so soon as a qualified person should be found to receive it.।
নতুন সংস্থা জেনারেল কমিটি ফর পাবলিক ইন্সট্রাকশনের নেতৃত্বে বেশ খোঁজা খুঁজির পরে কলকাতা টাঁকশলাএর এসিস্ট্যান্ট এসে মাস্টার এবং ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড রসকে পাওয়া গেল। ইংলন্ডে এই পেসার মানুষজনের ফলিত বিজ্ঞানের নানান বিষয় যেমন properties of matter, laws of motion, mechanics, and magnetism মানুষজনের কাছে যাতে সহজেই পৌঁছে যায়, তাদের এই ধরণের যন্ত্রপাতি ব্যবহার দেখানো এবং বিজ্ঞানের নানান বিষয় বা শেখানোটা খুব বেশি অভূতপূর্ব ছিল না। প্রেসিডেন্সি কলেজের সেন্টিনারি ভলিউম দেখি, Science classes were started in 1824 by David Ross who was not much of a success and was nicknamed “Soda Shahib” for his frequent reference to that compound। রসের নাম সোডা রস হওয়া অর্থাৎ ছাত্র মহলে তিনি খুবন জনপ্রিয় হতে পারেন নি, তার একটা বড় কারণ হয়ত রসের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়ার ব্যর্থতা। রস নিজেই বুঝে উঠতে পারেন নি, তিনি এইগুলো নিয়ে কি ছাত্রদেরে বোঝাত্যে পারবেন? বেশ কিছু পরে এই ধরণের ক্লাস শুরু হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজে। পরম্পরার ব্যবস্থা নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে শুরু হয়। একই সেন্টিনারি ভলিউমে লেখা বলছে, The teaching of Mathematics improved with the appointment in 1828 of Robert [actually John] Tytler, an eccentric but talented teacher।
জেমস কার(James Kerr) তিন দশক পরে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার সমীক্ষায় লিখছেন, The interesting experiments gave place to hard study and mathematical demonstration. At a later period the experimental lectures were revived; but after a few months they were discontinued, and for many years the Hindu College has not been enlivened by a single ray of experiment। বরং বাঙ্গালিদের কাছে আকর্ষণীয় লাগল অঙ্ক এবং প্রকৃতি বিজ্ঞানের একাংশ, যাকে তারা প্রাতিষ্ঠানিক এবং বদ্ধ ব্যবস্থা হিসেবেই দেখতে চাইল এবং যাকে নিয়ে আর খব বেশি গবেষণা করা যাবে না।
কিন্তু ব্রিটিশেরা স্থির নিশ্চিত হল, শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত প্রজারা continue to hold European literature and science in very slight estimation এবং ১৮২৪ সালে বাঙালি ছানাপোনাদের সংস্কৃত, অলঙ্কারশাস্ত্র, প্রাচীন সাহিত্য, আইন এবং ব্যকরণ শেখাতে আরও একটা বিদ্যালয় খুলবে যার নাম হবে সংস্কৃত কলেজ। এই ভদ্রলোকেদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি রামমোহন রায় তাঁর ১১ ডিসেম্বর ১৮২৩ সালের প্রখ্যাত বক্তৃতায় ইওরোপিয় বিজ্ঞান শেখার জন্যে দেশিয় মানুষদের কাছে আহ্বান জানাবেন; ১৮২৭ সালে বিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে যন্ত্রবিদ্যা, জলস্থিতিবিদ্যা(হাইড্রো স্ট্রাটিকস), জ্যোতির্বিদ্যা, অঙ্ক, শারীরবিদ্যা এবং চিকিতসাবিদ্যা শেখানোর ব্যবস্থা হলে, এই বিদ্যাগুলি শিখবার জন্যে বিদ্যালয়ের ৯১জন বাচ্চা ভর্তি হয়। সংস্কৃত কলেজের নথি থেকে আমরা জানতে পারছি, ‘on the whole, Hindu students trained in the traditional manner had no difficulty in responding to Western course-work।
The apparatus was accompanied by a considerable number of books on scientific subjects designed for the use of the lecturer and others who might have occasion to refer to them . . .
The apparatus consisted, among other articles of minor importance, of the following:। <এর পরে একটা তালিকা দেওয়া আছে। তার পর বলা হয়েছে > All the expenses . . . were, by order of the Bengal Government, charged to the East India Company; and a salary assigned for a professor or lecturer on experimental philosophy, so soon as a qualified person should be found to receive it.।
নতুন সংস্থা জেনারেল কমিটি ফর পাবলিক ইন্সট্রাকশনের নেতৃত্বে বেশ খোঁজা খুঁজির পরে কলকাতা টাঁকশলাএর এসিস্ট্যান্ট এসে মাস্টার এবং ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড রসকে পাওয়া গেল। ইংলন্ডে এই পেসার মানুষজনের ফলিত বিজ্ঞানের নানান বিষয় যেমন properties of matter, laws of motion, mechanics, and magnetism মানুষজনের কাছে যাতে সহজেই পৌঁছে যায়, তাদের এই ধরণের যন্ত্রপাতি ব্যবহার দেখানো এবং বিজ্ঞানের নানান বিষয় বা শেখানোটা খুব বেশি অভূতপূর্ব ছিল না। প্রেসিডেন্সি কলেজের সেন্টিনারি ভলিউম দেখি, Science classes were started in 1824 by David Ross who was not much of a success and was nicknamed “Soda Shahib” for his frequent reference to that compound। রসের নাম সোডা রস হওয়া অর্থাৎ ছাত্র মহলে তিনি খুবন জনপ্রিয় হতে পারেন নি, তার একটা বড় কারণ হয়ত রসের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়ার ব্যর্থতা। রস নিজেই বুঝে উঠতে পারেন নি, তিনি এইগুলো নিয়ে কি ছাত্রদেরে বোঝাত্যে পারবেন? বেশ কিছু পরে এই ধরণের ক্লাস শুরু হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজে। পরম্পরার ব্যবস্থা নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে শুরু হয়। একই সেন্টিনারি ভলিউমে লেখা বলছে, The teaching of Mathematics improved with the appointment in 1828 of Robert [actually John] Tytler, an eccentric but talented teacher।
জেমস কার(James Kerr) তিন দশক পরে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার সমীক্ষায় লিখছেন, The interesting experiments gave place to hard study and mathematical demonstration. At a later period the experimental lectures were revived; but after a few months they were discontinued, and for many years the Hindu College has not been enlivened by a single ray of experiment। বরং বাঙ্গালিদের কাছে আকর্ষণীয় লাগল অঙ্ক এবং প্রকৃতি বিজ্ঞানের একাংশ, যাকে তারা প্রাতিষ্ঠানিক এবং বদ্ধ ব্যবস্থা হিসেবেই দেখতে চাইল এবং যাকে নিয়ে আর খব বেশি গবেষণা করা যাবে না।
কিন্তু ব্রিটিশেরা স্থির নিশ্চিত হল, শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত প্রজারা continue to hold European literature and science in very slight estimation এবং ১৮২৪ সালে বাঙালি ছানাপোনাদের সংস্কৃত, অলঙ্কারশাস্ত্র, প্রাচীন সাহিত্য, আইন এবং ব্যকরণ শেখাতে আরও একটা বিদ্যালয় খুলবে যার নাম হবে সংস্কৃত কলেজ। এই ভদ্রলোকেদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি রামমোহন রায় তাঁর ১১ ডিসেম্বর ১৮২৩ সালের প্রখ্যাত বক্তৃতায় ইওরোপিয় বিজ্ঞান শেখার জন্যে দেশিয় মানুষদের কাছে আহ্বান জানাবেন; ১৮২৭ সালে বিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে যন্ত্রবিদ্যা, জলস্থিতিবিদ্যা(হাইড্রো স্ট্রাটিকস), জ্যোতির্বিদ্যা, অঙ্ক, শারীরবিদ্যা এবং চিকিতসাবিদ্যা শেখানোর ব্যবস্থা হলে, এই বিদ্যাগুলি শিখবার জন্যে বিদ্যালয়ের ৯১জন বাচ্চা ভর্তি হয়। সংস্কৃত কলেজের নথি থেকে আমরা জানতে পারছি, ‘on the whole, Hindu students trained in the traditional manner had no difficulty in responding to Western course-work।
কপিল রাজএর রিলোকেটিং মডার্ন সায়েন্স – সার্কুলেশন অব কন্সট্রাকশন অব নলেজ ইন সাউথ এশিয়া ১৬৫০-১৯০০এর অনুবাদ ১৭৮ পৃ
No comments:
Post a Comment